ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিম বোলজার বুধবার (১৫ অক্টোবর) দেহত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীত্বকালে তিনি দেশটির মাওরি আদিবাসীদের সঙ্গে মূলধারার জনগোষ্ঠীর পুনর্মিলনের এক নতুন যুগ সূচনা করেছিলেন। তার পরিবারের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর কিডনি বিকল হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস বোলজার। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন স্ত্রী জোয়ান, তাদের নয় সন্তান এবং আঠারো নাতি-নাতনি।
বোলজার ১৯৭২ সালে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে তার দল ক্ষমতায় এলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৮ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন এক বিবৃতিতে বলেন, তার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, তারা জানেন বোলজার ছিলেন নীতিবান ও দৃঢ? সহকর্মী।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও তিনি ছিলেন সম্মানিত প্রতিদ্বন্দ্বী, যিনি কখনও ভিন্নমতকে ব্যক্তিগত শত্রুতায় পরিণত হতে দেননি। ক্ষমতায় থাকাকালে বোলজার মিশ্র আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনি পদ্ধতি চালু করেন, যা এখনও নিউজিল্যান্ডে বহাল রয়েছে।
তার সরকারই প্রথম মাওরিদের সঙ্গে উপনিবেশবাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্মিলনের চুক্তি সম্পন্ন করে। ওয়াইকাতো তাইনুই সম্প্রদায়ের প্রধান তুকোরাইরাঙ্গি মরগান বলেন, জিম বোলজারের অবদান আমরা চিরদিন মনে রাখব। তিনি নিউজিল্যান্ডকে এক আধুনিক ও ঐক্যবদ্ধ জাতিতে রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বোলজার ছিলেন দৃঢ প্রতিজ্ঞ রিপাবলিকান। তিনি ব্রিটিশ সাংবিধানিক রাজতন্ত্র থেকে নিউজিল্যান্ডকে আলাদা দেখতে চেয়েছিলেন। রাজনীতি ছাড়ার পর তিনি ব্রিটিশ নাইটহুড নিতে অস্বীকার করেন। পরে তাকে নিজ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান অর্ডার অব নিউজিল্যান্ড-এ ভূষিত করা হয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিম বোলজার বুধবার (১৫ অক্টোবর) দেহত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীত্বকালে তিনি দেশটির মাওরি আদিবাসীদের সঙ্গে মূলধারার জনগোষ্ঠীর পুনর্মিলনের এক নতুন যুগ সূচনা করেছিলেন। তার পরিবারের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর কিডনি বিকল হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস বোলজার। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন স্ত্রী জোয়ান, তাদের নয় সন্তান এবং আঠারো নাতি-নাতনি।
বোলজার ১৯৭২ সালে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে তার দল ক্ষমতায় এলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৮ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন এক বিবৃতিতে বলেন, তার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, তারা জানেন বোলজার ছিলেন নীতিবান ও দৃঢ? সহকর্মী।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও তিনি ছিলেন সম্মানিত প্রতিদ্বন্দ্বী, যিনি কখনও ভিন্নমতকে ব্যক্তিগত শত্রুতায় পরিণত হতে দেননি। ক্ষমতায় থাকাকালে বোলজার মিশ্র আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনি পদ্ধতি চালু করেন, যা এখনও নিউজিল্যান্ডে বহাল রয়েছে।
তার সরকারই প্রথম মাওরিদের সঙ্গে উপনিবেশবাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্মিলনের চুক্তি সম্পন্ন করে। ওয়াইকাতো তাইনুই সম্প্রদায়ের প্রধান তুকোরাইরাঙ্গি মরগান বলেন, জিম বোলজারের অবদান আমরা চিরদিন মনে রাখব। তিনি নিউজিল্যান্ডকে এক আধুনিক ও ঐক্যবদ্ধ জাতিতে রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বোলজার ছিলেন দৃঢ প্রতিজ্ঞ রিপাবলিকান। তিনি ব্রিটিশ সাংবিধানিক রাজতন্ত্র থেকে নিউজিল্যান্ডকে আলাদা দেখতে চেয়েছিলেন। রাজনীতি ছাড়ার পর তিনি ব্রিটিশ নাইটহুড নিতে অস্বীকার করেন। পরে তাকে নিজ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান অর্ডার অব নিউজিল্যান্ড-এ ভূষিত করা হয়।