দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি, বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’ রোববার, (১৬ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মোট ২৬ জন সাংবাদিককে ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের ‘জনগণের কণ্ঠ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান ক্রান্তিকালে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে জনগণের পাশে থাকা সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তাদের কাজগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত মূল্যবান। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলো তুলে ধরলে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট হতাশা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি, বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগস্ট মাসে অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা ভেতরের অবস্থা জানি। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বেড়েছে, এক্সপোর্টও বাড়ছে। যদি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব না নিত, তবে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারতো। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) ১৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং এটি আরও কমবে।’
আগামী তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো অর্থনৈতিক কাঠামোটি সুসংহত করা, যাতে আগামী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এটিকে আরও উন্নত করতে পারে। সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের ভালো কাজের দিকগুলোও তুলে ধরবেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সরকারকে আরও সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক কাজ করতে সহায়তা করবেন, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং নগদের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ চৌধুরী। এছাড়াও নগদের প্রশাসক মো. মোতাসেম বিল্লাহ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ২৪টি বিভাগে বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সেরা ২৬টি প্রতিবেদনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন। সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নগদের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই এবারের আয়োজনটি অন্য বছরের তুলনায় অনেক বড় হয়েছে এবং বেশি পুরস্কার দেয়া সম্ভব হয়েছে।’
সভাপতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এবং যারা এবার পুরস্কার পাননি, তাদের প্রতি আগামীতে সফল হওয়ার শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। পুরস্কারের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের জুরি বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি, বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’ রোববার, (১৬ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মোট ২৬ জন সাংবাদিককে ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের ‘জনগণের কণ্ঠ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান ক্রান্তিকালে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে জনগণের পাশে থাকা সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তাদের কাজগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত মূল্যবান। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলো তুলে ধরলে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট হতাশা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি, বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগস্ট মাসে অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা ভেতরের অবস্থা জানি। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বেড়েছে, এক্সপোর্টও বাড়ছে। যদি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব না নিত, তবে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারতো। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) ১৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং এটি আরও কমবে।’
আগামী তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো অর্থনৈতিক কাঠামোটি সুসংহত করা, যাতে আগামী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এটিকে আরও উন্নত করতে পারে। সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের ভালো কাজের দিকগুলোও তুলে ধরবেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সরকারকে আরও সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক কাজ করতে সহায়তা করবেন, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং নগদের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ চৌধুরী। এছাড়াও নগদের প্রশাসক মো. মোতাসেম বিল্লাহ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ২৪টি বিভাগে বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সেরা ২৬টি প্রতিবেদনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন। সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নগদের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই এবারের আয়োজনটি অন্য বছরের তুলনায় অনেক বড় হয়েছে এবং বেশি পুরস্কার দেয়া সম্ভব হয়েছে।’
সভাপতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এবং যারা এবার পুরস্কার পাননি, তাদের প্রতি আগামীতে সফল হওয়ার শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। পুরস্কারের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের জুরি বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।