উপদেষ্টা পরিষদ পাঁচটি সংস্কার কমিশন থেকে প্রাপ্ত ১২১টি সুপারিশকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছে এবং মন্ত্রণালয়গুলোকে এসব সুপারিশের জন্য একটি তালিকা দ্রুত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, এসব সুপারিশকে ‘অতি জরুরি ভিত্তিতে’ বাস্তবায়ন করার জন্য নির্ধারিত ছকে মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো
নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার, দুর্নীতি দমন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনগুলো মিলিয়ে ১২১টি সুপারিশ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোর বাস্তবায়ন এখনই শুরু করা সম্ভব। এসব সুপারিশের মধ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সরকারের লক্ষ্য হল দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যেগুলো কোনো বড় অর্থ বরাদ্দ ছাড়াই দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় তালিকা প্রস্তাব আকারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংস্কার অনুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, “প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আশু বাস্তবায়নযোগ্য বাছাই করা প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্ধারিত ছকে সুপারিশ বাস্তবায়নের লক্ষে প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “এটি নির্বাচন ব্যবস্থার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে এবং সরকারের ইচ্ছা থাকলে এই সুপারিশগুলো দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।”
ইসলামি দলের পক্ষ থেকে যদিও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, কেননা তারা মনে করেন, এসব সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়া বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে এসব সুপারিশের বিষয়ে মতামত সংগ্রহ করতে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে।
কমিশনগুলোর সুপারিশ
উল্লেখযোগ্য যে, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনগুলোর ১২১টি সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য ৯টি সুপারিশ রয়েছে, পুলিশের জন্য ১৩টি, বিচার বিভাগের জন্য ৩৮টি, দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য ৪৩টি, এবং জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য ১৮টি সুপারিশ রয়েছে।
প্রতিটি সুপারিশের বাস্তবায়ন সময়সূচি, আর্থিক সংশ্লেষ এবং করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করার জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়ন
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, কিছু সুপারিশের জন্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্তই যথেষ্ট, তাই সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
উপদেষ্টা পরিষদ পাঁচটি সংস্কার কমিশন থেকে প্রাপ্ত ১২১টি সুপারিশকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছে এবং মন্ত্রণালয়গুলোকে এসব সুপারিশের জন্য একটি তালিকা দ্রুত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, এসব সুপারিশকে ‘অতি জরুরি ভিত্তিতে’ বাস্তবায়ন করার জন্য নির্ধারিত ছকে মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো
নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার, দুর্নীতি দমন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনগুলো মিলিয়ে ১২১টি সুপারিশ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোর বাস্তবায়ন এখনই শুরু করা সম্ভব। এসব সুপারিশের মধ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সরকারের লক্ষ্য হল দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যেগুলো কোনো বড় অর্থ বরাদ্দ ছাড়াই দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় তালিকা প্রস্তাব আকারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংস্কার অনুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, “প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আশু বাস্তবায়নযোগ্য বাছাই করা প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্ধারিত ছকে সুপারিশ বাস্তবায়নের লক্ষে প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “এটি নির্বাচন ব্যবস্থার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে এবং সরকারের ইচ্ছা থাকলে এই সুপারিশগুলো দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।”
ইসলামি দলের পক্ষ থেকে যদিও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, কেননা তারা মনে করেন, এসব সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়া বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে এসব সুপারিশের বিষয়ে মতামত সংগ্রহ করতে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে।
কমিশনগুলোর সুপারিশ
উল্লেখযোগ্য যে, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনগুলোর ১২১টি সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য ৯টি সুপারিশ রয়েছে, পুলিশের জন্য ১৩টি, বিচার বিভাগের জন্য ৩৮টি, দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য ৪৩টি, এবং জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য ১৮টি সুপারিশ রয়েছে।
প্রতিটি সুপারিশের বাস্তবায়ন সময়সূচি, আর্থিক সংশ্লেষ এবং করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করার জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়ন
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, কিছু সুপারিশের জন্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্তই যথেষ্ট, তাই সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।