alt

অধ্যক্ষসহ আইডিয়াল কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০৪ জুন ২০২২

রাজধানীর ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ তিন শিক্ষককে নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কলেজের পরিচালনা পর্ষদ তাদের বরখাস্ত করে। অপর দুই শিক্ষক হলেন পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলি।

শনিবার সন্ধ্যায় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কলেজের শিক্ষকেরা দুই শিক্ষক ও অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করে শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন করেছিলেন।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ একাধিক শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ইউনিফর্ম দেওয়ার নামে রসিদ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি টাকা। বিধি ভেঙে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধন সনদ ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১১ শিক্ষককে।

১১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র দুই বছরে ভাঙা হয়েছে। এ রকম অনেক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে এসব অভিযোগের সত্যতাও পায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও মতামতের বিষয়ে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জবাব চাওয়ার পর কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ মাউশির কাছে জবাবও দিয়েছেন।

জসিম উদ্দীন ২০১৭ সালের মার্চে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে ২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন। তৎকালীন কর্তৃপক্ষ যোগ্যতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ না পাওয়ার অজুহাতে তখন নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে। এরপর পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে জসিম উদ্দীন আবেদন করে অধ্যক্ষ হন। অভিযোগ, তৎকালীন পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যের সহযোগিতায় তিনি নিয়োগ পান।

অভিযোগ ওঠে, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন, পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলি একই সঙ্গে কলেজ থেকে কোনো ছুটি বা কোনো অনুমতি ছাড়াই ‘অনলাইন বা অন্য কোনো উপায়ে’ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে তা কলেজে জমা দিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও উচ্চতর পদোন্নতি পান। এর মধ্যে একজনের চাকরির অভিজ্ঞতার সনদ নিয়েও অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে মাউশির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন সম্পর্কে অধ্যক্ষ ও অপর দুই শিক্ষক প্রশ্নের উত্তর দেননি; প্রমাণও সরবরাহ করেননি।

প্রতিবছর একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সময় বাধ্যতামূলকভাবে কলেজের ইউনিফর্মের কাপড় ও জুতা বাবদ প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও প্রত্যেক ছাত্রীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। অভিযোগ আছে, নিম্নমানের কাপড় ও জুতা দেওয়া হয়। এসব নিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়। এ খাতে লাভের টাকা কয়েকজনের পকেটে যায়। এ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে মাউশির তদন্ত কমিটি।

আইডিয়াল কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তাদের অধিকাংশই উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। আটটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়; যেখানে শিক্ষার্থী পাঁচ শতাধিক। কলেজের নানা অনিয়মের অভিযোগ সরকারের শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষকেরা। তাতে বর্তমান অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদের নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ করা হয়।

সময় বেঁধে দিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের

ছবি

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে ১০ শিক্ষার্থী

ছবি

বুয়েটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু ১৬ নভেম্বর

ছবি

শনিবারেও ক্লাস এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

ছবি

বছরে ১০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের

ছবি

৪৯তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার ২ নভেম্বর শুরু

ছবি

সিরাজগঞ্জে ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

ইডেন ও বদরুন্নেসায় ‘সহশিক্ষা’ চালুর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

আজ থেকে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ‘হাতাহাতি’: সরকারি কলেজগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

ছবি

এমআইএসটির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

ছবি

এইচএসসির ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে খুলেছে স্কুল, রোববার থেকে কলেজ

ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২-৩ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

১২ ডিসেম্বর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছবি

শিক্ষক দিবসে নারায়ণগঞ্জে ৫ শিক্ষককে সন্মাননা দেয়া হয়েছে

ছবি

এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়লো ৫০০ টাকা, প্রত্যাখান

ছবি

ইউজিসি সদস্য হলেন চাবিপ্রবি উপাচার্য

ছবি

শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হার্টে অস্ত্রোপচার

ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগেও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই

ছবি

স্বাতন্ত্র্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ‘অক্সফোর্ড মডেলে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাত কলেজের শিক্ষকদের

ছবি

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর

ছবি

জরিপ: পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের, ভোট দিতে চান ৯৪ শতাংশ

ছবি

এসএসসি পরীক্ষায় ১৪০টি ভেন্যু কেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর বোর্ড

ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়!

ছবি

ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি: কাউন্সিল নিয়ে কর্তৃত্বের ‘দ্বন্দ্ব’

ছবি

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

৪৭তম বিসিএস: পৌনে চার লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রিলিমিনারি সম্পন্ন

ছবি

ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ: উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষা সংকোচন, কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির চেষ্টার অভিযোগ

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

tab

অধ্যক্ষসহ আইডিয়াল কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০৪ জুন ২০২২

রাজধানীর ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ তিন শিক্ষককে নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কলেজের পরিচালনা পর্ষদ তাদের বরখাস্ত করে। অপর দুই শিক্ষক হলেন পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলি।

শনিবার সন্ধ্যায় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কলেজের শিক্ষকেরা দুই শিক্ষক ও অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করে শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন করেছিলেন।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ একাধিক শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ইউনিফর্ম দেওয়ার নামে রসিদ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি টাকা। বিধি ভেঙে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধন সনদ ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১১ শিক্ষককে।

১১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র দুই বছরে ভাঙা হয়েছে। এ রকম অনেক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে এসব অভিযোগের সত্যতাও পায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও মতামতের বিষয়ে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জবাব চাওয়ার পর কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ মাউশির কাছে জবাবও দিয়েছেন।

জসিম উদ্দীন ২০১৭ সালের মার্চে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে ২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন। তৎকালীন কর্তৃপক্ষ যোগ্যতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ না পাওয়ার অজুহাতে তখন নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে। এরপর পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে জসিম উদ্দীন আবেদন করে অধ্যক্ষ হন। অভিযোগ, তৎকালীন পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যের সহযোগিতায় তিনি নিয়োগ পান।

অভিযোগ ওঠে, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন, পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলি একই সঙ্গে কলেজ থেকে কোনো ছুটি বা কোনো অনুমতি ছাড়াই ‘অনলাইন বা অন্য কোনো উপায়ে’ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে তা কলেজে জমা দিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও উচ্চতর পদোন্নতি পান। এর মধ্যে একজনের চাকরির অভিজ্ঞতার সনদ নিয়েও অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে মাউশির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন সম্পর্কে অধ্যক্ষ ও অপর দুই শিক্ষক প্রশ্নের উত্তর দেননি; প্রমাণও সরবরাহ করেননি।

প্রতিবছর একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সময় বাধ্যতামূলকভাবে কলেজের ইউনিফর্মের কাপড় ও জুতা বাবদ প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও প্রত্যেক ছাত্রীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। অভিযোগ আছে, নিম্নমানের কাপড় ও জুতা দেওয়া হয়। এসব নিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়। এ খাতে লাভের টাকা কয়েকজনের পকেটে যায়। এ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে মাউশির তদন্ত কমিটি।

আইডিয়াল কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তাদের অধিকাংশই উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। আটটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়; যেখানে শিক্ষার্থী পাঁচ শতাধিক। কলেজের নানা অনিয়মের অভিযোগ সরকারের শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষকেরা। তাতে বর্তমান অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদের নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ করা হয়।

back to top