নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস আগেই প্রকল্পটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ সড়কটি পুরোপুরি চালু হলে প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবে
পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে খানেপুর পর্যন্ত এই সড়কটির সংস্কার কাজ চলছে -সংবাদ
মসৃণ পথ, সহজ যোগাযোগের হাতছানি। চলাচলের পথ আরামদায়ক ও কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না-এই ভেবেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে ঘাড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি পড়ে ছিল সংস্কারবিহীন। ফলে খানা-খন্দকে অনেকটাই বেহাল ছিল পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে খানেপুর পর্যন্ত মাত্র প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটি।
পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় অবস্থিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিপাকে পড়েন এই পথে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত বছর বর্ষায়ও কাদা-পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বাজার-ঘাট, অফিসসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করা অনেক সময়ই দুরূহ হয়ে উঠতো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে খানাখন্দের এই সড়কে ময়লা পানি আর কাদায় ভরে থাকতো। পানি শুকিয়ে গেলেও স্থানে স্থানে ছোট-বড় গর্ত মাড়িয়ে চলা যানবাহগুলোর জন্যও ছিল বেশ দুর্ভোগের।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির এই দুর্দশা থেকে স্থানীয়দের স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন-বিসিআইসি। নতুন করে সড়কটি নির্মাণের ফলে বেশি স্বস্তিতে এই সড়কে চলাচলকারী স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, এখন আর বর্ষায় কাদা-জলে গড়াগড়ি করে স্কুলে যেতে হবে না।
এই সড়কের সুবাদে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবনধারা। গতি ফিরেছে সেখানকার অর্থিনীতিতে। স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, বাজার ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান, আজহার ও রহিম মিয়া জানান, ‘সড়কটি নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করেছে। ফলে সড়কটি দীর্ঘদিন নষ্ট হবে বলে মনে হয় না।’ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এই সড়কটি গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করেন তারা।
তারা আরও বলেন, কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র খামারি তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদন স্বল্প সময়ের মধ্যে শুধু নরসিংদীই নয়, পুরো দেশেই বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাবেন।
বিসিআইসি প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে খানেপুর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট
প্রস্থের এই সড়কটিতে আরসিসি ঢালাই, পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩ হাজার ৫০০ ফুট একটি ড্রেন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার রোড টালির কাজ শুরু করে তমা কনস্ট্রাকশন। যা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বিসিআইসির কাছে হস্তান্তর করে সড়কটি পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭০ টাকা। নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস আগেই প্রকল্পটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি পুরোপুরি সচল হলে প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলে গতি ফিরবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী নাজমুল হাসান সুমন বলেন, ‘আমাদের তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি সব সময়ই আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে যেন আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সঠিকভাবে কোম্পানির সুনাম রক্ষা করে কাজ শেষ করি। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে এই নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার একটিই উদ্দেশ্য, মানুষ তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যদি কোনো কারণে কাজের মধ্যে কোনো ত্রুটি দেখা দেয়, তবে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করে দেয় আমাদের কোম্পানি। এভাবেই তমা কোম্পানি খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস আগেই প্রকল্পটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ সড়কটি পুরোপুরি চালু হলে প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবে
পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে খানেপুর পর্যন্ত এই সড়কটির সংস্কার কাজ চলছে -সংবাদ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
মসৃণ পথ, সহজ যোগাযোগের হাতছানি। চলাচলের পথ আরামদায়ক ও কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না-এই ভেবেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে ঘাড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি পড়ে ছিল সংস্কারবিহীন। ফলে খানা-খন্দকে অনেকটাই বেহাল ছিল পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে খানেপুর পর্যন্ত মাত্র প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটি।
পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় অবস্থিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিপাকে পড়েন এই পথে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত বছর বর্ষায়ও কাদা-পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বাজার-ঘাট, অফিসসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করা অনেক সময়ই দুরূহ হয়ে উঠতো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে খানাখন্দের এই সড়কে ময়লা পানি আর কাদায় ভরে থাকতো। পানি শুকিয়ে গেলেও স্থানে স্থানে ছোট-বড় গর্ত মাড়িয়ে চলা যানবাহগুলোর জন্যও ছিল বেশ দুর্ভোগের।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির এই দুর্দশা থেকে স্থানীয়দের স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন-বিসিআইসি। নতুন করে সড়কটি নির্মাণের ফলে বেশি স্বস্তিতে এই সড়কে চলাচলকারী স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, এখন আর বর্ষায় কাদা-জলে গড়াগড়ি করে স্কুলে যেতে হবে না।
এই সড়কের সুবাদে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবনধারা। গতি ফিরেছে সেখানকার অর্থিনীতিতে। স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, বাজার ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান, আজহার ও রহিম মিয়া জানান, ‘সড়কটি নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করেছে। ফলে সড়কটি দীর্ঘদিন নষ্ট হবে বলে মনে হয় না।’ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এই সড়কটি গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করেন তারা।
তারা আরও বলেন, কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র খামারি তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদন স্বল্প সময়ের মধ্যে শুধু নরসিংদীই নয়, পুরো দেশেই বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাবেন।
বিসিআইসি প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে খানেপুর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট
প্রস্থের এই সড়কটিতে আরসিসি ঢালাই, পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩ হাজার ৫০০ ফুট একটি ড্রেন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার রোড টালির কাজ শুরু করে তমা কনস্ট্রাকশন। যা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বিসিআইসির কাছে হস্তান্তর করে সড়কটি পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭০ টাকা। নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস আগেই প্রকল্পটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি পুরোপুরি সচল হলে প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলে গতি ফিরবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী নাজমুল হাসান সুমন বলেন, ‘আমাদের তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি সব সময়ই আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে যেন আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সঠিকভাবে কোম্পানির সুনাম রক্ষা করে কাজ শেষ করি। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে এই নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার একটিই উদ্দেশ্য, মানুষ তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যদি কোনো কারণে কাজের মধ্যে কোনো ত্রুটি দেখা দেয়, তবে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করে দেয় আমাদের কোম্পানি। এভাবেই তমা কোম্পানি খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করে থাকে।