ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এমন তথ্যই জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি নথিতে। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদুরো রাডার ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান মেরামত এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে ওই দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে এসব অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই চিঠিটি মাদুরোর এক সিনিয়র সহকারী মস্কো সফরের সময় হস্তান্তর করেন।এছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছেও মাদুরো একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র–ভেনেজুয়েলা উত্তেজনার প্রেক্ষিতে “বিস্তৃত সামরিক সহযোগিতা” চেয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদুরো চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি রাডার শনাক্তকরণ ব্যবস্থার উৎপাদন দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওই নথিতে আরও বলা হয়েছে, মাদুরো তার চিঠিতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের “আগ্রাসন” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এটিকে কেবল ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নয়, বরং “চীনের মতো মতাদর্শ রয়েছে এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ” হিসেবে চিত্রিত করেন।
নথিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, ভেনেজুয়েলার পরিবহনমন্ত্রী রামন সেলেস্তিনো ভেলাসকেজ সম্প্রতি ইরান থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও ড্রোনের একটি চালান এনেছেন এবং শিগগিরই দেশটিতে তিনি সফর করবেন। এছাড়া এক ইরানি কর্মকর্তাকে তিনি জানান, ভেনেজুয়েলা “প্যাসিভ ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট”, “জিপিএস স্ক্র্যাম্বলার” এবং “কমপক্ষে এক হাজার কিলোমিটার পরিসরের ড্রোন” চায়।
মাদুরো ২০১৩ সালে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি তার জন্য ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হয়ে উঠেছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মাদক পাচারবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে যাত্রা অন্তত এক ডজন নৌযানে হামলা চালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছে। তবে এই মাদক পাচারের অভিযোগের কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা এবং মাদুরোও অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে অক্টোবরের শুরুর দিকে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি সামরিক কার্যক্রম নিয়ে মস্কো “গুরুতর উদ্বেগে” রয়েছে। এরপর গত বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়া ভেনেজুয়েলার সার্বভৌমত্বকে “সম্মান করে” এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যেই সমাধান হওয়া উচিত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এমন তথ্যই জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি নথিতে। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদুরো রাডার ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান মেরামত এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে ওই দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে এসব অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই চিঠিটি মাদুরোর এক সিনিয়র সহকারী মস্কো সফরের সময় হস্তান্তর করেন।এছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছেও মাদুরো একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র–ভেনেজুয়েলা উত্তেজনার প্রেক্ষিতে “বিস্তৃত সামরিক সহযোগিতা” চেয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদুরো চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি রাডার শনাক্তকরণ ব্যবস্থার উৎপাদন দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওই নথিতে আরও বলা হয়েছে, মাদুরো তার চিঠিতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের “আগ্রাসন” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এটিকে কেবল ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নয়, বরং “চীনের মতো মতাদর্শ রয়েছে এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ” হিসেবে চিত্রিত করেন।
নথিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, ভেনেজুয়েলার পরিবহনমন্ত্রী রামন সেলেস্তিনো ভেলাসকেজ সম্প্রতি ইরান থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও ড্রোনের একটি চালান এনেছেন এবং শিগগিরই দেশটিতে তিনি সফর করবেন। এছাড়া এক ইরানি কর্মকর্তাকে তিনি জানান, ভেনেজুয়েলা “প্যাসিভ ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট”, “জিপিএস স্ক্র্যাম্বলার” এবং “কমপক্ষে এক হাজার কিলোমিটার পরিসরের ড্রোন” চায়।
মাদুরো ২০১৩ সালে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি তার জন্য ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হয়ে উঠেছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মাদক পাচারবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে যাত্রা অন্তত এক ডজন নৌযানে হামলা চালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছে। তবে এই মাদক পাচারের অভিযোগের কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা এবং মাদুরোও অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে অক্টোবরের শুরুর দিকে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি সামরিক কার্যক্রম নিয়ে মস্কো “গুরুতর উদ্বেগে” রয়েছে। এরপর গত বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়া ভেনেজুয়েলার সার্বভৌমত্বকে “সম্মান করে” এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যেই সমাধান হওয়া উচিত।