এবার প্রকাশ পেলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের কমিটি। জাবিতে প্রায় ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে এল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটি।
মঙ্গলবার রাতে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ফেসবুক পেজে বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে জাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে সাকি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সভাপতি হারুনুর রশিদ ওরফে রাফি ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান ওরফে মুহিবের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব দলের অংশগ্রহণে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের কথা বলেছেন।
ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), সাধারণ সম্পদক মহিবুর রহমান বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) এবং প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন দর্শন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে (চেতনা) ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সর্বদা প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে কোনো ধরনের দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনা, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।
ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে নিষিদ্ধের একটি বয়ান তৈরি করে এসেছে। আদতে এই বয়ানের কোনো সত্যতা নেই। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা এলেও এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বরং সভার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত বিধায় এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়’।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই। চব্বিশের শহীদদের আশা–আকাঙ্ক্ষার আলোকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংস্কার হোক।’
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
এবার প্রকাশ পেলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের কমিটি। জাবিতে প্রায় ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে এল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটি।
মঙ্গলবার রাতে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ফেসবুক পেজে বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে জাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে সাকি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সভাপতি হারুনুর রশিদ ওরফে রাফি ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান ওরফে মুহিবের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব দলের অংশগ্রহণে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের কথা বলেছেন।
ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), সাধারণ সম্পদক মহিবুর রহমান বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) এবং প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন দর্শন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে (চেতনা) ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সর্বদা প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে কোনো ধরনের দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনা, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।
ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে নিষিদ্ধের একটি বয়ান তৈরি করে এসেছে। আদতে এই বয়ানের কোনো সত্যতা নেই। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা এলেও এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বরং সভার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত বিধায় এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়’।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই। চব্বিশের শহীদদের আশা–আকাঙ্ক্ষার আলোকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংস্কার হোক।’