হত্যা ও সাইবার অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী এবং আইজিপি জড়িত
রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও সাইবার অপরাধের মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। বুধবার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। এরপর ভাসানটেক, যাত্রাবাড়ী, কাফরুল এবং লালবাগ থানার পৃথক মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি দেন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ আদেশের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন: ভাসানটেক এবং যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক: কাফরুল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: লালবাগ থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া আবুল হোসেন ও নজরুল ইসলাম কবিরাজ নামের আরও দুই ব্যক্তিকেও পৃথক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং সাইবার অপরাধের ঘটনায় এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, গ্রেপ্তার দেখানো ব্যক্তিদের সঙ্গে এসব অপরাধের যোগসূত্র রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তার দেখানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা বলেছেন, মামলাগুলোর তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আদালতের আদেশের পর আসামিদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এই মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
হত্যা ও সাইবার অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী এবং আইজিপি জড়িত
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও সাইবার অপরাধের মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। বুধবার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। এরপর ভাসানটেক, যাত্রাবাড়ী, কাফরুল এবং লালবাগ থানার পৃথক মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি দেন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ আদেশের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন: ভাসানটেক এবং যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক: কাফরুল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: লালবাগ থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া আবুল হোসেন ও নজরুল ইসলাম কবিরাজ নামের আরও দুই ব্যক্তিকেও পৃথক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং সাইবার অপরাধের ঘটনায় এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, গ্রেপ্তার দেখানো ব্যক্তিদের সঙ্গে এসব অপরাধের যোগসূত্র রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তার দেখানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা বলেছেন, মামলাগুলোর তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আদালতের আদেশের পর আসামিদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এই মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে।