ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করার নির্দেশ সপ্তাহের শুরুতে দেওয়ার পর সপ্তাহের শেষ দিনেও সেই নির্দেশনার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হামলা চেষ্টাকারীদের গুলি করার বিধান আইনে আছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশ আইন অনুযায়ী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।”
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিশনার। সেখানে তিনি দাবি করেন, নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের ওপর ন্যস্ত এবং বাহিনীটি তা ‘আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের’ সঙ্গে পালন করছে। তিনি আরও বলেন, “পুলিশের মনোবলে চিড় ধরে—এরকম কোনো মন্তব্য বা কর্মকাণ্ড থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বিক্ষোভ ও ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগ। রায়ের আগের দিন রোববার বিকালে কমিশনার সাজ্জাত বেতার বার্তায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। সেদিনও তিনি এ বিধানের আইনি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন
পুরাতুন রমনা থানার পশ্চিম পাশে ডিবি কম্পাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার।
অনুষ্ঠানে কমিশনার বলেন, “বর্তমান বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরনও পরিবর্তিত হচ্ছে। সাইবার জালিয়াতি, অনলাইন প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি ও মানহানি—এ ধরনের সাইবার অপরাধ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, আর্থিক সুরক্ষা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
তিনি জানান, নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সক্ষমতা বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এই সাইবার সাপোর্ট সেন্টার, যেখানে থাকবে আধুনিক ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪/৭ সাপোর্ট টিম।
কমিশনার আরও বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার দায়িত্ব নয়; এটি নাগরিক, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিষয়।”
ডিবির এই সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকরা আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে সেন্টারের ফেসবুক পেইজ Cyber Support Centre- DB, DMP অথবা ই-মেইলে: cybersupportdbdmp@police.gov.bd।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করার নির্দেশ সপ্তাহের শুরুতে দেওয়ার পর সপ্তাহের শেষ দিনেও সেই নির্দেশনার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হামলা চেষ্টাকারীদের গুলি করার বিধান আইনে আছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশ আইন অনুযায়ী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।”
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিশনার। সেখানে তিনি দাবি করেন, নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের ওপর ন্যস্ত এবং বাহিনীটি তা ‘আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের’ সঙ্গে পালন করছে। তিনি আরও বলেন, “পুলিশের মনোবলে চিড় ধরে—এরকম কোনো মন্তব্য বা কর্মকাণ্ড থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বিক্ষোভ ও ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগ। রায়ের আগের দিন রোববার বিকালে কমিশনার সাজ্জাত বেতার বার্তায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। সেদিনও তিনি এ বিধানের আইনি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন
পুরাতুন রমনা থানার পশ্চিম পাশে ডিবি কম্পাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার।
অনুষ্ঠানে কমিশনার বলেন, “বর্তমান বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরনও পরিবর্তিত হচ্ছে। সাইবার জালিয়াতি, অনলাইন প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি ও মানহানি—এ ধরনের সাইবার অপরাধ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, আর্থিক সুরক্ষা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
তিনি জানান, নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সক্ষমতা বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এই সাইবার সাপোর্ট সেন্টার, যেখানে থাকবে আধুনিক ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪/৭ সাপোর্ট টিম।
কমিশনার আরও বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার দায়িত্ব নয়; এটি নাগরিক, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিষয়।”
ডিবির এই সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকরা আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে সেন্টারের ফেসবুক পেইজ Cyber Support Centre- DB, DMP অথবা ই-মেইলে: cybersupportdbdmp@police.gov.bd।