আরেকদফা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। শীতের মৌসুম শেষ হওয়ায় এবং সরবরাহ কমায় দু’চারটা বাদে প্রায় সব সবজিরই দাম বেড়েছে। বাজারে আসা ক্রেতারা জানান বাজারে পণ্যের দাম ‘চড়া’। দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে ব্যবসায়ীরাও বলছেন একই কথা। একজন বলেন, ‘এতো হাই রেটের মাল বেচা কষ্ট, দাম শুনে মানুষের মাথা গরম হয়ে যায়।’
দেশি পেঁয়াজের দাম-মান ও বাজারভেদে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর ঈদের আগে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। রাজধানির মোহাম্মপুর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা তরিকুল সংবাদকে বলেন ‘আজ (শুক্রবার -১৮ এপ্রিল) কেজি বিক্রি করছি ৬৫ টাকা। কয়দিন পর ১০০ টাকা হইবে।’
গত মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১৪ টাকা বেড়েছে। দাম হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। রাজধানী শ্যামলী কাঁচা বাজারের মুদি দোকানি বাহার উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘সয়াবিন তেলের রেট বেড়েছে। গায়ের রেটেই বিক্রি করছি। ১ লিটার ১৮৯ টাকা। ২ লিটার ৩৭৮ টাকা। আর ৫ লিটার বোতল ৯২২ টাকা।’ তবে ‘বাজারে এখন সয়াবিন তেলের সমস্যা নাই’ বলেও জানান তিনি।
পাইকারী বাজারে ভালো মানের মিনিকেট চাল কেজি ৮৬ থেকে ৯০ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। চালের দামের বিষয়ে রাজধানীর অন্যতম চালের পাইকারী আড়ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মেসার্স আনন্দ ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘আনোয়ার ব্রান্ডের মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা ২২০০ টাকা, কেজি ৮৮ টাকা। আর ইন্ডিয়ানগুলা ১৮৮০ থেকে ২১০০ টাকা। বিআর আটাশ ৫০ কেজি ৩০০০ টাকা, কেজি ৬০ টাকা। মোটা পাইজাম চাল আছে কেজি ৫৬ টাকা। ‘নতুন ধান উঠলে চালের দাম কমতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
মেসার্স চৌধুরী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম রসুল চৌধুরী বলেন, ‘একদম ভালো মিনিকেট চাল যেটা, সেটা আমার কাছে নাই। মোজাম্মেল চালও ভালো। দামও বেশি। দাম বেশি, তাই আর বেচি না। এতো হাই রেটের মাল বেচা কষ্ট। মানুষের মাথা গরম হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনজুর ব্যান্ডের মিনিকেট চাল আছে, বেচি কেজি ৮৬ টাকা। আমার কাছে অন্য মিনিকেট চালও তেমন নাই। মিলেই মাল তেমন নাই।
যোগ করেন, ‘এলসিটা আর কয়েকটা দিন চালু থাকলে ভালো হতো।’
চাল আমদানি হওয়ার পরেও দাম না কমার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে এবার এলসির মাল (আমদানি চাল) খাইছে। বাইরের মাল না আইলে ভাত খেতে পারতো না। দাম আরও বাড়তো।’
বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। বেঁচাবিক্রি ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলি হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘৮০ টাকার নিচে নাই দুই একটা ছাড়া সব সবজির কেজি ৮০ টাকার ওপর । আর ঈদভাঙা মাস তো, তাই বেচাবিক্রি কম।’
আলির ভাষায়, ঈদভাঙা মাস বলতে- লোকজন গ্রামে গিয়ে ঈদ করে ঢাকায় এসেছেন। চাকরিজীবীরা এখনও বেতন পায়নি। মানুষের হাত খালি ।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারভেদে ও জাতভেদে দু-চারটি ছাড়া প্রায়সব সবজির কেজি ৮০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ১ কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পোটল ৮০ থেকে ১৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, সজনা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকায়।
শীতের সবজি মুলা কেজি ৮০ টাকা, ১ পিস লাউ ৮০ টাকা, ১ পিস ফুলকপি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও কাঁচা পেঁপে কেজি ৬০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকায়। আর কাঁচা বিক্রি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
অন্য সবজি বিক্রেতা সজল বলেন, ‘৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাবে, ভ্যানে। তবে, ২-৩ দিনের বাসিয়া সবজি।’
এই বাজার থেকে সদাই করে ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাদিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বেশি ভাইয়া, একদম বেশি। বাজারে পণ্যের দাম চড়া।’
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
আরেকদফা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। শীতের মৌসুম শেষ হওয়ায় এবং সরবরাহ কমায় দু’চারটা বাদে প্রায় সব সবজিরই দাম বেড়েছে। বাজারে আসা ক্রেতারা জানান বাজারে পণ্যের দাম ‘চড়া’। দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে ব্যবসায়ীরাও বলছেন একই কথা। একজন বলেন, ‘এতো হাই রেটের মাল বেচা কষ্ট, দাম শুনে মানুষের মাথা গরম হয়ে যায়।’
দেশি পেঁয়াজের দাম-মান ও বাজারভেদে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর ঈদের আগে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। রাজধানির মোহাম্মপুর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা তরিকুল সংবাদকে বলেন ‘আজ (শুক্রবার -১৮ এপ্রিল) কেজি বিক্রি করছি ৬৫ টাকা। কয়দিন পর ১০০ টাকা হইবে।’
গত মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১৪ টাকা বেড়েছে। দাম হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। রাজধানী শ্যামলী কাঁচা বাজারের মুদি দোকানি বাহার উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘সয়াবিন তেলের রেট বেড়েছে। গায়ের রেটেই বিক্রি করছি। ১ লিটার ১৮৯ টাকা। ২ লিটার ৩৭৮ টাকা। আর ৫ লিটার বোতল ৯২২ টাকা।’ তবে ‘বাজারে এখন সয়াবিন তেলের সমস্যা নাই’ বলেও জানান তিনি।
পাইকারী বাজারে ভালো মানের মিনিকেট চাল কেজি ৮৬ থেকে ৯০ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। চালের দামের বিষয়ে রাজধানীর অন্যতম চালের পাইকারী আড়ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মেসার্স আনন্দ ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘আনোয়ার ব্রান্ডের মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা ২২০০ টাকা, কেজি ৮৮ টাকা। আর ইন্ডিয়ানগুলা ১৮৮০ থেকে ২১০০ টাকা। বিআর আটাশ ৫০ কেজি ৩০০০ টাকা, কেজি ৬০ টাকা। মোটা পাইজাম চাল আছে কেজি ৫৬ টাকা। ‘নতুন ধান উঠলে চালের দাম কমতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
মেসার্স চৌধুরী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম রসুল চৌধুরী বলেন, ‘একদম ভালো মিনিকেট চাল যেটা, সেটা আমার কাছে নাই। মোজাম্মেল চালও ভালো। দামও বেশি। দাম বেশি, তাই আর বেচি না। এতো হাই রেটের মাল বেচা কষ্ট। মানুষের মাথা গরম হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনজুর ব্যান্ডের মিনিকেট চাল আছে, বেচি কেজি ৮৬ টাকা। আমার কাছে অন্য মিনিকেট চালও তেমন নাই। মিলেই মাল তেমন নাই।
যোগ করেন, ‘এলসিটা আর কয়েকটা দিন চালু থাকলে ভালো হতো।’
চাল আমদানি হওয়ার পরেও দাম না কমার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে এবার এলসির মাল (আমদানি চাল) খাইছে। বাইরের মাল না আইলে ভাত খেতে পারতো না। দাম আরও বাড়তো।’
বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। বেঁচাবিক্রি ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলি হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘৮০ টাকার নিচে নাই দুই একটা ছাড়া সব সবজির কেজি ৮০ টাকার ওপর । আর ঈদভাঙা মাস তো, তাই বেচাবিক্রি কম।’
আলির ভাষায়, ঈদভাঙা মাস বলতে- লোকজন গ্রামে গিয়ে ঈদ করে ঢাকায় এসেছেন। চাকরিজীবীরা এখনও বেতন পায়নি। মানুষের হাত খালি ।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারভেদে ও জাতভেদে দু-চারটি ছাড়া প্রায়সব সবজির কেজি ৮০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ১ কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পোটল ৮০ থেকে ১৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, সজনা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকায়।
শীতের সবজি মুলা কেজি ৮০ টাকা, ১ পিস লাউ ৮০ টাকা, ১ পিস ফুলকপি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও কাঁচা পেঁপে কেজি ৬০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকায়। আর কাঁচা বিক্রি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
অন্য সবজি বিক্রেতা সজল বলেন, ‘৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাবে, ভ্যানে। তবে, ২-৩ দিনের বাসিয়া সবজি।’
এই বাজার থেকে সদাই করে ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাদিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বেশি ভাইয়া, একদম বেশি। বাজারে পণ্যের দাম চড়া।’