alt

ঢাকায় সব বাস আসছে নগর পরিবহনের আওতায়

পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা মহানগরের যাত্রীবাহী সব বাস এবার থেকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ ব্যবস্থার আওতায় পরিচালিত হবে, তবে মালিকানা থাকবে বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাছেই। ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম। এ লক্ষ্যে বাস কোম্পানিগুলোকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার ডিএসসিসি নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে কমিটির ২৯তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

নজরুল ইসলাম বলেন, “ঢাকার পরিবহনব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করি।”

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকার প্রতিটি বাস কোম্পানিকে নির্দিষ্ট রুটে বাস চালাতে হবে এবং নগর পরিবহনের বাসগুলো একক ছাতার অধীনে চলবে। চলাচলের গন্তব্য নির্ধারণের পর এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর কমিটির আরেকটি সভা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। প্রতিযোগিতা এড়াতে বাস ভাড়া র‍্যাপিড পাস কিংবা অনলাইন পদ্ধতিতে আদায়েরও পরিকল্পনা রয়েছে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, “নগর পরিবহনের অধীনে বাস চালানোর জন্য বাস কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ইতোমধ্যেই বিপুল আবেদন পেয়েছি। প্রায় ৮০টি বাস কোম্পানি আবেদন করেছে, এবং পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে, যে রুটে কোম্পানিগুলো বাস চালাচ্ছে, সে রুটেই তারা চালাতে পারবে।”

পরিবহন বিশেষজ্ঞ সালেহ উদ্দিন বলেন, যানজট নিরসনে ফুটপাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুটপাত থেকে বাজার ও দোকান সরিয়ে নিতে পারলে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ রিকশা বাদ দিয়ে হেঁটে চলাচল করবে, যা ঢাকার যানজট কমাতে সহায়ক হবে।

ঢাকার যানজট নিরসন ও আরামদায়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নগর পরিবহন চালুর উদ্যোগটি শহরের সামগ্রিক পরিবহন সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে রোববার ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল

tab

ঢাকায় সব বাস আসছে নগর পরিবহনের আওতায়

পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা মহানগরের যাত্রীবাহী সব বাস এবার থেকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ ব্যবস্থার আওতায় পরিচালিত হবে, তবে মালিকানা থাকবে বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাছেই। ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম। এ লক্ষ্যে বাস কোম্পানিগুলোকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার ডিএসসিসি নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে কমিটির ২৯তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

নজরুল ইসলাম বলেন, “ঢাকার পরিবহনব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করি।”

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকার প্রতিটি বাস কোম্পানিকে নির্দিষ্ট রুটে বাস চালাতে হবে এবং নগর পরিবহনের বাসগুলো একক ছাতার অধীনে চলবে। চলাচলের গন্তব্য নির্ধারণের পর এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর কমিটির আরেকটি সভা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। প্রতিযোগিতা এড়াতে বাস ভাড়া র‍্যাপিড পাস কিংবা অনলাইন পদ্ধতিতে আদায়েরও পরিকল্পনা রয়েছে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, “নগর পরিবহনের অধীনে বাস চালানোর জন্য বাস কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ইতোমধ্যেই বিপুল আবেদন পেয়েছি। প্রায় ৮০টি বাস কোম্পানি আবেদন করেছে, এবং পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে, যে রুটে কোম্পানিগুলো বাস চালাচ্ছে, সে রুটেই তারা চালাতে পারবে।”

পরিবহন বিশেষজ্ঞ সালেহ উদ্দিন বলেন, যানজট নিরসনে ফুটপাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুটপাত থেকে বাজার ও দোকান সরিয়ে নিতে পারলে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ রিকশা বাদ দিয়ে হেঁটে চলাচল করবে, যা ঢাকার যানজট কমাতে সহায়ক হবে।

ঢাকার যানজট নিরসন ও আরামদায়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নগর পরিবহন চালুর উদ্যোগটি শহরের সামগ্রিক পরিবহন সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

back to top