নারায়ণগঞ্জের ৫ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসারদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল মিঞা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগমের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন জেলা সভাপতি মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার সামিরা নারগিস, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত ‘উপজেলা-থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ইউএপিইও)’ পদটি ১৯৭৮ সালে সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী পদটি ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। সে সময়ের অধস্তন প্রধান শিক্ষক পদটি ১৭তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষক পদটি ১৮তম গ্রেডে ছিল। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক পদটি কয়েক দফায় উন্নীত করার ফলে ২০১৪ সালে ১১তম গ্রেড এবং সম্প্রতি উচ্চতর আদালতের রায়ে ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষক পদটি চার দফায় ২০২০ সালে ১৩তম গ্রেডভুক্ত হয়। এদিকে ১৯৯৪ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দপ্তরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট পদটি ৯ম গ্রেড থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদটি ৩য় শ্রেণি থেকে ১ম শ্রেণি (৯ম গ্রেড) উন্নীতকরণ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য দপ্তরের সমগ্রেডের কর্মকর্তাগণ এই সুদীর্ঘ ৩০ বছরে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ইউএপিইও পদটি ১০ম গ্রেডেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
ইউএপিইও তাদের চাকুরীর কর্মপরিধির বাহিরে বিভাগীয় কাজের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের ন্যায় সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকে। অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত এমএফ (আইসি) ২/৭৩/৩ নং স্মারক অনুযায়ী নন ক্যাডার ১ম শ্রেণির (৯ম গ্রেড) কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইউএপিইওগণের নিয়োগবিধিতে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য শর্তাবলী একই।
সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের চূড়ান্ত রায় হয়েছে। ইউএপিইওগণ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক ও একাডেমিক তত্ত্বাবধায়ক, মেন্টর, মনিটর, এসিআর ও ছুটি প্রদানকারী কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে ইউএপিইও, প্রধান শিক্ষক একই গ্রেড হওয়াতে তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা সভাপতি মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ বলেন, ‘গত ৩০ বছর যাবত আমরা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা ১০ গ্রেডে কাজ করছি। কিন্তু বিগত সময়ে আমাদের সমগ্রেডের কর্মকর্তাদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও আমাদের করা হয়নি। তাই সারাদেশের সহকারী শিক্ষা অফিসাররা প্রধান উপদেষ্টা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিচ্ছে। সম্প্রতি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। যেহেতু প্রধান শিক্ষকদের আমরা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে থাকি তাই তাদের শৃঙ্খল রাখতে ও চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখার জন্য আমাদের জোর দাবি যাতে আমাদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।’
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের ৫ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসারদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল মিঞা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগমের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন জেলা সভাপতি মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার সামিরা নারগিস, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত ‘উপজেলা-থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ইউএপিইও)’ পদটি ১৯৭৮ সালে সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী পদটি ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। সে সময়ের অধস্তন প্রধান শিক্ষক পদটি ১৭তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষক পদটি ১৮তম গ্রেডে ছিল। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক পদটি কয়েক দফায় উন্নীত করার ফলে ২০১৪ সালে ১১তম গ্রেড এবং সম্প্রতি উচ্চতর আদালতের রায়ে ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষক পদটি চার দফায় ২০২০ সালে ১৩তম গ্রেডভুক্ত হয়। এদিকে ১৯৯৪ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দপ্তরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট পদটি ৯ম গ্রেড থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদটি ৩য় শ্রেণি থেকে ১ম শ্রেণি (৯ম গ্রেড) উন্নীতকরণ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য দপ্তরের সমগ্রেডের কর্মকর্তাগণ এই সুদীর্ঘ ৩০ বছরে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ইউএপিইও পদটি ১০ম গ্রেডেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
ইউএপিইও তাদের চাকুরীর কর্মপরিধির বাহিরে বিভাগীয় কাজের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের ন্যায় সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকে। অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত এমএফ (আইসি) ২/৭৩/৩ নং স্মারক অনুযায়ী নন ক্যাডার ১ম শ্রেণির (৯ম গ্রেড) কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইউএপিইওগণের নিয়োগবিধিতে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য শর্তাবলী একই।
সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের চূড়ান্ত রায় হয়েছে। ইউএপিইওগণ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের প্রশাসনিক ও একাডেমিক তত্ত্বাবধায়ক, মেন্টর, মনিটর, এসিআর ও ছুটি প্রদানকারী কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে ইউএপিইও, প্রধান শিক্ষক একই গ্রেড হওয়াতে তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা সভাপতি মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ বলেন, ‘গত ৩০ বছর যাবত আমরা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা ১০ গ্রেডে কাজ করছি। কিন্তু বিগত সময়ে আমাদের সমগ্রেডের কর্মকর্তাদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও আমাদের করা হয়নি। তাই সারাদেশের সহকারী শিক্ষা অফিসাররা প্রধান উপদেষ্টা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিচ্ছে। সম্প্রতি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। যেহেতু প্রধান শিক্ষকদের আমরা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে থাকি তাই তাদের শৃঙ্খল রাখতে ও চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখার জন্য আমাদের জোর দাবি যাতে আমাদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।’