রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- মাছ ব্যবসায়ী ইউসুফ হোসেন (৩২) ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সৈয়দ হেলাল উদ্দিন (৫৫)। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় ও শনিবার, (০৮ নভেম্বর ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত ইউসুফের বোন জামাই সাইদুল ইসলাম জানান, আজমপুর বিএনএস ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ইউসুফ। এ সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দেয়।
খবর পেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় ইউসুফকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে। আজমপুর দেওয়ান বাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ইউসুফ। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন তিনি।
নিহত হেলাল হোসেন মেয়ের জামাই রায়হান মিয়া জানান, তার শশুরের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। মহাখালী কড়াইল আদর্শ নগর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
সেখানে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। শনিবার, সকালে কড়াইল এলাকার বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন তার শ্বশুর। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন, কালশি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় কোনো এক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।
তাকে পথচারীরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে তার শ্বশুরকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। তবে কোনো যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানেন না তিনি।
দুটি ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ মর্গে এসেছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- মাছ ব্যবসায়ী ইউসুফ হোসেন (৩২) ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সৈয়দ হেলাল উদ্দিন (৫৫)। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় ও শনিবার, (০৮ নভেম্বর ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত ইউসুফের বোন জামাই সাইদুল ইসলাম জানান, আজমপুর বিএনএস ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ইউসুফ। এ সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দেয়।
খবর পেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় ইউসুফকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে। আজমপুর দেওয়ান বাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ইউসুফ। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন তিনি।
নিহত হেলাল হোসেন মেয়ের জামাই রায়হান মিয়া জানান, তার শশুরের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। মহাখালী কড়াইল আদর্শ নগর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
সেখানে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। শনিবার, সকালে কড়াইল এলাকার বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন তার শ্বশুর। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন, কালশি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় কোনো এক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।
তাকে পথচারীরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে তার শ্বশুরকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। তবে কোনো যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানেন না তিনি।
দুটি ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ মর্গে এসেছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।