দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজধানীর কমলাপুরে টিটিপাড়া আন্ডারপাস শনিবার, যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে রাজধানীবাসীর যাতায়াতে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অনেকটা অবসান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে -সংবাদ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজধানীর টিটিপাড়া আন্ডারপাস শনিবার, (০৮ নভেম্বর ২০২৫) যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষে রাজধানীবাসীর যাতায়াত এখন অনেকটাই সহজ হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. শেখ মঈনুদ্দিন শনিবার, সকালে আন্ডারপাসটি পরিদর্শন করেন এবং তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, আন্ডারপাসটির এক পাশে অতিশ দীপঙ্কর সড়ক এবং অন্যপাশে কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোডকে সংযুক্ত করেছে, যা পূর্বের টিটিপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ের পরিবর্তে নির্মিত হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘লেভেল ক্রসিংটি আন্ডারপাসে রূপান্তর করা হয়েছে, যেন ট্রেন ও সড়ক যানবাহন উভয়ের চলাচল নির্বিঘ্ন হয়।’
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত এ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে। নির্মাণকাজ চলাকালীন পথটি বন্ধ থাকায় অফিসগামী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
নতুনভাবে উদ্বোধন করা আন্ডারপাসটি প্রধান সড়কের নিচে প্রায় ১১ মিটার গভীরে অবস্থিত। এটি প্রায় ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৫ মিটার প্রস্থ। এতে মোট ছয়টি লেন রয়েছে। এর মধ্যে চারটি মোটরযানের জন্য নির্ধারিত, যেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ মিটার উচ্চতার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
এতে উভয়পাশে রিকশা ও সাইকেলের জন্য পৃথক লেন এবং পথচারীদের জন্য প্রশস্ত ফুটপাত রাখা হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘এই অবকাঠামোর মাধ্যমে এখন ট্রেন ওপরে চলবে আর অন্যান্য যানবাহন নিচ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।’ তিনি আরও জানান- শুধু কার্যকারিতাই নয়, নান্দনিকতার দিকটি বিবেচনায় রেখেও আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছে।
আফজাল হোসেন বলেন, ‘সড়কে দাগ চিহ্ন, মাঝখানে ফুলগাছের সারি ও উভয়পাশে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা রোধে, আন্ডারপাসটিতে আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও আলাদা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন কূপ স্থাপন করা হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, আন্ডারপাসের সব বৃষ্টির পানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কূপে প্রবাহিত হবে, যেখানে চারটি ৭৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশন নির্বিঘ্ন থাকে।
তিনি আরও বলেন, টিটিপাড়া আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজধানীর কমলাপুরে টিটিপাড়া আন্ডারপাস শনিবার, যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে রাজধানীবাসীর যাতায়াতে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অনেকটা অবসান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে -সংবাদ
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজধানীর টিটিপাড়া আন্ডারপাস শনিবার, (০৮ নভেম্বর ২০২৫) যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষে রাজধানীবাসীর যাতায়াত এখন অনেকটাই সহজ হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. শেখ মঈনুদ্দিন শনিবার, সকালে আন্ডারপাসটি পরিদর্শন করেন এবং তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, আন্ডারপাসটির এক পাশে অতিশ দীপঙ্কর সড়ক এবং অন্যপাশে কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোডকে সংযুক্ত করেছে, যা পূর্বের টিটিপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ের পরিবর্তে নির্মিত হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘লেভেল ক্রসিংটি আন্ডারপাসে রূপান্তর করা হয়েছে, যেন ট্রেন ও সড়ক যানবাহন উভয়ের চলাচল নির্বিঘ্ন হয়।’
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত এ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে। নির্মাণকাজ চলাকালীন পথটি বন্ধ থাকায় অফিসগামী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
নতুনভাবে উদ্বোধন করা আন্ডারপাসটি প্রধান সড়কের নিচে প্রায় ১১ মিটার গভীরে অবস্থিত। এটি প্রায় ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৫ মিটার প্রস্থ। এতে মোট ছয়টি লেন রয়েছে। এর মধ্যে চারটি মোটরযানের জন্য নির্ধারিত, যেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ মিটার উচ্চতার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
এতে উভয়পাশে রিকশা ও সাইকেলের জন্য পৃথক লেন এবং পথচারীদের জন্য প্রশস্ত ফুটপাত রাখা হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘এই অবকাঠামোর মাধ্যমে এখন ট্রেন ওপরে চলবে আর অন্যান্য যানবাহন নিচ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।’ তিনি আরও জানান- শুধু কার্যকারিতাই নয়, নান্দনিকতার দিকটি বিবেচনায় রেখেও আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছে।
আফজাল হোসেন বলেন, ‘সড়কে দাগ চিহ্ন, মাঝখানে ফুলগাছের সারি ও উভয়পাশে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা রোধে, আন্ডারপাসটিতে আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও আলাদা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন কূপ স্থাপন করা হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, আন্ডারপাসের সব বৃষ্টির পানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কূপে প্রবাহিত হবে, যেখানে চারটি ৭৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশন নির্বিঘ্ন থাকে।
তিনি আরও বলেন, টিটিপাড়া আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।