চিরাচরিত ধান শুকানোর দৃশ্য। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য এটি। তাই ধানে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির খবর বড় ধরনের শঙ্কার জাগাচ্ছে
বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। দৈনিক মানুষের আহারে এককভাবে আর যে কোনো শস্যের চেয়ে বেশি চাল লাগে। সেই চালে বাড়ছে অজৈব আর্সেনিকের দূষণ। বিপজ্জনক মাত্রার ওপরে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। একদল বিজ্ঞানী চীনের চারটি পৃথক স্থানে ১০ বছর ধরে ২৮ জাতের ধানের ওপর গবেষণাটি চালান।
তারা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির ফল এটা। কার্বন নিঃসরণের কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। তারই একটি ফল ধানে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধি।
তারা বলছেন, এর ফলে বিশ্বের দুই কোটি মানুষের ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া আর্সেনিক হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগেরও কারণ। স্বল্প পরিমাণ আর্সেনিকেই মানুষের এসব রোগ হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, সারা বিশ্বেই কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। যে হারে বাড়ছে তাতে এখন থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। ফলে আর্সেনিক শুধু চীনে বাড়বে এমন না, ইউরোপ, আমেরিকাসহ যত জায়গায় ধান চাষ হয় সব জায়গাতেই বাড়বে।
গবেষক দলের সদস্য নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক লুইস জিসকা জানান আগে কার্বন নিঃসরণ, আর্সেনিক দূষণ এসব নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে কাজ হয়েছে। দুটি বিষয়কে যুক্ত করে এটাই প্রথম গবেষণা।
গবেষণায় তারা পেয়েছেন, মাটিতে ধান চাষ করলে আগাছার কারণে ধানের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। কিন্তু ধান পানিতেও হয়। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের ৭৫ শতাংশ ধান পানিযুক্ত জমিতে চাষ হয়। কিন্তু আগাছা পানির নিচে বাঁচে না। সেটা একটা সুবিধা। কিন্তু অসুবিধাটা হচ্ছে, পানির নিচে অক্সিজেন থাকে না। তখন অন্য জৈব রাসায়নিকের সঙ্গে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মিথস্ক্রিয়ায় আর্সেনিক চলে আসে। আর ধান সেটা শুষে নেয়।
ওই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, তাপমাত্রা বেশি হলে ধানে আর্সেনিক দূষণের এই প্রক্রিয়াটা আরও জোরালো হয়। আর তা ১০ বছরের গবেষণায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ঘটতে দেখেছেন তারা।
চিরাচরিত ধান শুকানোর দৃশ্য। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য এটি। তাই ধানে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির খবর বড় ধরনের শঙ্কার জাগাচ্ছে
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। দৈনিক মানুষের আহারে এককভাবে আর যে কোনো শস্যের চেয়ে বেশি চাল লাগে। সেই চালে বাড়ছে অজৈব আর্সেনিকের দূষণ। বিপজ্জনক মাত্রার ওপরে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। একদল বিজ্ঞানী চীনের চারটি পৃথক স্থানে ১০ বছর ধরে ২৮ জাতের ধানের ওপর গবেষণাটি চালান।
তারা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির ফল এটা। কার্বন নিঃসরণের কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। তারই একটি ফল ধানে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধি।
তারা বলছেন, এর ফলে বিশ্বের দুই কোটি মানুষের ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া আর্সেনিক হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগেরও কারণ। স্বল্প পরিমাণ আর্সেনিকেই মানুষের এসব রোগ হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, সারা বিশ্বেই কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। যে হারে বাড়ছে তাতে এখন থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। ফলে আর্সেনিক শুধু চীনে বাড়বে এমন না, ইউরোপ, আমেরিকাসহ যত জায়গায় ধান চাষ হয় সব জায়গাতেই বাড়বে।
গবেষক দলের সদস্য নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক লুইস জিসকা জানান আগে কার্বন নিঃসরণ, আর্সেনিক দূষণ এসব নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে কাজ হয়েছে। দুটি বিষয়কে যুক্ত করে এটাই প্রথম গবেষণা।
গবেষণায় তারা পেয়েছেন, মাটিতে ধান চাষ করলে আগাছার কারণে ধানের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। কিন্তু ধান পানিতেও হয়। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের ৭৫ শতাংশ ধান পানিযুক্ত জমিতে চাষ হয়। কিন্তু আগাছা পানির নিচে বাঁচে না। সেটা একটা সুবিধা। কিন্তু অসুবিধাটা হচ্ছে, পানির নিচে অক্সিজেন থাকে না। তখন অন্য জৈব রাসায়নিকের সঙ্গে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মিথস্ক্রিয়ায় আর্সেনিক চলে আসে। আর ধান সেটা শুষে নেয়।
ওই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, তাপমাত্রা বেশি হলে ধানে আর্সেনিক দূষণের এই প্রক্রিয়াটা আরও জোরালো হয়। আর তা ১০ বছরের গবেষণায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ঘটতে দেখেছেন তারা।