প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি ছোড়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক পরিহিত কয়েকজন অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে দিনে-দুপুরে লবণমাঠ দখলে নিতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী রয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া রুপালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন উজানটিয়া ইউনিয়নের রুপালী বাজার এলাকার পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ছাত্রী আফরোজা (১৮) ও তার মা মিনা আক্তার (৪৫), উজানটিয়া এএস সিনিয়র মাদরাসার আলীম, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাসফা (১৮), কফিল উদ্দিন (২২), জেয়াসমিন আক্তার (৩০), আমজাদ (২২), বেলাল উদ্দিন (৩২) ও তার ভাই ছরওয়ার (৩০), রীনা আক্তার (৩০), কুলসুমা (৩৫), আহমদ হোসেন (৭৭), বুলু আক্তার (৩০), হামিদা বেগম (৪০), তৌহিদ (৩৫), আবুল কালাম (৮০) ও হাসান আলী (৬০)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমজাদ, হামিদা বেগম, হাসান আলী ও কফিল উদ্দিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ একর লবণমাঠ নিয়ে রুপালী বাজার এলাকার কালা মিয়া, খুইল্যা মিয়া ও আলী হোসেন গং-এর সঙ্গে একই ইউপির মালেকপাড়ার জাফর আলম, আবু তাহের, মনির আহমদ ও আরিফ আহমদ গং-এর বিরোধ চলছে। সম্প্রতি দু’পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। জমি কালা মিয়া গং-এর ভোগ-দখলে রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তের পর একটি পক্ষ ওই জমি জবর-দখলের পাঁয়তারা করে।
ঘটনার দিন সকালে একদল অস্ত্রধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে রুপালী বাজারপাড়ায়। হাবিব উল্লাহ বাপের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় অস্ত্রধারীর ছোড়াগুলিতে অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা এনজিওকর্মী আবিদের বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে জানা যায়। পরে খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকলে অস্ত্রধারীরা গুলি ছুটতে ছুটতে পালিয়ে যায়। তারা অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আহতদের স্বজন আহমদ ছবি ও রোহেনা আক্তার বলেন, সকালে মালেকপাড়ার সাইফুল, সুমন, আবু সুফিয়ান, জাবেদ, জায়েদ, সায়েদ, আরাফাত, লিমন, ফরহাদ, লুৎফর, নেওয়াজ, ওয়াহিদসহ ২০-৩০ জনের অস্ত্রধারী দুদিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এ সময় আমাদের ওপর গুলি করে। গুলির আঘাতে আমরা ১৬ জন আহত হই। সন্ত্রাসীরা যখন গুলি ছুটতে ছুটতে বাড়ির দিকে আসছিল তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। চারটি সিসি টিভির ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যতক্ষণ তাণ্ডব চালায় ততক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। তবে সন্ত্রাসীরা যাওয়ার পরপর বিদ্যুৎ আসে।
আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কোনোরকম সহযোগিতা পায়নি। এ সময় অস্ত্রধারীদের প্রকাশ্যে তাণ্ডব ও বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি ছোড়ার এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক পরিহিত কয়েকজন অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লবণমাঠে সহিংসতা গোলাগুলির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় পুলিশ।
প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি ছোড়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক পরিহিত কয়েকজন অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে দিনে-দুপুরে লবণমাঠ দখলে নিতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী রয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া রুপালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন উজানটিয়া ইউনিয়নের রুপালী বাজার এলাকার পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ছাত্রী আফরোজা (১৮) ও তার মা মিনা আক্তার (৪৫), উজানটিয়া এএস সিনিয়র মাদরাসার আলীম, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাসফা (১৮), কফিল উদ্দিন (২২), জেয়াসমিন আক্তার (৩০), আমজাদ (২২), বেলাল উদ্দিন (৩২) ও তার ভাই ছরওয়ার (৩০), রীনা আক্তার (৩০), কুলসুমা (৩৫), আহমদ হোসেন (৭৭), বুলু আক্তার (৩০), হামিদা বেগম (৪০), তৌহিদ (৩৫), আবুল কালাম (৮০) ও হাসান আলী (৬০)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমজাদ, হামিদা বেগম, হাসান আলী ও কফিল উদ্দিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ একর লবণমাঠ নিয়ে রুপালী বাজার এলাকার কালা মিয়া, খুইল্যা মিয়া ও আলী হোসেন গং-এর সঙ্গে একই ইউপির মালেকপাড়ার জাফর আলম, আবু তাহের, মনির আহমদ ও আরিফ আহমদ গং-এর বিরোধ চলছে। সম্প্রতি দু’পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। জমি কালা মিয়া গং-এর ভোগ-দখলে রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তের পর একটি পক্ষ ওই জমি জবর-দখলের পাঁয়তারা করে।
ঘটনার দিন সকালে একদল অস্ত্রধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে রুপালী বাজারপাড়ায়। হাবিব উল্লাহ বাপের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় অস্ত্রধারীর ছোড়াগুলিতে অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা এনজিওকর্মী আবিদের বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে জানা যায়। পরে খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকলে অস্ত্রধারীরা গুলি ছুটতে ছুটতে পালিয়ে যায়। তারা অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আহতদের স্বজন আহমদ ছবি ও রোহেনা আক্তার বলেন, সকালে মালেকপাড়ার সাইফুল, সুমন, আবু সুফিয়ান, জাবেদ, জায়েদ, সায়েদ, আরাফাত, লিমন, ফরহাদ, লুৎফর, নেওয়াজ, ওয়াহিদসহ ২০-৩০ জনের অস্ত্রধারী দুদিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এ সময় আমাদের ওপর গুলি করে। গুলির আঘাতে আমরা ১৬ জন আহত হই। সন্ত্রাসীরা যখন গুলি ছুটতে ছুটতে বাড়ির দিকে আসছিল তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। চারটি সিসি টিভির ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যতক্ষণ তাণ্ডব চালায় ততক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। তবে সন্ত্রাসীরা যাওয়ার পরপর বিদ্যুৎ আসে।
আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কোনোরকম সহযোগিতা পায়নি। এ সময় অস্ত্রধারীদের প্রকাশ্যে তাণ্ডব ও বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি ছোড়ার এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক পরিহিত কয়েকজন অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লবণমাঠে সহিংসতা গোলাগুলির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় পুলিশ।