একীভূত হতে যাওয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের নতুন নাম ঠিক হয়েছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। প্রতিষ্ঠানটির নামে লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা প্রাথমিক লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের বিশেষ অনলাইন (জুম) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ বিভাগ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহ. রাশেদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব শেখ ফরিদ।
নতুন গঠিত ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে। পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ বিভাগ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহ. রাশেদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত বুধবার ব্যাংকটির জন্য এলওআই ও লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছিল।
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নামের অনুমোদন নিতে আরজেএসসিতে (যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক কার্যালয়) আবেদন করবে। এরপর সেই অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠালে ব্যাংক পরিচালনার জন্য পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর এক কর্মকর্তা জানান, নবগঠিত ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ হতে পারে ছয় মাস থেকে এক বছর। এরপর পাঁচটি ব্যাংকের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসকরা সম্পদের (অ্যাসেট) ও দায়ের (লায়াবিলিটি) পূর্ণ যাচাই শেষে নতুন ব্যাংকের অধীনে কার্যক্রম চালাবেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের থেকে নতুন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের দায়িত্ব নেয়। সেগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)। এসব ব্যাংকের মধ্যে এক্সিম ছিল ব্যাংক উদ্যোক্তা সংগঠন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের আর বাকি চারটি ছিল চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের নিয়ন্ত্রণে।
সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘একীভূত ব্যাংকটি দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হবে। আমানতকারীদের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যাংকটি সরকারি মালিকানাধীন হলেও পরিচালিত হবে বেসরকারিভাবে। কর্মীদের বেতন হবে বাজারভিত্তিক এবং আমানতকারীরাও মুনাফা পাবেন বাজারদরে। পাঁচ ব্যাংকের কর্মীরা সবাই থাকবেন। কারও চাকরি যাবে না। ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী জনবল সমন্বয় করা হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার। আর বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের নতুন নাম ঠিক হয়েছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। প্রতিষ্ঠানটির নামে লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা প্রাথমিক লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের বিশেষ অনলাইন (জুম) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ বিভাগ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহ. রাশেদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব শেখ ফরিদ।
নতুন গঠিত ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে। পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ বিভাগ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহ. রাশেদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত বুধবার ব্যাংকটির জন্য এলওআই ও লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছিল।
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নামের অনুমোদন নিতে আরজেএসসিতে (যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক কার্যালয়) আবেদন করবে। এরপর সেই অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠালে ব্যাংক পরিচালনার জন্য পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর এক কর্মকর্তা জানান, নবগঠিত ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ হতে পারে ছয় মাস থেকে এক বছর। এরপর পাঁচটি ব্যাংকের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসকরা সম্পদের (অ্যাসেট) ও দায়ের (লায়াবিলিটি) পূর্ণ যাচাই শেষে নতুন ব্যাংকের অধীনে কার্যক্রম চালাবেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের থেকে নতুন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের দায়িত্ব নেয়। সেগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)। এসব ব্যাংকের মধ্যে এক্সিম ছিল ব্যাংক উদ্যোক্তা সংগঠন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের আর বাকি চারটি ছিল চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের নিয়ন্ত্রণে।
সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘একীভূত ব্যাংকটি দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হবে। আমানতকারীদের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যাংকটি সরকারি মালিকানাধীন হলেও পরিচালিত হবে বেসরকারিভাবে। কর্মীদের বেতন হবে বাজারভিত্তিক এবং আমানতকারীরাও মুনাফা পাবেন বাজারদরে। পাঁচ ব্যাংকের কর্মীরা সবাই থাকবেন। কারও চাকরি যাবে না। ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী জনবল সমন্বয় করা হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার। আর বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের।