alt

অর্থ-বাণিজ্য

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমলো ৭২ শতাংশ, অর্থনীতিবিদরা বলছেন ‘ভালো’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

চলতি বছরের অক্টোবরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ মোট ৮ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ হয়েছে। মূল অর্থ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ নিট বিক্রির পরিমাণ ৭৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকার অক্টোবরে সঞ্চয়পত্রে ঋণ নিয়েছে ৭৬৬ কোটি টাকা। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে নিট বিক্রি কমেছে ৭২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হ্রাসকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, আগে নামে বেনামে অনেক সঞ্চয়পত্র কেনা হতো। কড়াকড়ি আরোপের পর সেটা আর হচ্ছে না। এটা ইতিবাচক।

ঘাটতি বাজেট মেটাতে সরকার চলতি অর্থবছরে এক লাখ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মূল ও সুদসহ পরিশোধের পর নিট সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্য রয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা যা অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার মোট ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধের পর এ সময়ে সরকারের নিট ঋণ এসেছে ৯ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা যা ২০২০-২০২১ অর্থবছরের একই সময়ের (জুলাই-অক্টোবর) তুলনায় ৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ কম।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা ও বিভিন্ন কড়াকড়ি করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে সরকার ১৫ লাখ টাকার বেশি সব সঞ্চয়পত্র স্কিমে সুদহার কমিয়েছে। এর ফলে অনেকে সঞ্চয়পত্র কম কিনছে। তবে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণগ্রহণকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদহার ব্যাংক ঋণের চেয়ে বেশি। এর আগে অনেকেই নামে-বেনামি সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। সরকারের এ নিয়ে সরকারের কড়াকড়ি থাকায় সঞ্চয়পত্র ঋণ কমেছে। এটা সরকারের জন্য ভালো।’

এর আগে সঞ্চয়পত্রের সুদ পূননির্ধারণ করা হয়। পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে যারা ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফা পাবেন ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ১০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি যাদের বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে পাবেন ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে।

পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা আগে ছিল ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মুনাফার হারে পরিবর্তন আনা হয়নি। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে বর্তমানে মুনাফার হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এতে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে তিন বছর মেয়াদি হিসেবে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসেবে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

ছবি

সবজির বাজার অপরিবর্তিত, তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ: টিআইবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমলো ৭২ শতাংশ, অর্থনীতিবিদরা বলছেন ‘ভালো’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

চলতি বছরের অক্টোবরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ মোট ৮ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ হয়েছে। মূল অর্থ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ নিট বিক্রির পরিমাণ ৭৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকার অক্টোবরে সঞ্চয়পত্রে ঋণ নিয়েছে ৭৬৬ কোটি টাকা। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে নিট বিক্রি কমেছে ৭২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হ্রাসকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, আগে নামে বেনামে অনেক সঞ্চয়পত্র কেনা হতো। কড়াকড়ি আরোপের পর সেটা আর হচ্ছে না। এটা ইতিবাচক।

ঘাটতি বাজেট মেটাতে সরকার চলতি অর্থবছরে এক লাখ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মূল ও সুদসহ পরিশোধের পর নিট সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্য রয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা যা অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার মোট ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধের পর এ সময়ে সরকারের নিট ঋণ এসেছে ৯ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা যা ২০২০-২০২১ অর্থবছরের একই সময়ের (জুলাই-অক্টোবর) তুলনায় ৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ কম।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা ও বিভিন্ন কড়াকড়ি করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে সরকার ১৫ লাখ টাকার বেশি সব সঞ্চয়পত্র স্কিমে সুদহার কমিয়েছে। এর ফলে অনেকে সঞ্চয়পত্র কম কিনছে। তবে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণগ্রহণকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদহার ব্যাংক ঋণের চেয়ে বেশি। এর আগে অনেকেই নামে-বেনামি সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। সরকারের এ নিয়ে সরকারের কড়াকড়ি থাকায় সঞ্চয়পত্র ঋণ কমেছে। এটা সরকারের জন্য ভালো।’

এর আগে সঞ্চয়পত্রের সুদ পূননির্ধারণ করা হয়। পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে যারা ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফা পাবেন ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ১০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি যাদের বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে পাবেন ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে।

পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা আগে ছিল ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মুনাফার হারে পরিবর্তন আনা হয়নি। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে বর্তমানে মুনাফার হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এতে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে তিন বছর মেয়াদি হিসেবে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসেবে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

back to top