ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আলোচিত অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে বড় পদক্ষেপ হিসেবে তার আয়কর নথি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব বুধবার এ আদেশ দেন।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ১৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদক বলছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার আয়কর রিটার্নসহ সমস্ত কর সংক্রান্ত নথি জব্দ ও পর্যালোচনার প্রয়োজন।
এদিকে, এর আগেও হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চিঠি পাঠিয়েছিল। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। তাছাড়া, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা হারুনের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে জড়িত।
হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ঢাকায় একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং প্লটের মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, এবং জেদ্দায়ও অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।
২০১১ সালে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে পিটিয়ে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় তিনি আলোচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ডিএমপির লালবাগ বিভাগ এবং গাজীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। গাজীপুরে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল।
হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলেও সেই সময় অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি ২০১৯ সালে পারটেক্স গ্রুপের এম এ হাশেমের ছেলে এবং আমবার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজের পরিবারের সদস্যদের আটক করে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেন।
২০১৯ সালে ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর, ২০২২ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে বর্তমানে তার কোন হদিস নেই, বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি তদন্তের মধ্যে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে তিনি আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নামে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখার ঘটনায়ও ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং বর্তমান সময়েও তার বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ উঠছে।
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আলোচিত অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে বড় পদক্ষেপ হিসেবে তার আয়কর নথি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব বুধবার এ আদেশ দেন।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ১৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদক বলছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার আয়কর রিটার্নসহ সমস্ত কর সংক্রান্ত নথি জব্দ ও পর্যালোচনার প্রয়োজন।
এদিকে, এর আগেও হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চিঠি পাঠিয়েছিল। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। তাছাড়া, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা হারুনের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে জড়িত।
হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ঢাকায় একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং প্লটের মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, এবং জেদ্দায়ও অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।
২০১১ সালে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে পিটিয়ে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় তিনি আলোচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ডিএমপির লালবাগ বিভাগ এবং গাজীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। গাজীপুরে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল।
হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলেও সেই সময় অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি ২০১৯ সালে পারটেক্স গ্রুপের এম এ হাশেমের ছেলে এবং আমবার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজের পরিবারের সদস্যদের আটক করে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেন।
২০১৯ সালে ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর, ২০২২ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে বর্তমানে তার কোন হদিস নেই, বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি তদন্তের মধ্যে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে তিনি আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নামে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখার ঘটনায়ও ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং বর্তমান সময়েও তার বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ উঠছে।