উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় অনেকেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিচ্ছেন। তবে এ খাতে নতুন সিদ্ধান্ত আনল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সুদহার ২৫ শতাংশে উন্নীত করা হচ্ছে, যা বর্তমানে ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর করতে এবং নীতি সুদহার ও ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এই সীমার মধ্যে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী সুদহার নির্ধারণ করবে। ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকেও একই নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগের মুনাফার হার নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২,৬৬৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগস্টের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
বিদেশেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যয় বাড়ছে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে, যার পরিমাণ ছিল সেপ্টেম্বরে ১১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া রিটেইল আউটলেট সার্ভিসে খরচ হয়েছে ৭৪ কোটি টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই খরচ আগস্টের তুলনায় বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলোকে তহবিল ব্যয় মেটানোর সুযোগ দিলেও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এটি বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় অনেকেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিচ্ছেন। তবে এ খাতে নতুন সিদ্ধান্ত আনল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সুদহার ২৫ শতাংশে উন্নীত করা হচ্ছে, যা বর্তমানে ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর করতে এবং নীতি সুদহার ও ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এই সীমার মধ্যে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী সুদহার নির্ধারণ করবে। ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকেও একই নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগের মুনাফার হার নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২,৬৬৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগস্টের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
বিদেশেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যয় বাড়ছে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে, যার পরিমাণ ছিল সেপ্টেম্বরে ১১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া রিটেইল আউটলেট সার্ভিসে খরচ হয়েছে ৭৪ কোটি টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই খরচ আগস্টের তুলনায় বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলোকে তহবিল ব্যয় মেটানোর সুযোগ দিলেও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এটি বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।