alt

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চায় : উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস : শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে ‘সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা’ চালানোর অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। এই ইফতারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশগ্রহণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মিয়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার। আর ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরও ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।’

গুতেরেস বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গা মানসম্মত জীবনযাপন প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে জাতিসংঘ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার কথাও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে- এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো। কারণ, সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য

এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের কথা শুনেছেন এবং ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি নেতারা রাখাইনের গণহত্যার বিচার ও নিজ দেশে ফিরে যেতে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কাছে আকুতি জানান। পাশাপাশি খাবার বিল কমানোসহ টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্যও দেন তারা।

প্রধান উপদেষ্টার খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন

কক্সবাজারের খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়। প্রকল্পের ৮২ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ডিসেম্বর ২০২৬ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে: প্রধান উপদেষ্টা

কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান। কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে, যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সামুদ্রিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ সমুদ্রতীর রয়েছে এবং চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র।’

নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

তিনি লবণ উৎপাদনকারীদের কাছে জানতে চান, বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী কিনা। কেননা কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রপ্তানি করার সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বায়ুশক্তির (বায়ুপ্রবাহের শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন) সম্ভাবনা সম্পর্কে খোঁজ নেন।

স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।

তিনি স্থানীয় জনগণের কাছে তাদের ওপর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান।

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

এর আগে সকালে রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গুতেরেস চার দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় আসেন।

ছবি

রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান স্বেচ্ছা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন: গুতেরেস

ছবি

ফরিদপুরে নানা আয়োজনে পল্লীকবি জসিম উদদীন এর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

ছবি

বিসিআইসি সড়ক: পলাশের অর্থনীতিতে নতুনভাবে গতি সঞ্চার

৭ দিনে গ্রেপ্তার ৩৮৩, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার: আইএসপিআর

ঢাকার বাতাস সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অস্বাস্থ্যকর

ক্যাম্পাসে নেয়া হয়নি আরেফিন সিদ্দিককে, আজিমপুরে দাফন

এনআইডি প্রকল্পে ২২৩১ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে নেয়ার দাবি

রংপুরে হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে আসামিকে বাদ দেয়ার নামে থানায় তুলকালাম

অস্থির চালের বাজার, নতুন ধান না আসা পর্যন্ত স্বস্তির বার্তা নেই

দুই ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাপছে বাংলাদেশ ব্যাংক

খামারবাড়িতে বদলি ঘিরে ‘লঙ্কাকাণ্ড

বাইক টুকরো টুকরো, পাশে লাশ, পুলিশ বলছে ট্রাকের ধাক্কা

ছবি

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পূর্বাঞ্চলের টিকেট বিক্রি শুরু

ছবি

‘লন্ডনে টাকা পাচার’: সালমান, ছেলে ও ভাতিজার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

থামছে না মাগুরার শিশুটির স্বজনের কান্না, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

ছবি

রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে জাতিসংঘ : অ্যান্তোনিও গুতেরেস

ছবি

আমাদের সমুদ্র আছে, আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান : প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

জাতিসংঘ মহাসচিবের সংস্কার কর্মসূচিতে সমর্থন ও রোহিঙ্গা সংকটে উদ্বেগ

ছবি

কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ছবি

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

খামারবাড়িতে বদলি ঘিরে লঙ্কাকাণ্ড

ভেনেজুয়েলায় বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন-নাবিকের মুক্তির চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জেমকন গ্রুপের ৩৬ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

এনআইডি: দেশজুড়ে ইসি কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

এলডিসি থেকে উত্তরণ আগামী বছরই, উপদেষ্টা পরিষদে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

৩০ দল নির্ধারিত সময়ে মতামত দেয়নি: ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ছয় মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামি

যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ : ডিএমপি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু: আইন উপদেষ্টা

সর্বপ্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে

ছবি

ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশুটিকে বাঁচানো গেল না

ছবি

যশোরে প্রশিক্ষণ বিমানের ক্রাশ ল্যান্ডিং, অক্ষত দুই পাইলট

ছবি

সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম: বাংলাদেশ সরকার

tab

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চায় : উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে ‘সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা’ চালানোর অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। এই ইফতারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশগ্রহণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মিয়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার। আর ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরও ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।’

গুতেরেস বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গা মানসম্মত জীবনযাপন প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে জাতিসংঘ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার কথাও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে- এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো। কারণ, সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য

এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের কথা শুনেছেন এবং ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি নেতারা রাখাইনের গণহত্যার বিচার ও নিজ দেশে ফিরে যেতে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কাছে আকুতি জানান। পাশাপাশি খাবার বিল কমানোসহ টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্যও দেন তারা।

প্রধান উপদেষ্টার খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন

কক্সবাজারের খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়। প্রকল্পের ৮২ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ডিসেম্বর ২০২৬ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে: প্রধান উপদেষ্টা

কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান। কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে, যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সামুদ্রিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ সমুদ্রতীর রয়েছে এবং চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র।’

নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

তিনি লবণ উৎপাদনকারীদের কাছে জানতে চান, বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী কিনা। কেননা কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রপ্তানি করার সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বায়ুশক্তির (বায়ুপ্রবাহের শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন) সম্ভাবনা সম্পর্কে খোঁজ নেন।

স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।

তিনি স্থানীয় জনগণের কাছে তাদের ওপর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান।

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

এর আগে সকালে রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গুতেরেস চার দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় আসেন।

back to top