মূল ফটকে তালা, পদায়ন পাওয়া কর্মকর্তাকে হুমকি
’ রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদের বদলিকে কেন্দ্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহবুবের অনুসারী উত্তেজিত কিছু কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু লোক এসে খামারবাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে কিছু সময়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন। ঘণ্টা খানেকের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে খামারবাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই এর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-
পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) পদে নুতন নিয়োগ পাওয়া মো. মুরাদুল হাসানকেকে খামারবাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। মাহবুবুর রশীদের বদলি বাতিল না হলে তারা খামাবাড়ি অচল করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএই এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপ-পরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর নিয়োগ-পদায়ন বাণিজ্যসহ খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ ছিল। গতকাল মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচলক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হতে বাধা দেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ১৫-২০ জন কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু ব্যক্তি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মুরাদুল হাসানের ২০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে হুমকি দেন। এই কর্মকা-ে নেতৃত্বে ছিলেন বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই এর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলাম মুকুল, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (রপ্তানি) হাসান ইমাম, উপপরিচালক (লিগ্যাল ও সাপোর্ট সার্ভিসেস) এ কে এম হাসিবুল হাসান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (প্রশাসন-১) নাজিউর রোউফ খান বনি, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (প্রশাসন-২) মাসুম, মৌলভীবাজারের বীজ প্রত্যয়ন অফিসার গোলাম মোস্তফা শিমুল ও বিএনপি নেতা পরিচয়ে বহিরাগত সবুরসহ আরও কয়েকজন মুরাদুল হাসানের কক্ষে গিয়ে তাকে হুমকি দেন। হুমকির একটি অডিও গণমাধ্যমের কাছে এসেছে। অডিও রেকর্ডে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, রেজাউল ইসলাম মুকুল সরাসরি মুরাদুল হাসানকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অডিওতে মুরাদুল হাসানকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি এই মুহূর্তে খামারবাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। তুমি চেয়ারে বসতে পারবা না। তুমি খামারবাড়ি আর ডুকতে পারবা না। আগামী রোববার তোমার রুমে তালা মেরে দেব।’ এ সময় মুরাদুল হাসান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলে উত্তেজিত রেজাউল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘কিসের মন্ত্রণালয়। তুমি খামারবাড়ি থেকে না গেলে অন্যভাবে তাড়াবো। তুমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বলবা আমি নতুন পদে বসতে পারবো না।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক মো. হাবিবউল্লাহ্ বলেন, ঘটনার সময় আমি মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। বিকেল ৫টায় খামারবাড়িতে এসে দেখি মূল গেটে তালা ঝুলছে। তখন আমি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে তালা খোলার ব্যবস্থা করি। ভেতরে গিয়ে দেখি কিছু কর্মকর্তা বেশ ক্ষুব্ধ আচরণ করছেন। আমি তাদের সঙ্গে বসে পরিস্থতি শান্ত করেছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। সরকারি চাকরিতে বদলি-পদায়ন স্বাভাবিক নিয়ম। বিশৃঙ্খলা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এবিষয়ে ডিএই প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক পদে নতুন দায়িত্ব পাওয়া মো. মুরাদুল হাসান বলেন, বদলিকে ঘিরে কিছু কর্মকর্তা আমার রুমে এসেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এতে আমি কিছু মনে করিনি। আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে যাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি দপ্তরে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা নজিরবিহীন। প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মূল ফটকে তালা, পদায়ন পাওয়া কর্মকর্তাকে হুমকি
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
’ রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদের বদলিকে কেন্দ্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহবুবের অনুসারী উত্তেজিত কিছু কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু লোক এসে খামারবাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে কিছু সময়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন। ঘণ্টা খানেকের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে খামারবাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই এর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-
পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) পদে নুতন নিয়োগ পাওয়া মো. মুরাদুল হাসানকেকে খামারবাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। মাহবুবুর রশীদের বদলি বাতিল না হলে তারা খামাবাড়ি অচল করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএই এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপ-পরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর নিয়োগ-পদায়ন বাণিজ্যসহ খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ ছিল। গতকাল মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচলক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হতে বাধা দেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ১৫-২০ জন কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু ব্যক্তি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মুরাদুল হাসানের ২০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে হুমকি দেন। এই কর্মকা-ে নেতৃত্বে ছিলেন বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই এর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলাম মুকুল, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (রপ্তানি) হাসান ইমাম, উপপরিচালক (লিগ্যাল ও সাপোর্ট সার্ভিসেস) এ কে এম হাসিবুল হাসান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (প্রশাসন-১) নাজিউর রোউফ খান বনি, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (প্রশাসন-২) মাসুম, মৌলভীবাজারের বীজ প্রত্যয়ন অফিসার গোলাম মোস্তফা শিমুল ও বিএনপি নেতা পরিচয়ে বহিরাগত সবুরসহ আরও কয়েকজন মুরাদুল হাসানের কক্ষে গিয়ে তাকে হুমকি দেন। হুমকির একটি অডিও গণমাধ্যমের কাছে এসেছে। অডিও রেকর্ডে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, রেজাউল ইসলাম মুকুল সরাসরি মুরাদুল হাসানকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অডিওতে মুরাদুল হাসানকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি এই মুহূর্তে খামারবাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। তুমি চেয়ারে বসতে পারবা না। তুমি খামারবাড়ি আর ডুকতে পারবা না। আগামী রোববার তোমার রুমে তালা মেরে দেব।’ এ সময় মুরাদুল হাসান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলে উত্তেজিত রেজাউল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘কিসের মন্ত্রণালয়। তুমি খামারবাড়ি থেকে না গেলে অন্যভাবে তাড়াবো। তুমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বলবা আমি নতুন পদে বসতে পারবো না।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক মো. হাবিবউল্লাহ্ বলেন, ঘটনার সময় আমি মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। বিকেল ৫টায় খামারবাড়িতে এসে দেখি মূল গেটে তালা ঝুলছে। তখন আমি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে তালা খোলার ব্যবস্থা করি। ভেতরে গিয়ে দেখি কিছু কর্মকর্তা বেশ ক্ষুব্ধ আচরণ করছেন। আমি তাদের সঙ্গে বসে পরিস্থতি শান্ত করেছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। সরকারি চাকরিতে বদলি-পদায়ন স্বাভাবিক নিয়ম। বিশৃঙ্খলা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এবিষয়ে ডিএই প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক পদে নতুন দায়িত্ব পাওয়া মো. মুরাদুল হাসান বলেন, বদলিকে ঘিরে কিছু কর্মকর্তা আমার রুমে এসেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এতে আমি কিছু মনে করিনি। আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে যাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি দপ্তরে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা নজিরবিহীন। প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।