মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ছবি: রয়টার্স
ভেনেজুয়েলার জনগণের ‘গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে’ ভূমিকার জন্য দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো পেয়েছেন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার।
নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউট আজ শুক্রবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০৬তম শান্তির নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এবার ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার।
‘অন্ধকার সময়েও গণতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন’
নোবেল কমিটি মাচাদোকে এমন এক নারী হিসেবে বর্ণনা করেছে, যিনি “অন্ধকার সময়েও গণতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন”।
তাদের ভাষায়, “গণতন্ত্রের পক্ষে নিরলস সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তারই প্রাপ্য।”
মাদুরো সরকারের কঠোর সমালোচক
৫৮ বছর বয়সী মাচাদো একজন **ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার** এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট **নিকোলাস মাদুরো সরকারের অন্যতম কড়া সমালোচক**।
তিনি বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার আদালত তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করে, যাতে তিনি মাদুরোকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন।
বিভক্ত বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন
নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও মাচাদো দেশটির বিভক্ত বিরোধীদলগুলোকে একত্র করতে সক্ষম হন।
তিনি নিজের পরিবর্তে প্রার্থী **এডমুন্ডো গনজালেসের** পক্ষে প্রচারণা চালান। ভোটের প্রাথমিক ফলাফল গনজালেসের জয়ের ইঙ্গিত দিলেও, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন পরে মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত
আত্মগোপনে থেকেও মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিবিসির তথ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি এক বিক্ষোভে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রকাশ্যে আসেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত বছর ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল পেয়েছিল জাপানের তৃণমূল সংগঠন ‘নিহোন হিদাংকিয়ো’, যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের নেতৃত্বে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার আন্দোলনে কাজ করছে।
---
মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ছবি: রয়টার্স
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ভেনেজুয়েলার জনগণের ‘গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে’ ভূমিকার জন্য দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো পেয়েছেন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার।
নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউট আজ শুক্রবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০৬তম শান্তির নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এবার ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার।
‘অন্ধকার সময়েও গণতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন’
নোবেল কমিটি মাচাদোকে এমন এক নারী হিসেবে বর্ণনা করেছে, যিনি “অন্ধকার সময়েও গণতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন”।
তাদের ভাষায়, “গণতন্ত্রের পক্ষে নিরলস সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তারই প্রাপ্য।”
মাদুরো সরকারের কঠোর সমালোচক
৫৮ বছর বয়সী মাচাদো একজন **ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার** এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট **নিকোলাস মাদুরো সরকারের অন্যতম কড়া সমালোচক**।
তিনি বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার আদালত তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করে, যাতে তিনি মাদুরোকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন।
বিভক্ত বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন
নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও মাচাদো দেশটির বিভক্ত বিরোধীদলগুলোকে একত্র করতে সক্ষম হন।
তিনি নিজের পরিবর্তে প্রার্থী **এডমুন্ডো গনজালেসের** পক্ষে প্রচারণা চালান। ভোটের প্রাথমিক ফলাফল গনজালেসের জয়ের ইঙ্গিত দিলেও, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন পরে মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত
আত্মগোপনে থেকেও মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিবিসির তথ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি এক বিক্ষোভে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রকাশ্যে আসেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত বছর ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল পেয়েছিল জাপানের তৃণমূল সংগঠন ‘নিহোন হিদাংকিয়ো’, যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের নেতৃত্বে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার আন্দোলনে কাজ করছে।
---