একদিন আগেই বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন সংবাদ মাধ্যমকে বলছিলেন, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। আর মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছের দাম। গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। এরপর বেড়েছে মুরগিসহ পোল্ট্রি পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১০ মে) কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা কাজল জানান ‘মাছের দাম কেজিতে আরো ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ছে।’
বাজারে চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয় মাছ বিক্রি হচ্ছে-২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চাষের কৈ মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়া ২ কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।
সাড়ে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৩৫০ টাকা আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৬৫০ টাকায়।
পাশাপাশি মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা আর দেশি মাগুর মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।
এক মাসের ব্যবধানে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকা কেজি দরে, যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়।
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে।
মুরগির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা শুভ সংবাদকে বলেন, ‘কি কারণে মুরগির দাম বাড়ছে তা জানি না। বেশি দামে কিনে আনছি , বেশি দামে বিক্রি করছি।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রমজান মাসে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছিল ৭৫০ টাকায়। ঈদের আগে তা কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮০ টাকায় উঠেছিল। ঈদের এক মাস অতিবাহিত হলেও সেই দামে এখনও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০০ টাকায়। ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায়।
এ বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা ফরিদ সংবাদকে বলেন, ‘দাম কমার সম্ভাবনা নাই, আরও বাড়তে পারে।’
ডিমও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে একহালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা আর ডজন ১৫০ টাকায়।
ডাল ও মসলার দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা আবদুল কাইয়ুম সংবাদকে বলেন, ‘মুগডাল কেজি ১৮০ টাকা, খেসারি ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ১৩৫ টাকা আর বুটের ডাল বিক্রি করছি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এছাড়া সাদা এলাচ কেজি ৩২০০ টাকা, লং ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা, দারুচিনি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর জিরা মসলা ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকা।’
শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার হিসেবে যেমন বিক্রি হওয়ার কথা ছিল তেমন হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের সমস্ত পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকার কারণে নিম্নবিত্ত ও নিমন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে পণ্য। যে কারণে বাজারে ক্রেতা শূন্য।’
৫৯৬ গ্রাম ওজনের এক পিস কাঁচা পেঁপে ৪৮ টাকায় কিনে শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. এমদাদুল সংবাদকে বলেন, ‘পেঁপে অ্যাভেলেবেল, অথচ ৮০ টাকা কেজি নিলো। সবি সিন্ডিকেট, এটাই তো ....। কাঁচা মরিচ কয়েকদিন আগে খালি ৪০ টাকা কেজি ছিল, এখন ১৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম এই কয়দিনে কেজিতে ১০ টাকা বাড়ছে। দুই দিন আগে নিয়ে গেলাম ৩০০ টাকা পাল্লা এখন ৩৫০ টাকা।’
দাম বৃদ্ধি থেকে উত্তরণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা আর কি করার আছে। আমি আপনি কি করতে পারবো?’
ওই বাজারে কাঁচা পেঁপের দরদামের বিষয় জানতে চাইলে বিক্রেতা আল আমিন সংবাদকে বলেন, ‘৭০ টাকা কেনা, ১০ টাকা লাভ করতে হয়, ৮০ টাকা বেচি। দোকান ভাড়া ৯০০ টাকা। তিনটে চারটে লোক আছে।’
সাধারণত বৈশাখ মাসে লাউয়ের স্বাদ কমে যাওয়ায় ক্রেতা কম কেনায় দাম কমে যায়, অথচ শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এক পিস লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর চাল কুমড়া এক পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
কয়েকদিন আগের সস্তার লম্বা বেগুনের দাম কেজি ৮০ টাকা আর শসাও বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারেই দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকারিতে ভালো মানের (পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য মতে, পাবনা জেলায় উৎপাদিত) দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
খুচরা বাজার মানভেদে দেশি ডায়মন্ড জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারতে একই আলু কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৬ টাকায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
একদিন আগেই বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন সংবাদ মাধ্যমকে বলছিলেন, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। আর মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছের দাম। গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। এরপর বেড়েছে মুরগিসহ পোল্ট্রি পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১০ মে) কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা কাজল জানান ‘মাছের দাম কেজিতে আরো ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ছে।’
বাজারে চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয় মাছ বিক্রি হচ্ছে-২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চাষের কৈ মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়া ২ কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।
সাড়ে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৩৫০ টাকা আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৬৫০ টাকায়।
পাশাপাশি মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা আর দেশি মাগুর মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।
এক মাসের ব্যবধানে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকা কেজি দরে, যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়।
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে।
মুরগির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা শুভ সংবাদকে বলেন, ‘কি কারণে মুরগির দাম বাড়ছে তা জানি না। বেশি দামে কিনে আনছি , বেশি দামে বিক্রি করছি।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রমজান মাসে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছিল ৭৫০ টাকায়। ঈদের আগে তা কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮০ টাকায় উঠেছিল। ঈদের এক মাস অতিবাহিত হলেও সেই দামে এখনও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০০ টাকায়। ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায়।
এ বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা ফরিদ সংবাদকে বলেন, ‘দাম কমার সম্ভাবনা নাই, আরও বাড়তে পারে।’
ডিমও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে একহালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা আর ডজন ১৫০ টাকায়।
ডাল ও মসলার দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা আবদুল কাইয়ুম সংবাদকে বলেন, ‘মুগডাল কেজি ১৮০ টাকা, খেসারি ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ১৩৫ টাকা আর বুটের ডাল বিক্রি করছি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এছাড়া সাদা এলাচ কেজি ৩২০০ টাকা, লং ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা, দারুচিনি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর জিরা মসলা ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকা।’
শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার হিসেবে যেমন বিক্রি হওয়ার কথা ছিল তেমন হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের সমস্ত পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকার কারণে নিম্নবিত্ত ও নিমন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে পণ্য। যে কারণে বাজারে ক্রেতা শূন্য।’
৫৯৬ গ্রাম ওজনের এক পিস কাঁচা পেঁপে ৪৮ টাকায় কিনে শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. এমদাদুল সংবাদকে বলেন, ‘পেঁপে অ্যাভেলেবেল, অথচ ৮০ টাকা কেজি নিলো। সবি সিন্ডিকেট, এটাই তো ....। কাঁচা মরিচ কয়েকদিন আগে খালি ৪০ টাকা কেজি ছিল, এখন ১৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম এই কয়দিনে কেজিতে ১০ টাকা বাড়ছে। দুই দিন আগে নিয়ে গেলাম ৩০০ টাকা পাল্লা এখন ৩৫০ টাকা।’
দাম বৃদ্ধি থেকে উত্তরণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা আর কি করার আছে। আমি আপনি কি করতে পারবো?’
ওই বাজারে কাঁচা পেঁপের দরদামের বিষয় জানতে চাইলে বিক্রেতা আল আমিন সংবাদকে বলেন, ‘৭০ টাকা কেনা, ১০ টাকা লাভ করতে হয়, ৮০ টাকা বেচি। দোকান ভাড়া ৯০০ টাকা। তিনটে চারটে লোক আছে।’
সাধারণত বৈশাখ মাসে লাউয়ের স্বাদ কমে যাওয়ায় ক্রেতা কম কেনায় দাম কমে যায়, অথচ শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এক পিস লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর চাল কুমড়া এক পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
কয়েকদিন আগের সস্তার লম্বা বেগুনের দাম কেজি ৮০ টাকা আর শসাও বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারেই দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকারিতে ভালো মানের (পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য মতে, পাবনা জেলায় উৎপাদিত) দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
খুচরা বাজার মানভেদে দেশি ডায়মন্ড জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারতে একই আলু কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৬ টাকায়।