জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান হলো তাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন। শুক্রবার (৮ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ইফতার আয়োজনে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পেলে এটি একটি নিয়ন্ত্রণহীন দুর্যোগের রূপ নিতে পারে। তিনি জানান, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা এই সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
গুতেরেস বলেন, "রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরতে চায়। কিন্তু নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সেখানে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত থামব না, যতক্ষণ না রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।"
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, "বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি শুধু একটি বাজেট সংকোচন নয়, বরং মানবিক সংকটকে আরও গভীর করার শামিল।"
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘শোচনীয়’ আখ্যা দিয়ে গুতেরেস বলেন, "সেখানে সংঘাত ও নিপীড়ন বন্ধ না হলে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন রোহিঙ্গাদের সহায়তা অব্যাহত রাখে।"
কক্সবাজার সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শিক্ষাকেন্দ্র, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আয়োজনে তিনি এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান হলো তাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন। শুক্রবার (৮ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ইফতার আয়োজনে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পেলে এটি একটি নিয়ন্ত্রণহীন দুর্যোগের রূপ নিতে পারে। তিনি জানান, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা এই সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
গুতেরেস বলেন, "রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরতে চায়। কিন্তু নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সেখানে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত থামব না, যতক্ষণ না রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।"
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, "বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি শুধু একটি বাজেট সংকোচন নয়, বরং মানবিক সংকটকে আরও গভীর করার শামিল।"
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘শোচনীয়’ আখ্যা দিয়ে গুতেরেস বলেন, "সেখানে সংঘাত ও নিপীড়ন বন্ধ না হলে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন রোহিঙ্গাদের সহায়তা অব্যাহত রাখে।"
কক্সবাজার সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শিক্ষাকেন্দ্র, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আয়োজনে তিনি এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন।