ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্তব্যে চরম অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে কাঙ্খিত পাঠ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড়খড়ি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। এ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে চলাচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম । এ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত চন্দ্র রায় ও তাছিকুল ইসলাম তাদের পরিবর্তে ষাটোর্ধো বয়সি আকবর আলি ও সুমি আক্তারকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রক্সি শিক্ষক হিসাবে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে । অভিযুক্ত এ শিক্ষক-শিক্ষিকাদ্বয় প্রতিমাসে বিদ্যালয়ে ২/১ দিন আসেন। বিদ্যালয় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই এ দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চিনেন না।
শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয় আসলেও সঠিক ও কাঙ্খিত পাঠ্য গ্রহণ করতে পারছেন না । প্রশিক্ষণ হীন এসব অনভিজ্ঞ প্রক্সি শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা পাঠ্যদান করায় শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর ফলে সঠিক পাঠ্য কারিকুলাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি চর অঞ্চলে হওয়ায় তেমন কোন নজরদারী ও তদারকি নেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও প্রক্সি শিক্ষক আকবার আলী ও সুমি আক্তার উপস্থিত আছেন। লুঙ্গি পড়া ৭০ বছর বয়সি প্রক্সি শিক্ষক আকবর আলী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস দিচ্ছেন একটি কক্ষেই ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, শিক্ষকরা মাসে এক দুই দিন আসে খাতায় স্বাক্ষর করার জন্য। অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় শুধু বেতন ভাতাদি তুলেন নিয়মিত । অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণ সুন্দর খাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মধ্যম সুন্দরখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। সে কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তেমন একটা বিদ্যালয়ে আসেনা। এ বিদ্যালয় দুইটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সবুজকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত ও সময়মত বিদ্যালয়ে আসেন না।
বলা চলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙ্গে পড়ায় উদ্বিগ্ন ও হতাশায় ভুগছেন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকগণ।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান এবিষয়ে যানতে চাইলে, তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়
পাঠদান করানোর কোন নিয়ম নেই।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবু কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, প্রতি মাসে দায়িত্বে থাকা এ,টি,ও কমপক্ষে একবার করে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়া বাধ্যতামূলক নিয়ম রয়েছে । সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা এ,টি,ও এর জোগসাজোস ছাড় প্রক্সি শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব না।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্তব্যে চরম অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে কাঙ্খিত পাঠ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড়খড়ি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। এ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে চলাচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম । এ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত চন্দ্র রায় ও তাছিকুল ইসলাম তাদের পরিবর্তে ষাটোর্ধো বয়সি আকবর আলি ও সুমি আক্তারকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রক্সি শিক্ষক হিসাবে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে । অভিযুক্ত এ শিক্ষক-শিক্ষিকাদ্বয় প্রতিমাসে বিদ্যালয়ে ২/১ দিন আসেন। বিদ্যালয় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই এ দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চিনেন না।
শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয় আসলেও সঠিক ও কাঙ্খিত পাঠ্য গ্রহণ করতে পারছেন না । প্রশিক্ষণ হীন এসব অনভিজ্ঞ প্রক্সি শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা পাঠ্যদান করায় শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর ফলে সঠিক পাঠ্য কারিকুলাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি চর অঞ্চলে হওয়ায় তেমন কোন নজরদারী ও তদারকি নেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও প্রক্সি শিক্ষক আকবার আলী ও সুমি আক্তার উপস্থিত আছেন। লুঙ্গি পড়া ৭০ বছর বয়সি প্রক্সি শিক্ষক আকবর আলী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস দিচ্ছেন একটি কক্ষেই ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, শিক্ষকরা মাসে এক দুই দিন আসে খাতায় স্বাক্ষর করার জন্য। অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় শুধু বেতন ভাতাদি তুলেন নিয়মিত । অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণ সুন্দর খাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মধ্যম সুন্দরখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। সে কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তেমন একটা বিদ্যালয়ে আসেনা। এ বিদ্যালয় দুইটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সবুজকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত ও সময়মত বিদ্যালয়ে আসেন না।
বলা চলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙ্গে পড়ায় উদ্বিগ্ন ও হতাশায় ভুগছেন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকগণ।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান এবিষয়ে যানতে চাইলে, তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়
পাঠদান করানোর কোন নিয়ম নেই।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবু কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, প্রতি মাসে দায়িত্বে থাকা এ,টি,ও কমপক্ষে একবার করে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়া বাধ্যতামূলক নিয়ম রয়েছে । সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা এ,টি,ও এর জোগসাজোস ছাড় প্রক্সি শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব না।