ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চল মিন্দানাও উপকূলের কাছে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ফিলিপিন্স ও ইন্দোনেশিয়া সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ফিলিপিন্সের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (PHIVOLCS) জানিয়েছে, তারা ‘প্রাণঘাতী ঢেউসহ ধ্বংসাত্মক সুনামি’র আশঙ্কা করছে।
প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের (PTWC) সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুনামির কারণে ফিলিপিন্সের কিছু এলাকায় ঢেউ স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ইন্দোনেশিয়া ও পালাউয়ের উপকূলেও ঢেউ তিন ফুটের বেশি উচ্চতায় উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপিন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনামির প্রথম ঢেউ স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১২টার আগেই আঘাত হানতে পারে এবং এটি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
ইনস্টিটিউটটি ঝুঁকিতে থাকা প্রদেশগুলোর উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলেছে,
> “অবিলম্বে উঁচু এলাকায় চলে যান অথবা যতদূর সম্ভব তীর থেকে দূরে সরে যান।”
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দাভাও শহরের একটি হাসপাতালের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়—রোগী ও কর্মীরা দ্রুত ভবন ত্যাগ করতে গিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া দাভাওয়ের বিভিন্ন এলাকায় শপিং মল ও ভবনের বাইরে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে।
দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে আসে এবং বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামি সতর্কতা জারির পর প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপিন্সের উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সুলাওয়েসির উত্তরাঞ্চল ও পাপুয়া অঞ্চলও সুনামির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই দুটি অঞ্চল ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
দেশটির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের শান্ত থাকতে এবং যাচাইবিহীন তথ্য শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বলেছে,
> “ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বা ফাটল ধরা ভবন থেকে দূরে থাকুন। আপনার বাড়ি নিরাপদ কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন—নিশ্চিত না হয়ে কোনোভাবেই ঘরে প্রবেশ করবেন না।”
---
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চল মিন্দানাও উপকূলের কাছে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ফিলিপিন্স ও ইন্দোনেশিয়া সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ফিলিপিন্সের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (PHIVOLCS) জানিয়েছে, তারা ‘প্রাণঘাতী ঢেউসহ ধ্বংসাত্মক সুনামি’র আশঙ্কা করছে।
প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের (PTWC) সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুনামির কারণে ফিলিপিন্সের কিছু এলাকায় ঢেউ স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ইন্দোনেশিয়া ও পালাউয়ের উপকূলেও ঢেউ তিন ফুটের বেশি উচ্চতায় উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপিন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনামির প্রথম ঢেউ স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১২টার আগেই আঘাত হানতে পারে এবং এটি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
ইনস্টিটিউটটি ঝুঁকিতে থাকা প্রদেশগুলোর উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলেছে,
> “অবিলম্বে উঁচু এলাকায় চলে যান অথবা যতদূর সম্ভব তীর থেকে দূরে সরে যান।”
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দাভাও শহরের একটি হাসপাতালের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়—রোগী ও কর্মীরা দ্রুত ভবন ত্যাগ করতে গিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া দাভাওয়ের বিভিন্ন এলাকায় শপিং মল ও ভবনের বাইরে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে।
দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে আসে এবং বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামি সতর্কতা জারির পর প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপিন্সের উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সুলাওয়েসির উত্তরাঞ্চল ও পাপুয়া অঞ্চলও সুনামির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই দুটি অঞ্চল ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
দেশটির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের শান্ত থাকতে এবং যাচাইবিহীন তথ্য শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বলেছে,
> “ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বা ফাটল ধরা ভবন থেকে দূরে থাকুন। আপনার বাড়ি নিরাপদ কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন—নিশ্চিত না হয়ে কোনোভাবেই ঘরে প্রবেশ করবেন না।”
---