কোটা আন্দোলনের সপ্তম দিনে গতকাল রোববার পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগ মোড়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, নীলক্ষেত, কারওয়ান বাজার মোড়, আগারগাঁ মোড়, বাংলামোটর মোড়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় ও চানখারপুলে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। একে একে প্রায় পুরো ঢাকা ব্লকড করায় রাজধানী অচল হয়ে পড়ে। প্রতিটি রাস্তায় শতশত গাড়ি থেমে থাকতে দেখা গেছে। হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া চেষ্টা করেছেন। শুধু এম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়িগুলোকে ছেড়ে দেন তারা। আন্দোলনের কারণে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে অবরোধে শিক্ষার্থীরা, একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’'- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে অন্যান্য সড়কগুলোর অবরোধ ছেড়ে দিয়ে ঘন্টাখানেক শাহবাগ অবস্থান করেন। রাত ৮টার পর আজ সোমবার একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা বাতিলের এক দফা দাবির ঘোষনা দেয় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পরছে শহর থেকে শহরে। আগামী দিনে এটা আরো ছড়িয়ে পরবে। আমরা সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান অধিকার আদায়ে লড়াই করছি। আমাদের আদালত দেখালে আমরা সংবিধান দেখাব।
আদালত দেখানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আদালতের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে।আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করছি। আর কত? শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। হয় কোটা দূর করতে হবে নয়তোবা পুরো বাংলাদেশকে শতভাগ কোটার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, সব গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাস করতে হবে। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। একই সাথে সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি চলবে। আজকে শাহবাগ থেকে বাংলা মটর পর্যন্ত অবরোধ গিয়েছে কালকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাবে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘোষণা বলেন, এতদিন আমরা চার দফা নিয়ে আন্দোলন করেছি। আজ থেকে আমরা এক দফা নিয়ে আন্দোলন করবো আর সেটি হলো সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
কোটা আন্দোলনের সপ্তম দিনে গতকাল রোববার পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগ মোড়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, নীলক্ষেত, কারওয়ান বাজার মোড়, আগারগাঁ মোড়, বাংলামোটর মোড়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় ও চানখারপুলে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। একে একে প্রায় পুরো ঢাকা ব্লকড করায় রাজধানী অচল হয়ে পড়ে। প্রতিটি রাস্তায় শতশত গাড়ি থেমে থাকতে দেখা গেছে। হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া চেষ্টা করেছেন। শুধু এম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়িগুলোকে ছেড়ে দেন তারা। আন্দোলনের কারণে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে অবরোধে শিক্ষার্থীরা, একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’'- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে অন্যান্য সড়কগুলোর অবরোধ ছেড়ে দিয়ে ঘন্টাখানেক শাহবাগ অবস্থান করেন। রাত ৮টার পর আজ সোমবার একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা বাতিলের এক দফা দাবির ঘোষনা দেয় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পরছে শহর থেকে শহরে। আগামী দিনে এটা আরো ছড়িয়ে পরবে। আমরা সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান অধিকার আদায়ে লড়াই করছি। আমাদের আদালত দেখালে আমরা সংবিধান দেখাব।
আদালত দেখানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আদালতের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে।আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করছি। আর কত? শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। হয় কোটা দূর করতে হবে নয়তোবা পুরো বাংলাদেশকে শতভাগ কোটার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, সব গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাস করতে হবে। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। একই সাথে সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি চলবে। আজকে শাহবাগ থেকে বাংলা মটর পর্যন্ত অবরোধ গিয়েছে কালকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাবে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘোষণা বলেন, এতদিন আমরা চার দফা নিয়ে আন্দোলন করেছি। আজ থেকে আমরা এক দফা নিয়ে আন্দোলন করবো আর সেটি হলো সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।