গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী যোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের পাশাপাশি আইন প্রণয়ন করে হলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন দিতে হবে। এমন কোনো ভূমিকা নেয়া যাবে না যাতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়। কেউ বলছেন সংস্কার কেউ বলছেন নির্বাচন; অথচ কথা ছিল সংস্কার ও নির্বাচন হবে এক সঙ্গে।
সোমবার ময়মনসিংহে গণসংহতি আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সাকি বলেন, আমাদেরকে আবার গণতান্ত্রিক পথ নিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, আন্দোলন সফল হওয়ার পরে, গণতান্ত্রিক রূপান্তরে একটা বিপ্লবী সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো। তখন সেই কাজের মনোযোগের বদলে এটা ক্রেডিট নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেলো। এখনতো প্রায় দলীয়করণ করার একটা চেষ্টা। একদল মনে করছেন তারাই এই অভূত্থান তৈরি করেছেন। এখানে যে জনগণের অবদান আছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল, শ্রেণী পেশার অবদান আছে সেটা স্বীকৃত স্বীকার্য হিসেবেই থাক।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে, ট্যাগিং করা হচ্ছে ফ্যাসিস্টের কায়দায়; এতে পুরোনো ফ্যাসিস্টদের পূণর্জাগরণের পথ তৈরি করবে। যারা বিভাজন তৈরি করবে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারি আবুল হাসান রুবেল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব এ আর এম মুসাদ্দিক আসিফ, জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব হাতেম রানা, গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাহাত জাহান হোসেন, আলী ইউসুফ, আবুল কালাম আল আজাদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
যোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবারও যে একটা নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটা যেন বেহাত না হয়। ১৯৭১ সালে আমরা একটা রক্তক্ষয়ী স্বশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এই বাংলাদেশ অর্জন করেছি। এতে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু মানুষের যে আশা সেটা বেহাত হয়ে গেছে। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। বাহাত্তর সাল থেকে এখানে সাংবিধানিকভাবে এমন একটা ক্ষমতা কাঠামো তৈরি হয়েছে সেখানে সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভুত। তিনি জবাবদিহির উর্ধ্বে, তিনি সংবিধানের উর্ধ্বে এবং সেটাই ৫৪ বছরে আমরা দেখেছি। একটা নির্বাচন পর্যন্ত আয়োজন করা হয় না। তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তৈরি করা হয় সেটাকেও দখল করার চেষ্টা করা হয়। শেষে তত্বাবধায়ক সবকিছু বাতিল করে দিয়ে জমিদারীতন্ত্র কায়েম করা হয়। ফ্যাসিবাদী কায়েম করা হয়েছে। এরম তুলনাই পৃথিবীতে পাওয়া মুশকিল। নানান দিক থেকে যতরকম নিয়ন্ত্রণমূলক একটা ব্যবস্থা সেগুলো থেকে পদ্ধতি ধার নিয়ে সবকিছু একটা মিশেল তৈরি করে শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে শাসন চালিয়ে গেছে। তখন তার পলিসি ছিল দেশের মানুষকে বিভাযন কর, যারা বিরোধিতা করবে তাদেরকে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত কর। আমরা সমস্ত কিছু মোকাবিলা করে এই অভ্যূত্থানে বিজয়ী হয়েছি। কিসের জন্য? বাংলাদেশটা যাতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছিল যেটা ৫৪ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি, যেটা আবার জুলাইয়ে এসে অভ্যূত্থানে নতুন করে মানুষের সফলতা এসেছে সেই স্বপ্নটা বাস্তবায়িত হয়। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে নাগরিকরা ক্ষমতার কেন্দ্র হবে। সত্যিকারের রিপাবলিক হবে। জনগণের প্রতিনিধি যারা হবেন তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। সেটা গণতান্ত্রিক রিপাবলিক। যেটা উল্টো বাংলাদেশে হয়েছে। আমরা ভোট দিয়ে কাউকে নির্বাচিত করি বা না করি তারা নিজেদেরকে নির্বাচিত করে আমাদের প্রভু বনে গেছে। জনগণের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তাদের ওপর অত্যাচারম জুলুম, গুম, মামলা, হামলা দিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। আর এই সবকিছু করা হয়েছে নিজেদের সম্পদ লুট করার জন্যে। এবং কী পরিমান সম্পদ লুট করা যায় আমারা এই ১৫ বছরে দেখলাম।
আমরা যেহেতু সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছি আগামী একদিকে যেমন সরকার গঠন করবে অন্যদিকে সংবিধান সংস্কারের পরিষদের কাজটি সম্পন্ন করবে। এই কাজ যখন এগিয়ে চলছে আমরা তখন দেখছি সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অস্থিরতার উদ্দেশ্য কী? এই অস্থিরতা দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় কি লাভবান হচ্ছে? কাজেই আমার প্রত্যেক পক্ষকে আহ্বান জানাই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেটা চলছে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটা যাতে যথার্থভাবে এগোয় এবং একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণে যাতে আমরা সবাই যেতে পারি সেই দায়িত্বশীল আচরণ আমাদের করা দরকার। এখন এমন কোনো ভূমিকা নেয়া যাবে না যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। আমাদের একটা ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে।
তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে এই সমস্ত অপতৎপরতা চালাতে সাহায্য করছে আওয়ামী লীগকে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কেবল তাদেরকে নয় দল হিসেবে এই হত্যাকা-ের দায় আওয়ামী লীগের কতটুকু এটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। তারপরে আওয়ামী লীগের ভবিষৎ ঠিক হবে।
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী যোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের পাশাপাশি আইন প্রণয়ন করে হলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন দিতে হবে। এমন কোনো ভূমিকা নেয়া যাবে না যাতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়। কেউ বলছেন সংস্কার কেউ বলছেন নির্বাচন; অথচ কথা ছিল সংস্কার ও নির্বাচন হবে এক সঙ্গে।
সোমবার ময়মনসিংহে গণসংহতি আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সাকি বলেন, আমাদেরকে আবার গণতান্ত্রিক পথ নিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, আন্দোলন সফল হওয়ার পরে, গণতান্ত্রিক রূপান্তরে একটা বিপ্লবী সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো। তখন সেই কাজের মনোযোগের বদলে এটা ক্রেডিট নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেলো। এখনতো প্রায় দলীয়করণ করার একটা চেষ্টা। একদল মনে করছেন তারাই এই অভূত্থান তৈরি করেছেন। এখানে যে জনগণের অবদান আছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল, শ্রেণী পেশার অবদান আছে সেটা স্বীকৃত স্বীকার্য হিসেবেই থাক।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে, ট্যাগিং করা হচ্ছে ফ্যাসিস্টের কায়দায়; এতে পুরোনো ফ্যাসিস্টদের পূণর্জাগরণের পথ তৈরি করবে। যারা বিভাজন তৈরি করবে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারি আবুল হাসান রুবেল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব এ আর এম মুসাদ্দিক আসিফ, জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব হাতেম রানা, গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাহাত জাহান হোসেন, আলী ইউসুফ, আবুল কালাম আল আজাদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
যোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবারও যে একটা নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটা যেন বেহাত না হয়। ১৯৭১ সালে আমরা একটা রক্তক্ষয়ী স্বশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এই বাংলাদেশ অর্জন করেছি। এতে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু মানুষের যে আশা সেটা বেহাত হয়ে গেছে। স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। বাহাত্তর সাল থেকে এখানে সাংবিধানিকভাবে এমন একটা ক্ষমতা কাঠামো তৈরি হয়েছে সেখানে সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভুত। তিনি জবাবদিহির উর্ধ্বে, তিনি সংবিধানের উর্ধ্বে এবং সেটাই ৫৪ বছরে আমরা দেখেছি। একটা নির্বাচন পর্যন্ত আয়োজন করা হয় না। তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তৈরি করা হয় সেটাকেও দখল করার চেষ্টা করা হয়। শেষে তত্বাবধায়ক সবকিছু বাতিল করে দিয়ে জমিদারীতন্ত্র কায়েম করা হয়। ফ্যাসিবাদী কায়েম করা হয়েছে। এরম তুলনাই পৃথিবীতে পাওয়া মুশকিল। নানান দিক থেকে যতরকম নিয়ন্ত্রণমূলক একটা ব্যবস্থা সেগুলো থেকে পদ্ধতি ধার নিয়ে সবকিছু একটা মিশেল তৈরি করে শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে শাসন চালিয়ে গেছে। তখন তার পলিসি ছিল দেশের মানুষকে বিভাযন কর, যারা বিরোধিতা করবে তাদেরকে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত কর। আমরা সমস্ত কিছু মোকাবিলা করে এই অভ্যূত্থানে বিজয়ী হয়েছি। কিসের জন্য? বাংলাদেশটা যাতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছিল যেটা ৫৪ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি, যেটা আবার জুলাইয়ে এসে অভ্যূত্থানে নতুন করে মানুষের সফলতা এসেছে সেই স্বপ্নটা বাস্তবায়িত হয়। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে নাগরিকরা ক্ষমতার কেন্দ্র হবে। সত্যিকারের রিপাবলিক হবে। জনগণের প্রতিনিধি যারা হবেন তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। সেটা গণতান্ত্রিক রিপাবলিক। যেটা উল্টো বাংলাদেশে হয়েছে। আমরা ভোট দিয়ে কাউকে নির্বাচিত করি বা না করি তারা নিজেদেরকে নির্বাচিত করে আমাদের প্রভু বনে গেছে। জনগণের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তাদের ওপর অত্যাচারম জুলুম, গুম, মামলা, হামলা দিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। আর এই সবকিছু করা হয়েছে নিজেদের সম্পদ লুট করার জন্যে। এবং কী পরিমান সম্পদ লুট করা যায় আমারা এই ১৫ বছরে দেখলাম।
আমরা যেহেতু সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছি আগামী একদিকে যেমন সরকার গঠন করবে অন্যদিকে সংবিধান সংস্কারের পরিষদের কাজটি সম্পন্ন করবে। এই কাজ যখন এগিয়ে চলছে আমরা তখন দেখছি সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অস্থিরতার উদ্দেশ্য কী? এই অস্থিরতা দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় কি লাভবান হচ্ছে? কাজেই আমার প্রত্যেক পক্ষকে আহ্বান জানাই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেটা চলছে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটা যাতে যথার্থভাবে এগোয় এবং একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণে যাতে আমরা সবাই যেতে পারি সেই দায়িত্বশীল আচরণ আমাদের করা দরকার। এখন এমন কোনো ভূমিকা নেয়া যাবে না যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। আমাদের একটা ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে।
তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে এই সমস্ত অপতৎপরতা চালাতে সাহায্য করছে আওয়ামী লীগকে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কেবল তাদেরকে নয় দল হিসেবে এই হত্যাকা-ের দায় আওয়ামী লীগের কতটুকু এটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। তারপরে আওয়ামী লীগের ভবিষৎ ঠিক হবে।