জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পুরনো ও নতুন খতিবের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাযের সময় আগের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ না পড়া নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এর কিছু পরেই মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, ভেতরে নতুন এবং পুরাতন খতিব নিয়ে সমস্যা হয়েছে। পরে জেনেছি পুরাতন খতিব নামাজ পড়াতে পারেননি। নতুন খতিব জুমার নামাজ পড়িয়েছেন।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা জাহেদ আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে মসজিদে না আসা আগের খতিব রুহুল আমিন শুক্রবার ফিরে আসলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নামাজের আগে নিয়মানুযায়ী বায়তুল মোকাররম মসজিদের বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পুরানো খতিব মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদে ঢুকে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ নিয়ে ঝামেলা বেঁধে যায়। সাবেক ও বর্তমান খতিবের অনুসারীদের মধ্যে ‘হাতাহাতি ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের আরেক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তারা একপক্ষ আরেক পক্ষকে জুতার বাক্স থেকে জুতা বের করে ছুড়ে মেরেছে।
এ সময় পুলিশ মসজিদের বাইরে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাইরে দায়িত্বরত ছিলাম। আমরা বাইরে কোনো ঝামেলা হতে দেইনি। একটি গ্রুপ এসে বাইরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু আমরা তাদেরকে বাইরেও অবস্থান করতে দেইনি। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন খতিব ওয়ালিয়ুর রহমান খানের মাইক্রোফোনে পুরনো খতিব মুফতি রুহুল আমিন হাত দিলে বর্তমান খতিবের অনুসারীরা প্রতিবাদ করে ওঠেন। এরপর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়, এতে কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এই ঘটনায় মসজিতে নামাজ পড়তে যাওয়া সাধারণ ব্যক্তিরা এক পাশে সরে যান।
এক পর্যায়ে দেখা যায়, মসজিদের নিচ তলায় যেখানে ইমাম নামাজ পড়ান, সেই চত্বরে গিয়ে দুই পক্ষের অনুসারীরা দুই দিকে অবস্থান নেয়। ওই সময় তারা একে অপরের দিকে মসজিদের বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে নামাজ পড়তে আসা সাধারণ মানুষরা নিচতলা থেকে বেরিয়ে পড়েন বাইরে।
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে হাতাহাতি চলার পর সাবেক খতিব মুফতি রুহুল আমিন মসজিদ ছেড়ে চলে যান। পরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সহায়তায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া একটার দিকে অনেকে আবার মসজিদে ঢোকেন নামাজ পড়তে।
নামাজ শেষে মুসল্লিদের বের হয়ে যাওয়ার মধ্যেই কোনো এক খতিবের অনুসারীদের একটি গ্রুপ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় এসে অবস্থানের চেষ্টা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
উল্লেখ্য আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন আত্মগোপনে চলে যান। পরে খতিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওয়ালিউর রহমান খানকে।
বর্তমানে মসজিদ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন। ওই এলাকার পুলিশ সতর্ক আছেন বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পুরনো ও নতুন খতিবের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাযের সময় আগের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ না পড়া নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এর কিছু পরেই মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, ভেতরে নতুন এবং পুরাতন খতিব নিয়ে সমস্যা হয়েছে। পরে জেনেছি পুরাতন খতিব নামাজ পড়াতে পারেননি। নতুন খতিব জুমার নামাজ পড়িয়েছেন।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা জাহেদ আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে মসজিদে না আসা আগের খতিব রুহুল আমিন শুক্রবার ফিরে আসলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নামাজের আগে নিয়মানুযায়ী বায়তুল মোকাররম মসজিদের বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পুরানো খতিব মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদে ঢুকে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ নিয়ে ঝামেলা বেঁধে যায়। সাবেক ও বর্তমান খতিবের অনুসারীদের মধ্যে ‘হাতাহাতি ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের আরেক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তারা একপক্ষ আরেক পক্ষকে জুতার বাক্স থেকে জুতা বের করে ছুড়ে মেরেছে।
এ সময় পুলিশ মসজিদের বাইরে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাইরে দায়িত্বরত ছিলাম। আমরা বাইরে কোনো ঝামেলা হতে দেইনি। একটি গ্রুপ এসে বাইরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু আমরা তাদেরকে বাইরেও অবস্থান করতে দেইনি। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন খতিব ওয়ালিয়ুর রহমান খানের মাইক্রোফোনে পুরনো খতিব মুফতি রুহুল আমিন হাত দিলে বর্তমান খতিবের অনুসারীরা প্রতিবাদ করে ওঠেন। এরপর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়, এতে কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এই ঘটনায় মসজিতে নামাজ পড়তে যাওয়া সাধারণ ব্যক্তিরা এক পাশে সরে যান।
এক পর্যায়ে দেখা যায়, মসজিদের নিচ তলায় যেখানে ইমাম নামাজ পড়ান, সেই চত্বরে গিয়ে দুই পক্ষের অনুসারীরা দুই দিকে অবস্থান নেয়। ওই সময় তারা একে অপরের দিকে মসজিদের বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে নামাজ পড়তে আসা সাধারণ মানুষরা নিচতলা থেকে বেরিয়ে পড়েন বাইরে।
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে হাতাহাতি চলার পর সাবেক খতিব মুফতি রুহুল আমিন মসজিদ ছেড়ে চলে যান। পরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সহায়তায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া একটার দিকে অনেকে আবার মসজিদে ঢোকেন নামাজ পড়তে।
নামাজ শেষে মুসল্লিদের বের হয়ে যাওয়ার মধ্যেই কোনো এক খতিবের অনুসারীদের একটি গ্রুপ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় এসে অবস্থানের চেষ্টা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
উল্লেখ্য আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন আত্মগোপনে চলে যান। পরে খতিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওয়ালিউর রহমান খানকে।
বর্তমানে মসজিদ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন। ওই এলাকার পুলিশ সতর্ক আছেন বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।