একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শহীদদের স্মরণে আজ পালিত হচ্ছে গণহত্যা দিবস। মুক্তিকামী বাঙালিদের দমনের জন্য পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় চালায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’, যা ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
সে রাতের বিভীষিকার মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে, যার পথ বেয়ে নয় মাসের যুদ্ধে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। মঙ্গলবার নানা আয়োজনে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে পালন করা হবে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট, স্মরণ করা হবে ভয়াল সেই রাতকে।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর চলে বর্বর হামলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।
সেই রাতের গণহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের প্রতিবেদনে উঠে আসে সেই রাতের বীভৎস চিত্র। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে তিনি লেখেন, “ঢাকা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত এক নগর। পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুরতায় অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।”
সেই হত্যাযজ্ঞের জবাব দিতে বাঙালিরা রুখে দাঁড়ায়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
২০১৭ সালে সরকারিভাবে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবারও দিনটি স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
গণহত্যা দিবসে জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সেই ভয়াল রাতের শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতার সূর্য।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শহীদদের স্মরণে আজ পালিত হচ্ছে গণহত্যা দিবস। মুক্তিকামী বাঙালিদের দমনের জন্য পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় চালায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’, যা ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
সে রাতের বিভীষিকার মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে, যার পথ বেয়ে নয় মাসের যুদ্ধে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। মঙ্গলবার নানা আয়োজনে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে পালন করা হবে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট, স্মরণ করা হবে ভয়াল সেই রাতকে।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর চলে বর্বর হামলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।
সেই রাতের গণহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের প্রতিবেদনে উঠে আসে সেই রাতের বীভৎস চিত্র। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে তিনি লেখেন, “ঢাকা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত এক নগর। পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুরতায় অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।”
সেই হত্যাযজ্ঞের জবাব দিতে বাঙালিরা রুখে দাঁড়ায়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
২০১৭ সালে সরকারিভাবে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবারও দিনটি স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
গণহত্যা দিবসে জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সেই ভয়াল রাতের শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতার সূর্য।