alt

জাতীয়

বিএসসিএল’র মাধ্যমে টিআরপি নির্ধারণে ‘ভৌতিক’ পদ্ধতি, কমিশনের প্রতিবেদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নির্ধারণের বর্তমান পদ্ধতিকে ভৌতিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা মাত্র ৩০০ ডিভাইস ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে। টিআরপির মাধ্যমে টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয়তা এবং বিজ্ঞাপনের দর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু এই অল্প সংখ্যক ডিভাইসের মাধ্যমে তেমন নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়, দাবি করছে কমিশন।

টিআরপি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য, যেমন দর্শকদের বয়স, লিঙ্গ, দেখার সময়, পছন্দের অনুষ্ঠান এবং আঞ্চলিক জনপ্রিয়তা নির্ধারণ করা হয়। এসব তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই তারা টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচন করে বিজ্ঞাপন দেয়। তবে, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন এই পদ্ধতিকে অবিশ্বাস্য এবং বাস্তবায়নযোগ্য না বলে মন্তব্য করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন। টেলিভিশন স্টেশনগুলোর রাজস্ব প্রায় পুরোপুরি বেসরকারি বিজ্ঞাপন থেকে আসে, কারণ সরকারি বিজ্ঞাপনগুলোর উপস্থিতি সীমিত। তাই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বেসরকারি বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। বিজ্ঞাপনদাতারা শুধুমাত্র দর্শক সংখ্যা দেখে বিজ্ঞাপন প্রদানে সিদ্ধান্ত নেন, তবে কমিশনের মতে, এই সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরো অনেক জটিল বিষয় নিহিত থাকে, যা বর্তমানে শুধুমাত্র কিছু অল্প ডিভাইসের মাধ্যমে সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

এতে আরও বলা হয় যে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) টিআরপি সেবা প্রদান করার প্রস্তাব দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে এটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে বিএসসিএল টিআরপি নির্ধারণের জন্য ৫০০ সেট-টপ বক্স স্থাপন করার শর্ত দেয়।

তবে, ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বিএসসিএল মাত্র ২০০ সেট-টপ বক্স ব্যবহার করছিল, এবং বর্তমানে ৩০০ সেট-টপ বক্সে তাদের কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে। কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এভাবে এত কম ডিভাইস ব্যবহার করে টিআরপি নির্ধারণ করা একটি ভুল পদ্ধতি, যা কোনোভাবেই সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম নয়।

বিএসসিএলের কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, এই সংখ্যক ডিভাইসের মধ্যে সবগুলো সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকে না, এবং এই কারণে টিআরপি নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। কমিশন এর ফলস্বরূপ এ ধরনের সেবা শিল্পের জন্য কোনো উপকারী নয় বলেও মন্তব্য করেছে।

একুশে টিভির সঙ্গে বিএসসিএলের সম্পাদিত চুক্তির কপি বিশ্লেষণ করে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ৫০০ ডিভাইস স্থাপন করার কথা ছিল। তবে চুক্তিতে বলা হয়নি যে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ কখন শুরু হবে, যার মাধ্যমে আরো ১০৬৮ ডিভাইস স্থাপন করার কথা ছিল। কমিশন এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে যে, চুক্তির মধ্যে অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি নির্দেশনার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এছাড়া, টিআরপি সেবার জন্য বিএসসিএল প্রতি টেলিভিশন স্টেশনের কাছ থেকে মাসে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফি নিচ্ছে এবং জামানত হিসেবে তিন মাসের ফি, অর্থাৎ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। কমিশন বলেছে, এত কম ডিভাইস ব্যবহার করে প্রকৃত চিত্র পাওয়া সম্ভব নয় এবং এটি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বিভ্রান্ত করেছে।

কমিশন আরো উল্লেখ করেছে যে, টিআরপি সেবার জন্য নির্ধারিত ডিভাইসের সংখ্যা এখনো ৫০০ হলেও, টিভি চ্যানেল মালিকরা বলেছেন যে, তারা এক লাখ ২৫ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবেন না, এ কারণে ডিভাইস বসানোর কাজ থেমে আছে। বিএসসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং ঈদের পরেই এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হবে বলে আশা করছেন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো দ্রুত কার্যকর করা হবে।

এদিকে, কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন যে, টিআরপি ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে টেলিভিশন চ্যানেল এবং বিজ্ঞাপন শিল্পের প্রতিনিধিদের কার্যকর উপায় নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হান্নানের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে ৬ হত্যা হাছান, নওফেল ও নাছিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

খুলনায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণ ও নির্যাতন, বিচারাধীন দেড় হাজার মামলা

আগামী মাসেই ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপার ‘টেন্ডার প্রক্রিয়া’

টেস্ট ড্রাইভের নামে গাড়ি ছিনতাই বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুম গ্রেপ্তার

ছবি

অনন্তলোকে সন্জীদা খাতুন

ছবি

ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এখনও প্রতিষ্ঠা করা যায়নি: মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

সচিবালয়মুখী শ্রমিকদের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা

ছবি

কেরাণীগঞ্জে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

মহাসড়কে ঈদ নিরাপত্তা দেয়া শুরু

বেতন-বোনাস পরিশোধ করেনি অনেক কারখানা, ১২ কারখানা মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

দেশবিরোধী উস্কানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বুধবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে একটা বার্তার কথা বললেন পররাষ্ট্র সচিব

ছবি

আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন

ছবি

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি: মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন ‘স্বচ্ছ নয়’

ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন

ছবি

গুজবের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

নারীদের ভূমিকা গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত বদলে দিয়েছে: ইউনূস

ছবি

বিমসটেক সম্মেলনে মোদী-ইউনূস বৈঠকের অপেক্ষায় ঢাকা

ছবি

চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সই হতে পারে সাত চুক্তি

ছবি

সন্ধ্যা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠকের ব্যাপারে দিল্লির জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা

ছবি

স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়নি: ইউনূস

ছবি

২৫ মার্চ: গণহত্যার ভয়াল রাত

ছবি

পাঁচ কমিশনের ১২১ সুপারিশ ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’, দ্রুত তালিকা চায় সরকার

ছবি

রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় ৯৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আ’লীগের বিচার করতে হবে: সাকি

শিক্ষায় ‘খণ্ডিত ও বিচ্ছিন্নভাবে’ কাজ হতো, ‘এখনও সেই ধারাই চলছে’

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারের গুজব,

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন দুই বিচারপতি

ছবি

গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চা উৎপাদনের হাতছানি

ছবি

লবণমাঠ জবরদখল: প্রকাশ্যে গুলি, ১৬ জন গুলিবিদ্ধ

ছবি

ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত ডিএমপি

শিশুদের জন্য পৃথক আদালত, স্বাগত জানালো ইউনিসেফ

tab

জাতীয়

বিএসসিএল’র মাধ্যমে টিআরপি নির্ধারণে ‘ভৌতিক’ পদ্ধতি, কমিশনের প্রতিবেদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নির্ধারণের বর্তমান পদ্ধতিকে ভৌতিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা মাত্র ৩০০ ডিভাইস ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে। টিআরপির মাধ্যমে টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয়তা এবং বিজ্ঞাপনের দর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু এই অল্প সংখ্যক ডিভাইসের মাধ্যমে তেমন নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়, দাবি করছে কমিশন।

টিআরপি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য, যেমন দর্শকদের বয়স, লিঙ্গ, দেখার সময়, পছন্দের অনুষ্ঠান এবং আঞ্চলিক জনপ্রিয়তা নির্ধারণ করা হয়। এসব তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই তারা টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচন করে বিজ্ঞাপন দেয়। তবে, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন এই পদ্ধতিকে অবিশ্বাস্য এবং বাস্তবায়নযোগ্য না বলে মন্তব্য করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন। টেলিভিশন স্টেশনগুলোর রাজস্ব প্রায় পুরোপুরি বেসরকারি বিজ্ঞাপন থেকে আসে, কারণ সরকারি বিজ্ঞাপনগুলোর উপস্থিতি সীমিত। তাই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বেসরকারি বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। বিজ্ঞাপনদাতারা শুধুমাত্র দর্শক সংখ্যা দেখে বিজ্ঞাপন প্রদানে সিদ্ধান্ত নেন, তবে কমিশনের মতে, এই সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরো অনেক জটিল বিষয় নিহিত থাকে, যা বর্তমানে শুধুমাত্র কিছু অল্প ডিভাইসের মাধ্যমে সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

এতে আরও বলা হয় যে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) টিআরপি সেবা প্রদান করার প্রস্তাব দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে এটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে বিএসসিএল টিআরপি নির্ধারণের জন্য ৫০০ সেট-টপ বক্স স্থাপন করার শর্ত দেয়।

তবে, ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বিএসসিএল মাত্র ২০০ সেট-টপ বক্স ব্যবহার করছিল, এবং বর্তমানে ৩০০ সেট-টপ বক্সে তাদের কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে। কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এভাবে এত কম ডিভাইস ব্যবহার করে টিআরপি নির্ধারণ করা একটি ভুল পদ্ধতি, যা কোনোভাবেই সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম নয়।

বিএসসিএলের কর্মকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, এই সংখ্যক ডিভাইসের মধ্যে সবগুলো সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকে না, এবং এই কারণে টিআরপি নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। কমিশন এর ফলস্বরূপ এ ধরনের সেবা শিল্পের জন্য কোনো উপকারী নয় বলেও মন্তব্য করেছে।

একুশে টিভির সঙ্গে বিএসসিএলের সম্পাদিত চুক্তির কপি বিশ্লেষণ করে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ৫০০ ডিভাইস স্থাপন করার কথা ছিল। তবে চুক্তিতে বলা হয়নি যে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ কখন শুরু হবে, যার মাধ্যমে আরো ১০৬৮ ডিভাইস স্থাপন করার কথা ছিল। কমিশন এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে যে, চুক্তির মধ্যে অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি নির্দেশনার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এছাড়া, টিআরপি সেবার জন্য বিএসসিএল প্রতি টেলিভিশন স্টেশনের কাছ থেকে মাসে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফি নিচ্ছে এবং জামানত হিসেবে তিন মাসের ফি, অর্থাৎ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। কমিশন বলেছে, এত কম ডিভাইস ব্যবহার করে প্রকৃত চিত্র পাওয়া সম্ভব নয় এবং এটি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বিভ্রান্ত করেছে।

কমিশন আরো উল্লেখ করেছে যে, টিআরপি সেবার জন্য নির্ধারিত ডিভাইসের সংখ্যা এখনো ৫০০ হলেও, টিভি চ্যানেল মালিকরা বলেছেন যে, তারা এক লাখ ২৫ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবেন না, এ কারণে ডিভাইস বসানোর কাজ থেমে আছে। বিএসসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং ঈদের পরেই এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হবে বলে আশা করছেন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো দ্রুত কার্যকর করা হবে।

এদিকে, কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন যে, টিআরপি ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে টেলিভিশন চ্যানেল এবং বিজ্ঞাপন শিল্পের প্রতিনিধিদের কার্যকর উপায় নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

back to top