দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে যে আলোচনা চলছে তা ‘গুজবের’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলে জরুরি অবস্থা জারি এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেয়া হতে পারে এমন ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এগুলো শুধুই গুজব। কয়েকজন এ নিয়ে কথা বলছেন, তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান স্থিতিশীলতাকে ধরে রাখতে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।’
সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনসংক্রান্ত ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেনস টু বাংলাদেশ’ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’
কোনো নির্দিষ্ট নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনাÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে কোনো বিশেষ হুমকি নেই। স্বাভাবিকভাবেই কিছু ঝুঁকি থাকে, এবারও তেমনটাই রয়েছে।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৯ দিনের ছুটিতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন থাকবে, তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘নিরাপত্তা নজরদারি একটুও কমানো হয়নি। পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ দল সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ
করছে।’তিনি জানান, ‘আমাদের দুইজন কর্মকর্তা সারা রাত শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পুলিশসহ সব বাহিনী সতর্ক রয়েছে, যাতে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’
বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ রোধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
তিনি বলেন, ‘অনেকে দালালের মাধ্যমে ঘরবাড়ি বিক্রি করে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা এখনও নিশ্চিত নই। তবে বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা প্রকৃত বাংলাদেশি বলে প্রমাণিত হবেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
এ লক্ষ্যে সোমবার বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির আওতায় অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশকারী বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ উপায়ে যাওয়ার সুযোগ সহজ করতে ঈদের পর বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার চালু হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশিদের অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য দিল্লি যেতে হতো। কিন্তু এবার নিজ দেশ থেকেই আবেদন করা যাবে।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে যে আলোচনা চলছে তা ‘গুজবের’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলে জরুরি অবস্থা জারি এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেয়া হতে পারে এমন ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এগুলো শুধুই গুজব। কয়েকজন এ নিয়ে কথা বলছেন, তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান স্থিতিশীলতাকে ধরে রাখতে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।’
সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনসংক্রান্ত ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেনস টু বাংলাদেশ’ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’
কোনো নির্দিষ্ট নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনাÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে কোনো বিশেষ হুমকি নেই। স্বাভাবিকভাবেই কিছু ঝুঁকি থাকে, এবারও তেমনটাই রয়েছে।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৯ দিনের ছুটিতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন থাকবে, তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘নিরাপত্তা নজরদারি একটুও কমানো হয়নি। পুলিশের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ দল সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ
করছে।’তিনি জানান, ‘আমাদের দুইজন কর্মকর্তা সারা রাত শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পুলিশসহ সব বাহিনী সতর্ক রয়েছে, যাতে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’
বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ রোধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
তিনি বলেন, ‘অনেকে দালালের মাধ্যমে ঘরবাড়ি বিক্রি করে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা এখনও নিশ্চিত নই। তবে বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা প্রকৃত বাংলাদেশি বলে প্রমাণিত হবেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
এ লক্ষ্যে সোমবার বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির আওতায় অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশকারী বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ উপায়ে যাওয়ার সুযোগ সহজ করতে ঈদের পর বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার চালু হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশিদের অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য দিল্লি যেতে হতো। কিন্তু এবার নিজ দেশ থেকেই আবেদন করা যাবে।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।