জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের নতুন সম্প্রসারিত ভবনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ভেঙে দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ব্যতীত অপরিকল্পিত সকল নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে গত রোববার বেলা ১২টায় গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের সম্প্রসারিত নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ প্রমুখ। এরপর মানববন্ধন শেষে বেলা ২টায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের না করেই অপরিকল্পিত নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে দুই অনুষদের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে দেয় শিক্ষার্থীরা।এসময় তারা ভিত্তিপ্রস্তরে ‘গাছ না কেটে নিজের হাত কাটুন’, ‘আগে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন পরে ভবন’, ‘গাছ কাটলে হাত ভাঙবো’ ইত্যাদি লিখে দেন।
এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের নেতাকর্মীরা জানায়, তাদের আন্দোলন ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। তারা দীর্ঘদিন যাবত মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্প্রতি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেই উদ্যোগ হঠাৎ স্তিমিত হয়ে গেছে। তাই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ব্যতীত গাছ কেটে আপাতত কোনো ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেয়া হবে না বলে জানান তারা। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ভবন নির্মাণ করতে হবে। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া আমরা একটি ভবনও হতে দিবো না। আগে মাস্টারপ্ল্যান পরে ভবন। এখানে প্রায় ১৫০-২০০ গাছ আছে। গাছ কেটে বিশ্ববিদ্যালয়কে মরুভূমি বানানোর পাঁয়তারা রুখে দেয়া হবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষার্থে মাস্টারপ্ল্যানের বিকল্প নেই। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, আমরা শুরু থেকেই মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া যতগুলো ভবনই হয়েছে, তার অধিকাংশই অপূর্ণ। যত্রতত্র এসব ভবন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক সময় কাটা হয়ে দাঁড়াবে। তাই, মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া এ জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে দেয়া হবে না।
এদিকে মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরে টেন্ডার সংক্রান্ত জটিলতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য নুরুল আলম বলেন, এখন খুব দ্রুত এই কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো। ভবন না থাকার ফলে বর্তমানে ছোটো কক্ষে ক্লাস নিতে হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ল্যাবের সুবিধাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আশা করছি আধুনিক ভবন নির্মিত হলে এতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং শিক্ষা ও গবেষণা সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জীববিজ্ঞান অনুষদ এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ করা হবে। জীববিজ্ঞান অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের জন্য ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাগারের পশ্চিম পাশের জায়গা এবং গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দক্ষিণ পাশের জায়গাটি বেছে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের নতুন সম্প্রসারিত ভবনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ভেঙে দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ব্যতীত অপরিকল্পিত সকল নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে গত রোববার বেলা ১২টায় গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের সম্প্রসারিত নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ প্রমুখ। এরপর মানববন্ধন শেষে বেলা ২টায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের না করেই অপরিকল্পিত নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে দুই অনুষদের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে দেয় শিক্ষার্থীরা।এসময় তারা ভিত্তিপ্রস্তরে ‘গাছ না কেটে নিজের হাত কাটুন’, ‘আগে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন পরে ভবন’, ‘গাছ কাটলে হাত ভাঙবো’ ইত্যাদি লিখে দেন।
এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের নেতাকর্মীরা জানায়, তাদের আন্দোলন ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। তারা দীর্ঘদিন যাবত মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্প্রতি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেই উদ্যোগ হঠাৎ স্তিমিত হয়ে গেছে। তাই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ব্যতীত গাছ কেটে আপাতত কোনো ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেয়া হবে না বলে জানান তারা। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ভবন নির্মাণ করতে হবে। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া আমরা একটি ভবনও হতে দিবো না। আগে মাস্টারপ্ল্যান পরে ভবন। এখানে প্রায় ১৫০-২০০ গাছ আছে। গাছ কেটে বিশ্ববিদ্যালয়কে মরুভূমি বানানোর পাঁয়তারা রুখে দেয়া হবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষার্থে মাস্টারপ্ল্যানের বিকল্প নেই। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, আমরা শুরু থেকেই মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া যতগুলো ভবনই হয়েছে, তার অধিকাংশই অপূর্ণ। যত্রতত্র এসব ভবন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক সময় কাটা হয়ে দাঁড়াবে। তাই, মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া এ জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে দেয়া হবে না।
এদিকে মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরে টেন্ডার সংক্রান্ত জটিলতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য নুরুল আলম বলেন, এখন খুব দ্রুত এই কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো। ভবন না থাকার ফলে বর্তমানে ছোটো কক্ষে ক্লাস নিতে হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ল্যাবের সুবিধাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আশা করছি আধুনিক ভবন নির্মিত হলে এতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং শিক্ষা ও গবেষণা সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জীববিজ্ঞান অনুষদ এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ করা হবে। জীববিজ্ঞান অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের জন্য ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাগারের পশ্চিম পাশের জায়গা এবং গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দক্ষিণ পাশের জায়গাটি বেছে নেওয়া হয়েছে।