alt

অর্থ-বাণিজ্য

রংপুরে নির্ধারিত দামের ৩/৪ গুন বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর

লিয়াকত আলী বাদল রংপুর : শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

রংপুরে সরকার নির্ধারিত মুল্যের ৩/৪ গুন বেশী দরে খেজুর বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। তারা খেজুরের বিভিন্ন নাম দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে আড়তদাররা বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা নি¤œমানের খেজুর চড়া দামে বিক্রি করলেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা বলে অভিযোগ সাধারন ভোক্তাদের।

সরেজমিন রংপুরের সিটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে হাতে গোনা ৪ জন খেজুরের আড়তদারের কাছে জিম্মি রংপুর অঞ্চলের রোজাদাররা। আড়তদার খেজুরের বিভিন্ন নাম দিয়ে ইচ্ছে মতো দরে খেজুর বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত মুল্যের ৪/৫ গুন ধরে বিক্রয় করছেন তারা। তারা তিউনেসিয়া, মদীনা, কাবাস , মরিয়ম, লেজিম, দামাম , সাহার সহ বিভিন্ন নাম দিয়ে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে খেজুর বিক্রি করছেন। তবে নি¤œ মানের খেজুর গুলো ৩শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও সেগুলো অত্যান্ত নি¤œমানের। এই খেজুর কত বছর আগের তার কোন হিসাব নেই। আর বিভিন্ন নাম দেয়া খেজুরের প্যাকেটে উৎপাদন কিংবা মেয়াদ উল্লেখ নেই। এ ব্যাপারে সিটি বাজারের সবচেয়ে বড় খেজুরের আড়তদার আল্লাহর দান ফল ভান্ডারের মালিক মোজাম্মেল হোসেন কবীর জানান, এবার খেজুরের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী। পাইকারী মদীনা খেজুর ৫ কেজির প্যাকেট ৪ হাজার ৬শ টাকা, তিউনেসিয়া খেজুর ৪২শ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৪৮শ টাকা, দাবাস ৪ হাজার টাকা, মাগাল ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানালেন তিনি। এতে করে গড়ে প্রতি কেজি ৮শ টাকার বেশি পড়ে বলেও জানান তিনি। তবে সরকারী ভাবে কোন খেজুর ৩/৪শ টাকার উপরে আমদানী করতে পড়ে না বলে সরকার মুল্য নির্ধারন করে দেবার পরেও এত দাম কেন এর সঠিক কোন ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। অন্যদিকে ৫ কেজি বিভিন্ন কোম্পানীর প্যাকেটে উৎপাদন ও মেয়াদ উল্লেখ না থাকার কারন জানতে চাইলেও তারও কোন সদুত্তোল মেলেনি ওই আড়তদারের কাছ থেকে।

অন্যদিকে আরেক জন আড়তদার খেজুর ব্যাবসায়ীর ম্যানেজার নাম প্রকাশে অনিশ্চুক জানান, কমদামী খেজুর ৮০/৯০ টাকা দাম পড়ে কেনা। কিন্তু এ গুলো ৪/৫ বছর আগে আমদানী করা এগুলো রমজানের সময় চাহিদা বাড়ার কারনে পানি দিয়ে পরিস্কার করে বিক্রি করা হয়। এগুলোর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে খুচরা খেজুর বিক্রেতা সাহাবুল , আনিসুর সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী সর্বনি¤œ ৪শ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দর হাকিয়ে বিভিন্ন নাম দিয়ে খেজুর বিক্রি করছেন। সরকারের বেঁধে দেয়া মুল্য তারা মানছেননা। তাদের দাবি সরকার দাম নির্ধারন করলে তো হবেনা আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে বেশী দামে খেজুর কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারবোনা।

এদিকে নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে খেজুর কিনতে আসা আল আমিন জানালেন পৃথিবীর সব দেশে রোজার সময় পন্যের দাম কমে আমাদের দেশে রোজার মাসে দাম বাড়ে। খেজুর দিয়ে ইফতার করলে সওয়াব হয় এই কারনে বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই অভিযোগ ব্যাংক কর্মচারী আসমা সুলতানা সহ অনেকেই।

এদিকে রমজান মাসে রোজাদারদের ইফতারী করার প্রধান খাবার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন ধর্মপ্রান মুসলমানরা। খেজুর দিয়ে ইফতার করাটা সুন্নত বলে মনে করেন তারা। কিন্তু হাতে গোনা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট জিম্মি করে রেখেছেন খেজুরের বাজার। এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ নেবার দাবি সাধারন মানুষের।

ছবি

সবজির বাজার অপরিবর্তিত, তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ: টিআইবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

রংপুরে নির্ধারিত দামের ৩/৪ গুন বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর

লিয়াকত আলী বাদল রংপুর

শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

রংপুরে সরকার নির্ধারিত মুল্যের ৩/৪ গুন বেশী দরে খেজুর বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। তারা খেজুরের বিভিন্ন নাম দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে আড়তদাররা বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা নি¤œমানের খেজুর চড়া দামে বিক্রি করলেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা বলে অভিযোগ সাধারন ভোক্তাদের।

সরেজমিন রংপুরের সিটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে হাতে গোনা ৪ জন খেজুরের আড়তদারের কাছে জিম্মি রংপুর অঞ্চলের রোজাদাররা। আড়তদার খেজুরের বিভিন্ন নাম দিয়ে ইচ্ছে মতো দরে খেজুর বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত মুল্যের ৪/৫ গুন ধরে বিক্রয় করছেন তারা। তারা তিউনেসিয়া, মদীনা, কাবাস , মরিয়ম, লেজিম, দামাম , সাহার সহ বিভিন্ন নাম দিয়ে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে খেজুর বিক্রি করছেন। তবে নি¤œ মানের খেজুর গুলো ৩শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও সেগুলো অত্যান্ত নি¤œমানের। এই খেজুর কত বছর আগের তার কোন হিসাব নেই। আর বিভিন্ন নাম দেয়া খেজুরের প্যাকেটে উৎপাদন কিংবা মেয়াদ উল্লেখ নেই। এ ব্যাপারে সিটি বাজারের সবচেয়ে বড় খেজুরের আড়তদার আল্লাহর দান ফল ভান্ডারের মালিক মোজাম্মেল হোসেন কবীর জানান, এবার খেজুরের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী। পাইকারী মদীনা খেজুর ৫ কেজির প্যাকেট ৪ হাজার ৬শ টাকা, তিউনেসিয়া খেজুর ৪২শ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৪৮শ টাকা, দাবাস ৪ হাজার টাকা, মাগাল ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানালেন তিনি। এতে করে গড়ে প্রতি কেজি ৮শ টাকার বেশি পড়ে বলেও জানান তিনি। তবে সরকারী ভাবে কোন খেজুর ৩/৪শ টাকার উপরে আমদানী করতে পড়ে না বলে সরকার মুল্য নির্ধারন করে দেবার পরেও এত দাম কেন এর সঠিক কোন ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। অন্যদিকে ৫ কেজি বিভিন্ন কোম্পানীর প্যাকেটে উৎপাদন ও মেয়াদ উল্লেখ না থাকার কারন জানতে চাইলেও তারও কোন সদুত্তোল মেলেনি ওই আড়তদারের কাছ থেকে।

অন্যদিকে আরেক জন আড়তদার খেজুর ব্যাবসায়ীর ম্যানেজার নাম প্রকাশে অনিশ্চুক জানান, কমদামী খেজুর ৮০/৯০ টাকা দাম পড়ে কেনা। কিন্তু এ গুলো ৪/৫ বছর আগে আমদানী করা এগুলো রমজানের সময় চাহিদা বাড়ার কারনে পানি দিয়ে পরিস্কার করে বিক্রি করা হয়। এগুলোর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে খুচরা খেজুর বিক্রেতা সাহাবুল , আনিসুর সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী সর্বনি¤œ ৪শ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দর হাকিয়ে বিভিন্ন নাম দিয়ে খেজুর বিক্রি করছেন। সরকারের বেঁধে দেয়া মুল্য তারা মানছেননা। তাদের দাবি সরকার দাম নির্ধারন করলে তো হবেনা আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে বেশী দামে খেজুর কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারবোনা।

এদিকে নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে খেজুর কিনতে আসা আল আমিন জানালেন পৃথিবীর সব দেশে রোজার সময় পন্যের দাম কমে আমাদের দেশে রোজার মাসে দাম বাড়ে। খেজুর দিয়ে ইফতার করলে সওয়াব হয় এই কারনে বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই অভিযোগ ব্যাংক কর্মচারী আসমা সুলতানা সহ অনেকেই।

এদিকে রমজান মাসে রোজাদারদের ইফতারী করার প্রধান খাবার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন ধর্মপ্রান মুসলমানরা। খেজুর দিয়ে ইফতার করাটা সুন্নত বলে মনে করেন তারা। কিন্তু হাতে গোনা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট জিম্মি করে রেখেছেন খেজুরের বাজার। এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ নেবার দাবি সাধারন মানুষের।

back to top