চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বিমুখী নীতির চিরাচরিত উদাহরণ’ বলে মন্তব্য করেছে চীন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “চীন সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধকে ভয় পায় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি হুমকি বাস্তবায়ন করেন, আমরাও নিজেদের মতো করে পাল্টা ব্যবস্থা নেব।”
বিরল খনিজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি, ট্রাম্পের ক্ষোভ
চীন সম্প্রতি বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহকে সীমিত করতে পারে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, চীন “অত্যন্ত শত্রুভাবাপন্ন হয়ে উঠছে” এবং “বিশ্বকে বন্দি করে রাখার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও হুমকি দেন, এই মাসের শেষ দিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক থেকেও তিনি সরে আসতে পারেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যে বাজার অস্থিরতা
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকের ২.৭ শতাংশ পতন ঘটে, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে বড় একদিনের পতন।
তবে পরে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, “চীন নিয়ে চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে! প্রেসিডেন্ট শি শুধু একটি বাজে মুহূর্ত পার করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র চীনের ক্ষতি নয়, বরং সহায়তা করতে চায়।”
চীনের পাল্টা বার্তা
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ধারণাকে অতিরঞ্জিত করেছে এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপব্যবহার করেছে। শুল্কের হুমকি সম্পর্ক গড়ার সঠিক উপায় নয়।”
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তাদের নিজস্ব বিরল মৃত্তিকা খনিজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য “স্বাভাবিক পদক্ষেপ।”
“আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ চাই না, কিন্তু ভয়ও পাই না,” — বলেছে বেইজিং।
চুক্তির অগ্রগতি হুমকিতে
এর আগে গত মে মাসে দুই দেশ একে অপরের পণ্যের ওপর তিন অঙ্কের শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু নতুন উত্তেজনায় সেই সমঝোতা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে, অন্যদিকে চীনে প্রবেশকারী মার্কিন পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের সাম্প্রতিক এই মন্তব্য ভবিষ্যৎ আলোচনার আগে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার কৌশল হতে পারে।
এই মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের সম্ভাব্য বৈঠক হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বিমুখী নীতির চিরাচরিত উদাহরণ’ বলে মন্তব্য করেছে চীন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “চীন সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধকে ভয় পায় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি হুমকি বাস্তবায়ন করেন, আমরাও নিজেদের মতো করে পাল্টা ব্যবস্থা নেব।”
বিরল খনিজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি, ট্রাম্পের ক্ষোভ
চীন সম্প্রতি বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহকে সীমিত করতে পারে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, চীন “অত্যন্ত শত্রুভাবাপন্ন হয়ে উঠছে” এবং “বিশ্বকে বন্দি করে রাখার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও হুমকি দেন, এই মাসের শেষ দিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক থেকেও তিনি সরে আসতে পারেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যে বাজার অস্থিরতা
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকের ২.৭ শতাংশ পতন ঘটে, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে বড় একদিনের পতন।
তবে পরে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, “চীন নিয়ে চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে! প্রেসিডেন্ট শি শুধু একটি বাজে মুহূর্ত পার করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র চীনের ক্ষতি নয়, বরং সহায়তা করতে চায়।”
চীনের পাল্টা বার্তা
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ধারণাকে অতিরঞ্জিত করেছে এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপব্যবহার করেছে। শুল্কের হুমকি সম্পর্ক গড়ার সঠিক উপায় নয়।”
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তাদের নিজস্ব বিরল মৃত্তিকা খনিজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য “স্বাভাবিক পদক্ষেপ।”
“আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ চাই না, কিন্তু ভয়ও পাই না,” — বলেছে বেইজিং।
চুক্তির অগ্রগতি হুমকিতে
এর আগে গত মে মাসে দুই দেশ একে অপরের পণ্যের ওপর তিন অঙ্কের শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু নতুন উত্তেজনায় সেই সমঝোতা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে, অন্যদিকে চীনে প্রবেশকারী মার্কিন পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের সাম্প্রতিক এই মন্তব্য ভবিষ্যৎ আলোচনার আগে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার কৌশল হতে পারে।
এই মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের সম্ভাব্য বৈঠক হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।