ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৈশ্বিক পর্নোতারকা বনে যাওয়া পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির অভিযোগে এক যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। সোমবার,(২০ অক্টোবর ২০২৫) ভোরে বান্দরবান জেলার হাজীপাড়া বালাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মুহাম্মদ আজিম ও বৃষ্টি।
এক বছরে তাদের প্রকাশিত ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশি দেখা হয়েছে
একাধিক পর্নোসাইটে ভিডিও আপলোড করতেন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যদেরও যুক্ত হওয়ার জন্য প্রলুদ্ধ করতেন
তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে
মালিবাগ সিআইডি অফিসের বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, তারা শুধু নিজেরাই পর্নো ভিডিও তৈরি করেননি, আরও অনেককেই এ জগতে সম্পৃক্ত করার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সোমবার, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিআইডির মালিবাগ প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আজিম ও বৃষ্টি মাত্র এক বছরেই আন্তর্জাতিক পর্নোতারকাদের মধ্যে শীর্ষ পারফরমারদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। ২০২৫ সালের চলতি অক্টোবর মাস পর্যন্ত একটি তালিকায় তারা অষ্টম স্থানে রয়েছে বলে দাবি করছে সিআইডি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে এক বছরে তাদের প্রকাশিত ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশি দেখা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ওঠে আসে।
সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে, একাধিক আন্তর্জাতিক পর্নো ওয়েবসাইটে তারা ভিডিও আপলোড করতো। এভাবে খোলাখুলি প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেলিগ্রাম, ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেও তারা প্রচারণা চালাতো।
এসব প্রচারণায় ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদের প্রলুদ্ধ করে বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করতো তারা। আগ্রহীরা নতুন ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে টেলিগ্রামের মাধ্যমে
যোগাযোগ করলে তাদেরকেও উদ্বুদ্ধ করতো এই যুগল। টেলিগ্রাম চ্যানেলে নতুন ক্রিয়েটর এড করলে নগদ অর্থ দেয়া হবে বলেও তারা বিজ্ঞাপন প্রচার করতো।
দরিদ্র পরিবার থেকে ওঠে আসলেও অনলাইনে তাদের বিলাসবহুল জীবনের ছবি আপলোড করতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি না পেরোনো এই যুগল। বিষয়টি সামাজিক ও নৈতিকভাবে উদ্বেগজনক এবং একইভাবে বেআইনি হওয়ায় দ্রুততম সময়ে এই পর্নোতারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট।
তাদের কাছ থেকে মোবাইল সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ পর্নো ভিডিও তেরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আজিম ও বৃষ্টির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শনাক্ত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
বৈশ্বিক পর্নোতারকা বনে যাওয়া পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির অভিযোগে এক যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। সোমবার,(২০ অক্টোবর ২০২৫) ভোরে বান্দরবান জেলার হাজীপাড়া বালাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মুহাম্মদ আজিম ও বৃষ্টি।
এক বছরে তাদের প্রকাশিত ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশি দেখা হয়েছে
একাধিক পর্নোসাইটে ভিডিও আপলোড করতেন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যদেরও যুক্ত হওয়ার জন্য প্রলুদ্ধ করতেন
তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে
মালিবাগ সিআইডি অফিসের বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, তারা শুধু নিজেরাই পর্নো ভিডিও তৈরি করেননি, আরও অনেককেই এ জগতে সম্পৃক্ত করার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সোমবার, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিআইডির মালিবাগ প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আজিম ও বৃষ্টি মাত্র এক বছরেই আন্তর্জাতিক পর্নোতারকাদের মধ্যে শীর্ষ পারফরমারদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। ২০২৫ সালের চলতি অক্টোবর মাস পর্যন্ত একটি তালিকায় তারা অষ্টম স্থানে রয়েছে বলে দাবি করছে সিআইডি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে এক বছরে তাদের প্রকাশিত ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশি দেখা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ওঠে আসে।
সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে, একাধিক আন্তর্জাতিক পর্নো ওয়েবসাইটে তারা ভিডিও আপলোড করতো। এভাবে খোলাখুলি প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেলিগ্রাম, ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেও তারা প্রচারণা চালাতো।
এসব প্রচারণায় ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদের প্রলুদ্ধ করে বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করতো তারা। আগ্রহীরা নতুন ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে টেলিগ্রামের মাধ্যমে
যোগাযোগ করলে তাদেরকেও উদ্বুদ্ধ করতো এই যুগল। টেলিগ্রাম চ্যানেলে নতুন ক্রিয়েটর এড করলে নগদ অর্থ দেয়া হবে বলেও তারা বিজ্ঞাপন প্রচার করতো।
দরিদ্র পরিবার থেকে ওঠে আসলেও অনলাইনে তাদের বিলাসবহুল জীবনের ছবি আপলোড করতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি না পেরোনো এই যুগল। বিষয়টি সামাজিক ও নৈতিকভাবে উদ্বেগজনক এবং একইভাবে বেআইনি হওয়ায় দ্রুততম সময়ে এই পর্নোতারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট।
তাদের কাছ থেকে মোবাইল সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ পর্নো ভিডিও তেরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আজিম ও বৃষ্টির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শনাক্ত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এই সব তথ্য জানিয়েছেন।