বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১৪৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিরারের মতো শুক্রবারও ছিল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
দীর্ঘদিন পর শুক্রবার এবং আজ ঢাকার একিউআই স্কোর ১৫০-এর নিচে নামল। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশের তিন বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজশাহীর বায়ুর মান ১৬০, রংপুরে ১৫৪ ও চট্টগ্রামে ৯৮।
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬০)। দিল্লিতে বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (১৭২), উগান্ডার কাম্পালা (১৬২) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৫৫)। শহরগুলোর বাতাসের মান আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহন চলাচল কম থাকে। কলকারখানাও অনেক বন্ধ থাকে। সে অনুযায়ী দূষণ কম হওয়ার কথা। কিন্তু ঢাকার দূষণ ছুটির দিন আর কর্মদিবস মানে না।
মঙ্গলবার আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৪’ তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণে ২০২৪ সালে দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর নগর হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত নগর ছিল ঢাকা। ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। নগর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। গত বছর (২০২৪) বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ ছিল আফ্রিকার চাদ। আর নগর হিসেবে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।
সার্বিকভাবে বায়ুদূষণে আগের বছরের তুলনায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন না পরিবেশবাদী ও
গবেষকেরা। তারা বলছেন, দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে, এবারের প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, আগে দেখা গেছে যে রাজধানীর তুলনায় দেশের সার্বিক গড় বায়ুমান কিছুটা ভালো থাকত। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও দেশের সবচেয়ে দূষিত নগরী ঢাকার বায়ুর মান প্রায় একই। উভয়ের মান ৭৮।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইট-ভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁক-ডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১১ গুণ বেশি।
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১৪৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিরারের মতো শুক্রবারও ছিল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
দীর্ঘদিন পর শুক্রবার এবং আজ ঢাকার একিউআই স্কোর ১৫০-এর নিচে নামল। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশের তিন বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজশাহীর বায়ুর মান ১৬০, রংপুরে ১৫৪ ও চট্টগ্রামে ৯৮।
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬০)। দিল্লিতে বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (১৭২), উগান্ডার কাম্পালা (১৬২) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৫৫)। শহরগুলোর বাতাসের মান আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহন চলাচল কম থাকে। কলকারখানাও অনেক বন্ধ থাকে। সে অনুযায়ী দূষণ কম হওয়ার কথা। কিন্তু ঢাকার দূষণ ছুটির দিন আর কর্মদিবস মানে না।
মঙ্গলবার আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৪’ তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণে ২০২৪ সালে দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর নগর হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত নগর ছিল ঢাকা। ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। নগর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। গত বছর (২০২৪) বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ ছিল আফ্রিকার চাদ। আর নগর হিসেবে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।
সার্বিকভাবে বায়ুদূষণে আগের বছরের তুলনায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন না পরিবেশবাদী ও
গবেষকেরা। তারা বলছেন, দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে, এবারের প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, আগে দেখা গেছে যে রাজধানীর তুলনায় দেশের সার্বিক গড় বায়ুমান কিছুটা ভালো থাকত। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও দেশের সবচেয়ে দূষিত নগরী ঢাকার বায়ুর মান প্রায় একই। উভয়ের মান ৭৮।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইট-ভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁক-ডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১১ গুণ বেশি।