ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীতার যোগ্যতা না দেয়া আমাদেরকে মাইনাস করার মাস্টারপ্ল্যান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর আচরণবিধিমালা বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল।
রোববার,(০২ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে আযোজিত এ সভায় তিনি বলেন, ‘জকসু বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার অন্যদিকে এমফিল করা শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থিতার যোগ্যতা না দিয়ে আমাদেরকে মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান এবং দ্য মাস্টারপ্ল্যান ইজ সাকসেসফুল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব নেতারা এমফিলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবরুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে, যারা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে ছিলেন এবং বর্তমানে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন, তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে প্রচার-প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় আইডি কার্ড বা অ্যাক্সেস কার্ড দিতে হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা এক চুল ছাড় দেবো না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে, যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে। নির্বাচনে ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অবশ্যই ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করতে হবে। এছাড়া কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো— এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।
বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং জকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জুলফিকার মাহমুদ বলেন, এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। ছাত্রশক্তির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচারে প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবেনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচন কমিশনারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীতার যোগ্যতা না দেয়া আমাদেরকে মাইনাস করার মাস্টারপ্ল্যান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর আচরণবিধিমালা বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল।
রোববার,(০২ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে আযোজিত এ সভায় তিনি বলেন, ‘জকসু বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার অন্যদিকে এমফিল করা শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থিতার যোগ্যতা না দিয়ে আমাদেরকে মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান এবং দ্য মাস্টারপ্ল্যান ইজ সাকসেসফুল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব নেতারা এমফিলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবরুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে, যারা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে ছিলেন এবং বর্তমানে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন, তাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে প্রচার-প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় আইডি কার্ড বা অ্যাক্সেস কার্ড দিতে হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা এক চুল ছাড় দেবো না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে, যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে। নির্বাচনে ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অবশ্যই ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করতে হবে। এছাড়া কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো— এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।
বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং জকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জুলফিকার মাহমুদ বলেন, এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। ছাত্রশক্তির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচারে প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবেনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচন কমিশনারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।