alt

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উপত্যকাটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ইতোমধ্যেই এই বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগে সহায়তা দেবে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বুধবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন। এই বাহিনীকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ২০০ সেনা মোতায়েনের সম্মতি দিয়েছে, তবে তারা সরাসরি গাজায় প্রবেশ করবে না।

মার্কিন ওই দুই উপদেষ্টা জানান, গাজা উপত্যকায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। এক উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন মূলত পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার ও আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা করছে।

উপদেষ্টারা জানান, বর্তমানে প্রায় দুই ডজন মার্কিন সেনা ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং তারা মূলত সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে আছেন।

সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গাজা সিটিতে সাতজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর বেসামরিক লোকজনকে এ ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করতে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান তারা।দ্বিতীয় উপদেষ্টা বলেন, কোনও ফিলিস্তিনিকেই গাজা উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। হামাসমুক্ত এলাকাগুলোতে পুনর্গঠনকাজের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টারা আরও জানান, নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাদের দেহাবশেষ ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরিত না হওয়া অস্ত্রের নিচে চাপা পড়ে আছে, ফলে উদ্ধার অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।

তারা বলেন, দেহাবশেষের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উপত্যকাটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ইতোমধ্যেই এই বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগে সহায়তা দেবে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বুধবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন। এই বাহিনীকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ২০০ সেনা মোতায়েনের সম্মতি দিয়েছে, তবে তারা সরাসরি গাজায় প্রবেশ করবে না।

মার্কিন ওই দুই উপদেষ্টা জানান, গাজা উপত্যকায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। এক উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন মূলত পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার ও আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা করছে।

উপদেষ্টারা জানান, বর্তমানে প্রায় দুই ডজন মার্কিন সেনা ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং তারা মূলত সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে আছেন।

সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গাজা সিটিতে সাতজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর বেসামরিক লোকজনকে এ ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করতে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান তারা।দ্বিতীয় উপদেষ্টা বলেন, কোনও ফিলিস্তিনিকেই গাজা উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। হামাসমুক্ত এলাকাগুলোতে পুনর্গঠনকাজের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টারা আরও জানান, নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাদের দেহাবশেষ ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরিত না হওয়া অস্ত্রের নিচে চাপা পড়ে আছে, ফলে উদ্ধার অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।

তারা বলেন, দেহাবশেষের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

ছবি

মারা গেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ছবি

রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে না ভারত: দাবি ট্রাম্পের

ছবি

সমুদ্রে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত বন্দর ফি আদায় শুরু

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে আফগান তালেবানের সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়

ছবি

সীমান্তে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাত শুরু

ছবি

তাইওয়ানকে ‘ভুলভাবে’ চিহ্নিত করায় চীনে ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ

ছবি

বল প্রয়োগ করে হলেও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ফের ইসরায়েলের বিধিনিষেধ, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

ছবি

গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই

ছবি

তালেবানের সাথে এত ঘনিষ্ঠতার কারণ কি, তবে কি স্বীকৃতি দিচ্ছে ভারত

ছবি

আরও চার জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করল হামাস

ছবি

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

ছবি

থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়বে’ চীন

ছবি

পাকিস্তান-আফগান লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি

ছবি

প্যালেস্টাইনি-ইসরায়েল বন্দিবিনিময়ের পর চুক্তি সই

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পসহ চার নেতার স্বাক্ষর

ছবি

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতির আহ্বান

ছবি

জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই ফের সশস্ত্র হয়েছে হামাস: ট্রাম্প

ছবি

গাজার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব হামাসের: ট্রাম্প

ছবি

জীবিত ২০ জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস

ছবি

পশ্চিমা শক্তিকে দুর্বল করতে একাট্টা চীন-রাশিয়া

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান লড়াই, কোন দিকে মোড় নেবে পরিস্থিতি

ছবি

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে ক্ষুব্ধ বেইজিং, ‘দ্বিমুখী নীতি’র অভিযোগ চীনের

ছবি

প্রথম ৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস

ছবি

ট্রাম্পের দাবি, গাজা যুদ্ধ ‘শেষ’

ছবি

গাজা: ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক, সোমবার মুক্তি পাচ্ছে জিম্মিরা

ছবি

সীমান্তে সংঘর্ষ: পাকিস্তানের ৫৮ সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু, বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার থেকে

ছবি

শান্তি প্রস্তাব মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

ছবি

ভারতে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ

ছবি

পাকিস্তানে তালেবানের হামলা নিয়ে মুখ খুলল ‘বন্ধু’ সৌদি!

tab

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উপত্যকাটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ইতোমধ্যেই এই বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগে সহায়তা দেবে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বুধবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন। এই বাহিনীকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ২০০ সেনা মোতায়েনের সম্মতি দিয়েছে, তবে তারা সরাসরি গাজায় প্রবেশ করবে না।

মার্কিন ওই দুই উপদেষ্টা জানান, গাজা উপত্যকায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। এক উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন মূলত পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার ও আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা করছে।

উপদেষ্টারা জানান, বর্তমানে প্রায় দুই ডজন মার্কিন সেনা ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং তারা মূলত সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে আছেন।

সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গাজা সিটিতে সাতজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর বেসামরিক লোকজনকে এ ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করতে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান তারা।দ্বিতীয় উপদেষ্টা বলেন, কোনও ফিলিস্তিনিকেই গাজা উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। হামাসমুক্ত এলাকাগুলোতে পুনর্গঠনকাজের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টারা আরও জানান, নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাদের দেহাবশেষ ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরিত না হওয়া অস্ত্রের নিচে চাপা পড়ে আছে, ফলে উদ্ধার অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।

তারা বলেন, দেহাবশেষের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উপত্যকাটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ইতোমধ্যেই এই বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগে সহায়তা দেবে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুই জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বুধবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একটি স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন। এই বাহিনীকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ২০০ সেনা মোতায়েনের সম্মতি দিয়েছে, তবে তারা সরাসরি গাজায় প্রবেশ করবে না।

মার্কিন ওই দুই উপদেষ্টা জানান, গাজা উপত্যকায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। এক উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন মূলত পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার ও আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা করছে।

উপদেষ্টারা জানান, বর্তমানে প্রায় দুই ডজন মার্কিন সেনা ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং তারা মূলত সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে আছেন।

সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গাজা সিটিতে সাতজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর বেসামরিক লোকজনকে এ ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করতে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান তারা।দ্বিতীয় উপদেষ্টা বলেন, কোনও ফিলিস্তিনিকেই গাজা উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। হামাসমুক্ত এলাকাগুলোতে পুনর্গঠনকাজের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টারা আরও জানান, নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের মৃতদেহ উদ্ধারে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাদের দেহাবশেষ ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরিত না হওয়া অস্ত্রের নিচে চাপা পড়ে আছে, ফলে উদ্ধার অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।

তারা বলেন, দেহাবশেষের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

back to top