জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে গুতেরেস জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, "আমরা আপনাদের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। যেকোনো সহযোগিতা লাগলে আমাদের জানান।"
জাতিসংঘ মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সংস্কার প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, "সংস্কার প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে।"
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, "পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে।" তিনি মানবিক সহায়তা হ্রাসকে "অপরাধ" আখ্যা দিয়ে বলেন, "পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করছে, অথচ মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে।"
অধ্যাপক ইউনূস গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আপনার সফর কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী।" তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর ইতোমধ্যে প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে। দলগুলো একমত হলে তারা "জুলাই সনদে" স্বাক্ষর করবে, যা গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও রাজনৈতিক, বিচারিক, প্রশাসনিক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কারের রূপরেখা হবে।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো "সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ" গ্রহণ করলে নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, আর "বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ" নিলে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "তারা যেন পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা পায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।"
গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, "রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমার জন্য একটি বিশেষ বিষয়।"
এছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, "বাংলাদেশ ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে রয়েছে।"
বৈঠকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা, আসিয়ানের সদস্যপদ, অর্থনীতি ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে নতুন বন্দর নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে দুর্বল অর্থনীতি পেয়েছে, তবে এখন তা সুসংহত হয়েছে। রপ্তানি বাড়ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, "আমরা এলডিসি উত্তরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
তিনি জানান, সরকারের লক্ষ্য লুটপাট হওয়া কয়েকশো বিলিয়ন ডলার ফেরত আনা।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে গুতেরেস জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, "আমরা আপনাদের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। যেকোনো সহযোগিতা লাগলে আমাদের জানান।"
জাতিসংঘ মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সংস্কার প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, "সংস্কার প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে।"
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, "পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে।" তিনি মানবিক সহায়তা হ্রাসকে "অপরাধ" আখ্যা দিয়ে বলেন, "পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করছে, অথচ মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে।"
অধ্যাপক ইউনূস গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আপনার সফর কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী।" তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর ইতোমধ্যে প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে। দলগুলো একমত হলে তারা "জুলাই সনদে" স্বাক্ষর করবে, যা গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও রাজনৈতিক, বিচারিক, প্রশাসনিক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কারের রূপরেখা হবে।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো "সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ" গ্রহণ করলে নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, আর "বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ" নিলে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "তারা যেন পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা পায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।"
গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, "রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমার জন্য একটি বিশেষ বিষয়।"
এছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, "বাংলাদেশ ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে রয়েছে।"
বৈঠকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা, আসিয়ানের সদস্যপদ, অর্থনীতি ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে নতুন বন্দর নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে দুর্বল অর্থনীতি পেয়েছে, তবে এখন তা সুসংহত হয়েছে। রপ্তানি বাড়ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, "আমরা এলডিসি উত্তরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
তিনি জানান, সরকারের লক্ষ্য লুটপাট হওয়া কয়েকশো বিলিয়ন ডলার ফেরত আনা।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস উপস্থিত ছিলেন।