উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে কমেছে আলুর দাম। রাজধানীতে বিভিন্ন বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকায়। আর টমেটোও পাওয়া যাচ্ছে কেজি ৩০ টাকায়। এসব পণ্য ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিলেও বেশকিছু সবজির কেজি ১শ’ টাকার ওপর।
রাজধানীর বাজারে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১শ’ থেকে ১শ’ বিশ টাকায়। গোলাপি রঙের গোল বেগুন ১শ’ চল্লিশ টাকায়। বরবটি-করলা-উসতা-ঢেড়স-পোটল-কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আর সজনা বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১২০ টাকায়।
বেশ কয়েকটি সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শ্যামলী কাঁচা বাজারে সবজি বিক্রেতা মামুন সংবাদকে বলেন, ‘নতুন প্রডাক্ট।’
সবজির দাম নিয়ে কথা হয় ওই বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা খোরশেদ আলমের সঙ্গে। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক, অফিসার কারওয়ান বাজারে তদারকি করতে গেলে তখন ব্যবসায়ীরা কম দাম বলে। সেই দাম ফেইসবুকে দেয়। ওই দাম শুনে কাস্টোমার আমাদের বলে কারওয়ান বাজারে যে সবজির কেজি ৩০ টাকা আপনারা তার দাম নেন ৬০ টাকা। এই নিয়ে কাস্টমারের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হয়।’
এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। সেই চালই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দামটা বাড়তে শুরু করেছে আমনের ভরা মৌসুম থেকে। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় বেড়েছে দাম। এর মধ্যে সরু চালের দামই কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।
চালের দরদাম বেচা-বিক্রি নিয়ে কথা হয় রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের চাল বিক্রেতা মো. নুরুল আলমের সঙ্গে। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এখন বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার টাকা। এতো বড় একটা দোকান, বোঝেন তাহলে ব্যবসা কেমন হয়েছে। আর ইফতারির পর তো বেচা-কেনা তেমন আর হয়-ই-না।’
‘নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভবনা নাই,’ বলেও জানান তিনি।
৪ পিস ডাটা ২ পিস মাঝারি আকারের সাদা গোল বেগুন কিনে রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচা থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিলেন মেহেদি হাসান। তার কাছে ক্রয়কৃত পণ্যের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ডাংগা (ডাটা) নিলো ২০ টাকা। ডাংগার চাইতে বেগুনের দাম বেশি, ২টা নিলো ৪০ টাকা।’
দাম কমার বিষয় তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘কই কমলো? দামতো সাধারণ মানুষের জন্য বেশি। এগুলা তো আর বলা যায় না। চালের দামটা তো অনেক বাড়তি। আলু-পেঁয়াজের দামটা কম।’
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। ক্রেতা হিসেবে গরুর মাংসের কেজির দাম জানতে চাইলে সেগুন বাগিচার গরুর মাংস বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, ‘কেজি ৮০০ টাকা।’ দাম কমেনা কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যাপারীরা আছে না, যারা গেরস্থের থেকে কিননা আনে তারা দাম ছাড়েনা। তারা মনে করে রোজার মাস না (চড়া দামে) খাইয়া কই যাইবো। অথচ দেখা যায়, যে গরু পালে সে দাম পায় না।’
আপনি নিজে গরু কিনে আনেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি ইসলামপুর থেকে মাংস কিনে আনি বেঁচি। আমাদেরে কেনা কেজি ৭৩০ টাকা। রিকসা ভাড়া যায় ৩০০ টাকা। এর মধ্যে ২ কেজি বাদ গেছে (উচ্ছিষ্ট)। এর কোপাইতে আধাকেজি বাদ গেছে। তাহলে আপনে কন, কতো বেচুম?’
এছাড়া বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৬০ টাকায়।
দরদাম ও বেচা বিক্রির বিষয়ে কথা হলে রাজধানীর শ্যামলী কাঁচা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আলা উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘বেচা-বিক্রি আগের থেকে কম, অর্ধেকেরেও কম। রোজা শুরুর আগে দেশি মুরগি বিক্রি করছি কেজি ৫৫০ টাকা। আজ বিক্রি করছে ৬৬০ টাকা।
কেজিতে ১০০ টাকার বেশি বাড়ছে। ঈদের আগে আরও দাম বাড়তে পারে। ধরেন, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।’
খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট এখনও স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে কমেছে আলুর দাম। রাজধানীতে বিভিন্ন বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকায়। আর টমেটোও পাওয়া যাচ্ছে কেজি ৩০ টাকায়। এসব পণ্য ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিলেও বেশকিছু সবজির কেজি ১শ’ টাকার ওপর।
রাজধানীর বাজারে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১শ’ থেকে ১শ’ বিশ টাকায়। গোলাপি রঙের গোল বেগুন ১শ’ চল্লিশ টাকায়। বরবটি-করলা-উসতা-ঢেড়স-পোটল-কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আর সজনা বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১২০ টাকায়।
বেশ কয়েকটি সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শ্যামলী কাঁচা বাজারে সবজি বিক্রেতা মামুন সংবাদকে বলেন, ‘নতুন প্রডাক্ট।’
সবজির দাম নিয়ে কথা হয় ওই বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা খোরশেদ আলমের সঙ্গে। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক, অফিসার কারওয়ান বাজারে তদারকি করতে গেলে তখন ব্যবসায়ীরা কম দাম বলে। সেই দাম ফেইসবুকে দেয়। ওই দাম শুনে কাস্টোমার আমাদের বলে কারওয়ান বাজারে যে সবজির কেজি ৩০ টাকা আপনারা তার দাম নেন ৬০ টাকা। এই নিয়ে কাস্টমারের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হয়।’
এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। সেই চালই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দামটা বাড়তে শুরু করেছে আমনের ভরা মৌসুম থেকে। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় বেড়েছে দাম। এর মধ্যে সরু চালের দামই কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।
চালের দরদাম বেচা-বিক্রি নিয়ে কথা হয় রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের চাল বিক্রেতা মো. নুরুল আলমের সঙ্গে। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এখন বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার টাকা। এতো বড় একটা দোকান, বোঝেন তাহলে ব্যবসা কেমন হয়েছে। আর ইফতারির পর তো বেচা-কেনা তেমন আর হয়-ই-না।’
‘নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভবনা নাই,’ বলেও জানান তিনি।
৪ পিস ডাটা ২ পিস মাঝারি আকারের সাদা গোল বেগুন কিনে রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচা থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিলেন মেহেদি হাসান। তার কাছে ক্রয়কৃত পণ্যের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ডাংগা (ডাটা) নিলো ২০ টাকা। ডাংগার চাইতে বেগুনের দাম বেশি, ২টা নিলো ৪০ টাকা।’
দাম কমার বিষয় তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘কই কমলো? দামতো সাধারণ মানুষের জন্য বেশি। এগুলা তো আর বলা যায় না। চালের দামটা তো অনেক বাড়তি। আলু-পেঁয়াজের দামটা কম।’
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। ক্রেতা হিসেবে গরুর মাংসের কেজির দাম জানতে চাইলে সেগুন বাগিচার গরুর মাংস বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, ‘কেজি ৮০০ টাকা।’ দাম কমেনা কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যাপারীরা আছে না, যারা গেরস্থের থেকে কিননা আনে তারা দাম ছাড়েনা। তারা মনে করে রোজার মাস না (চড়া দামে) খাইয়া কই যাইবো। অথচ দেখা যায়, যে গরু পালে সে দাম পায় না।’
আপনি নিজে গরু কিনে আনেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি ইসলামপুর থেকে মাংস কিনে আনি বেঁচি। আমাদেরে কেনা কেজি ৭৩০ টাকা। রিকসা ভাড়া যায় ৩০০ টাকা। এর মধ্যে ২ কেজি বাদ গেছে (উচ্ছিষ্ট)। এর কোপাইতে আধাকেজি বাদ গেছে। তাহলে আপনে কন, কতো বেচুম?’
এছাড়া বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৬০ টাকায়।
দরদাম ও বেচা বিক্রির বিষয়ে কথা হলে রাজধানীর শ্যামলী কাঁচা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আলা উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘বেচা-বিক্রি আগের থেকে কম, অর্ধেকেরেও কম। রোজা শুরুর আগে দেশি মুরগি বিক্রি করছি কেজি ৫৫০ টাকা। আজ বিক্রি করছে ৬৬০ টাকা।
কেজিতে ১০০ টাকার বেশি বাড়ছে। ঈদের আগে আরও দাম বাড়তে পারে। ধরেন, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।’
খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট এখনও স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।