সঞ্চয়পত্রের সার্ভার থেকে গ্রাহকের তথ্য জালিয়াতি করে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় মতিঝিল এলাকা থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার, (৩১ অক্টোবর ২০২৫) মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে আমরা দুপুরে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। তিনি এখন থানা হেফাজতে রয়েছেন।’
মামলায় বাদী হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ ও আল আমিন। এর মধ্যে মারুফ এলাহী রনি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
মামলা এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা এসএম রেজভী আয়কর রিটার্ন পূরণ করতে গিয়ে দেখেন, গত ১৩ অক্টোবর কেনা তার ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখানো হচ্ছে। অথচ তিনি নগদায়নের কোনো আবেদনই করেননি।
মামলায় বলা হয়, গত ২৩ অক্টোবর সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করা হয়। তবে শাখায় নগদায়নের কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আসামিরা প্রথমে ২২ অক্টোবর সার্ভারে গ্রাহক হিসেবে এসএম রেজভীর দেয়া মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে, এরপর ব্যাংক হিসাবের তথ্য পরিবর্তন করা হয়। গ্রাহক এস এম রেজভীর দেয়া ব্যাংক হিসাবের পরিবর্তে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের দিনাজপুরের রানীগঞ্জ উপশাখায় আরিফুর রহমানের তথ্য দেয়া হয়। আরিফুর রহমানের সেই ব্যাংক হিসাবে গত ২৬ অক্টোবর সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, একই প্রক্রিয়ায় আরও দুই গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন আসামিরা। এর মধ্যে ডার্চবাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার একটি হিসাবে গত ২৭ অক্টোবর দুইটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা নগদায়ন হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের এই হিসাবটি মারুফ এলাহি রনির। তবে শেষ পর্যন্ত এই টাকা তারা তুলতে পারেনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
সঞ্চয়পত্রের সার্ভার থেকে গ্রাহকের তথ্য জালিয়াতি করে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় মতিঝিল এলাকা থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার, (৩১ অক্টোবর ২০২৫) মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে আমরা দুপুরে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। তিনি এখন থানা হেফাজতে রয়েছেন।’
মামলায় বাদী হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ ও আল আমিন। এর মধ্যে মারুফ এলাহী রনি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
মামলা এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা এসএম রেজভী আয়কর রিটার্ন পূরণ করতে গিয়ে দেখেন, গত ১৩ অক্টোবর কেনা তার ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখানো হচ্ছে। অথচ তিনি নগদায়নের কোনো আবেদনই করেননি।
মামলায় বলা হয়, গত ২৩ অক্টোবর সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করা হয়। তবে শাখায় নগদায়নের কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আসামিরা প্রথমে ২২ অক্টোবর সার্ভারে গ্রাহক হিসেবে এসএম রেজভীর দেয়া মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে, এরপর ব্যাংক হিসাবের তথ্য পরিবর্তন করা হয়। গ্রাহক এস এম রেজভীর দেয়া ব্যাংক হিসাবের পরিবর্তে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের দিনাজপুরের রানীগঞ্জ উপশাখায় আরিফুর রহমানের তথ্য দেয়া হয়। আরিফুর রহমানের সেই ব্যাংক হিসাবে গত ২৬ অক্টোবর সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, একই প্রক্রিয়ায় আরও দুই গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন আসামিরা। এর মধ্যে ডার্চবাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার একটি হিসাবে গত ২৭ অক্টোবর দুইটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা নগদায়ন হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের এই হিসাবটি মারুফ এলাহি রনির। তবে শেষ পর্যন্ত এই টাকা তারা তুলতে পারেনি।