শরীয়তপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে সাড়ে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন ও তার স্বামী মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে ১৯ জন কর্মচারির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে সেখানে আবেদন করেন গোসাইরহাটের নাগেরপাড়া এলাকার খাদিজা আক্তার ও তার ভাই নাজমুল হক। তখন ওই দুই ভাই বোনকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা নেন তৎকালীন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক এবং উপজেলার তারুলিয়া এলাকার মোক্তার হোসেনের স্ত্রী হালিমা খাতুন। হালিমা খাতুন তখন তৎকালীন জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে অফিস সহায়ক পদের দুটি ভূয়া নিয়োগপত্র তৈরী করে ওই দুই ভাইবোনের হাতে তুলে দেন। পরে ১ এপ্রিল তারা দুজন কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে হালিমার দ্বারা প্রতারণার স্বীকার হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে তারা ঘটনাটি লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসককে জানান। এছাড়াও হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে রুমা আক্তার হ্যাপি ও সুমন বেপারী নামের আরো দুজনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে। পরে অভিযোগের বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্ত করার সময় হালিমাকে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসে বদলি করা হয় এবং পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর হালিমাকে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের অফিস সহায়কের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এই ঘটনায় ২০২১ সালে ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে হালিমা খাতুন, তার বাবা আলী আহম্মেদ আকন ও তার স্বামী মুক্তার হোসেনকে আসামী করে শরীয়তপুর আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হালিমা খাতুন ও তার স্বামী মুক্তার হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।
বিষয়টি হালিমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার বলেন, হালিমা আমাদের কাছে থেকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো। তারা আমাদের দুই ভাই বোনকে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছিল। পরে যোগদান করতে গেলে বুঝতে পারি আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা জমি, গহনা বিক্রি ও মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে ওই টাকাগুলো দিয়েছিলাম। পরে তারা চাপের মুখে মাত্র সাড়ে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। আমরা বাকি টাকা ফেরত চাই, পাশাপাশি প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
এ বিষয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে উপজেলা কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ক ও তার স্বামী ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক তাকে বরখাস্ত করেছেন। পরে দুদকের উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ওই বরখাস্তকৃত অফিস সহায়ক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমাদের কার্যালয়ে মামলাটি নথিভূক্ত করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
শরীয়তপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে সাড়ে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন ও তার স্বামী মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে ১৯ জন কর্মচারির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে সেখানে আবেদন করেন গোসাইরহাটের নাগেরপাড়া এলাকার খাদিজা আক্তার ও তার ভাই নাজমুল হক। তখন ওই দুই ভাই বোনকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা নেন তৎকালীন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক এবং উপজেলার তারুলিয়া এলাকার মোক্তার হোসেনের স্ত্রী হালিমা খাতুন। হালিমা খাতুন তখন তৎকালীন জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে অফিস সহায়ক পদের দুটি ভূয়া নিয়োগপত্র তৈরী করে ওই দুই ভাইবোনের হাতে তুলে দেন। পরে ১ এপ্রিল তারা দুজন কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে হালিমার দ্বারা প্রতারণার স্বীকার হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে তারা ঘটনাটি লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসককে জানান। এছাড়াও হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে রুমা আক্তার হ্যাপি ও সুমন বেপারী নামের আরো দুজনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে। পরে অভিযোগের বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্ত করার সময় হালিমাকে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসে বদলি করা হয় এবং পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর হালিমাকে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের অফিস সহায়কের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এই ঘটনায় ২০২১ সালে ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে হালিমা খাতুন, তার বাবা আলী আহম্মেদ আকন ও তার স্বামী মুক্তার হোসেনকে আসামী করে শরীয়তপুর আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হালিমা খাতুন ও তার স্বামী মুক্তার হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।
বিষয়টি হালিমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার বলেন, হালিমা আমাদের কাছে থেকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো। তারা আমাদের দুই ভাই বোনকে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছিল। পরে যোগদান করতে গেলে বুঝতে পারি আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা জমি, গহনা বিক্রি ও মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে ওই টাকাগুলো দিয়েছিলাম। পরে তারা চাপের মুখে মাত্র সাড়ে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। আমরা বাকি টাকা ফেরত চাই, পাশাপাশি প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
এ বিষয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে উপজেলা কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ক ও তার স্বামী ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক তাকে বরখাস্ত করেছেন। পরে দুদকের উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ওই বরখাস্তকৃত অফিস সহায়ক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমাদের কার্যালয়ে মামলাটি নথিভূক্ত করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।