প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, লুটপাট ও গুম-খুনের মাধ্যমে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
২৫ মার্চের ভয়াল রাত স্মরণ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। সেদিন থেকেই দেশের মানুষ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, যার ফলাফল স্বাধীন বাংলাদেশ।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারছি। এ সুযোগ আমরা বৃথা যেতে দেব না।”
এ বছর সাতজন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জন মরণোত্তর। তাদের ‘বাংলার সূর্যসন্তান’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাদের অবদান স্মরণ করছে।”
বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম, কবি আল মাহমুদ, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ, লেখক বদরুদ্দীন উমর, ভাস্কর নভেরা আহমেদ এবং পপসম্রাট আজম খানের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
এ বছর নতুন ক্যাটাগরিতে ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ হিসেবে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তাকে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, “ন্যায়বিচার ও বাকস্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ করায় সে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, “যারা আজ স্বাধীনতা পদক পেলেন, তারা জীবদ্দশায় এই সম্মান দেখতে পাননি, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তবে তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।”
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, লুটপাট ও গুম-খুনের মাধ্যমে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
২৫ মার্চের ভয়াল রাত স্মরণ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। সেদিন থেকেই দেশের মানুষ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, যার ফলাফল স্বাধীন বাংলাদেশ।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারছি। এ সুযোগ আমরা বৃথা যেতে দেব না।”
এ বছর সাতজন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জন মরণোত্তর। তাদের ‘বাংলার সূর্যসন্তান’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাদের অবদান স্মরণ করছে।”
বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম, কবি আল মাহমুদ, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ, লেখক বদরুদ্দীন উমর, ভাস্কর নভেরা আহমেদ এবং পপসম্রাট আজম খানের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
এ বছর নতুন ক্যাটাগরিতে ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ হিসেবে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তাকে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, “ন্যায়বিচার ও বাকস্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ করায় সে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, “যারা আজ স্বাধীনতা পদক পেলেন, তারা জীবদ্দশায় এই সম্মান দেখতে পাননি, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তবে তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।”