বিরোধীদলের ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের’ অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ‘কমিউনিস্ট বাহিনীর’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি ‘সহানুভূতিশীল ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন তিনি।
ভাষণে ইউন সুক ইওল বলেন, ‘উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’ সামরিক আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ পুনর্গঠন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তবে ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামরিক আইন ঘোষণার বিরোধিতা করবো এবং জনগণের সঙ্গে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো।’ উদারপন্থী বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এই ঘোষণার পরপরই জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত সংসদের সঙ্গে ইউনের মতবিরোধ চলে আসছে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং পিপল পাওয়ার পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে চলমান অচলাবস্থা আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, জাতীয় পরিষদ রাষ্ট্রের প্রধান কার্যক্রম, মাদক অপরাধ প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। এতে জনগণ অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়েছে, রাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশটি মাদকের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।
প্রেসিডেন্ট ইউনের স্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউন। ফলে বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এ অবস্থায় সামরিক আইন জারির এই পদক্ষেপ দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিরোধীদলের ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের’ অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ‘কমিউনিস্ট বাহিনীর’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি ‘সহানুভূতিশীল ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন তিনি।
ভাষণে ইউন সুক ইওল বলেন, ‘উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’ সামরিক আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ পুনর্গঠন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তবে ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামরিক আইন ঘোষণার বিরোধিতা করবো এবং জনগণের সঙ্গে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো।’ উদারপন্থী বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এই ঘোষণার পরপরই জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত সংসদের সঙ্গে ইউনের মতবিরোধ চলে আসছে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং পিপল পাওয়ার পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে চলমান অচলাবস্থা আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, জাতীয় পরিষদ রাষ্ট্রের প্রধান কার্যক্রম, মাদক অপরাধ প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। এতে জনগণ অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়েছে, রাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশটি মাদকের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।
প্রেসিডেন্ট ইউনের স্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউন। ফলে বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এ অবস্থায় সামরিক আইন জারির এই পদক্ষেপ দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।