মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজারের স্থানীয়দের মানবিক সহায়তা দিতে ৯৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের অর্থায়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই অর্থায়নটি ২০২৫-২৬ সালের যৌথ সাড়াদান কর্মসূচির (জেআরপি) অধীনে ব্যয় হবে।
সোমবার জেনিভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫-২৬ সালের জেআরপি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলেই এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। আইওএম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তার জন্য ২০২৫ সালে সাড়ে ৯৩ কোটি ডলার অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন এবং গণহত্যার মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। প্রথমে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা আসলেও, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হলে তা ভেস্তে যায়। এরপর কোভিড মহামারী এবং মিয়ানমারে সামরিক জান্তার উত্থানে সংকট আরও বাড়ে।
বর্তমানে, গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমার থেকে নতুন করে আরো লাখ খানেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে প্রায় ১১৩টি অংশীদার সংস্থা এবং দেশ এই মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে।
আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ জেআরপি উপস্থাপন করে বলেন, "রোহিঙ্গা শিবিরে ৫০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু বসবাস করছে, যাদের বেশিরভাগই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও নির্যাতনের ঝুঁকিতে রয়েছে।" এছাড়া, প্রতিটি তিনজন রোহিঙ্গার মধ্যে একজনের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে, যাদের জন্য শিক্ষা এবং দক্ষতা গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই, ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সংকটের মধ্যে, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি এবং মৌলিক আশ্রয়ের জন্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। সাগরপথে ঝুঁকিপূর্ণ পাড়ি দেয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে, যদি তাদের সামনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান না আসে।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজারের স্থানীয়দের মানবিক সহায়তা দিতে ৯৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের অর্থায়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই অর্থায়নটি ২০২৫-২৬ সালের যৌথ সাড়াদান কর্মসূচির (জেআরপি) অধীনে ব্যয় হবে।
সোমবার জেনিভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫-২৬ সালের জেআরপি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলেই এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। আইওএম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তার জন্য ২০২৫ সালে সাড়ে ৯৩ কোটি ডলার অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন এবং গণহত্যার মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। প্রথমে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা আসলেও, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হলে তা ভেস্তে যায়। এরপর কোভিড মহামারী এবং মিয়ানমারে সামরিক জান্তার উত্থানে সংকট আরও বাড়ে।
বর্তমানে, গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমার থেকে নতুন করে আরো লাখ খানেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে প্রায় ১১৩টি অংশীদার সংস্থা এবং দেশ এই মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে।
আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ জেআরপি উপস্থাপন করে বলেন, "রোহিঙ্গা শিবিরে ৫০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু বসবাস করছে, যাদের বেশিরভাগই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও নির্যাতনের ঝুঁকিতে রয়েছে।" এছাড়া, প্রতিটি তিনজন রোহিঙ্গার মধ্যে একজনের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে, যাদের জন্য শিক্ষা এবং দক্ষতা গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই, ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সংকটের মধ্যে, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি এবং মৌলিক আশ্রয়ের জন্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। সাগরপথে ঝুঁকিপূর্ণ পাড়ি দেয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে, যদি তাদের সামনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান না আসে।