বিরূপ আবহাওয়ার শঙ্কায় হাওরাঞ্চলের কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাসের কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের ২৬টি জেলায় বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নারসিংদী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ভোলা, বরগুনা ও নোয়াখালীতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে এবং তা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৪০-৫০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিরূপ আবহাওয়া থেকে বোরো ধান বাঁচাতে সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সামনের দিনগুলোতে ঘূর্ণিঝড়সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
এর আগে গতকাল বৃহম্পতিবার দেশের ৩৪টি জেলায় ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যোগাযোগ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম সংবাদকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সিলেট বিভাগের হাওর অঞ্চলে চার লাখ ৯৭ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ শতাংশ জমিতে ধান কাটা হয়েছে। যা নন হাওরে ৪ শতাংশ। হাওর ও নন হাওর মিলিয়ে মোট ১৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। অর্থাৎ এ যাবত মোট ৭২ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
আবহাওয়ার সর্তকবার্তায় তিনি বলেন, ‘এবার এ অঞ্চলে বন্যার সম্ভবনা নেই। তবে, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’
চাষিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বোরো চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি; ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে হবে। আমাদের কর্মকর্তারা ধান কাটা না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে প্রায় ২ হাজার হারভেষ্টর ধান কাটার কাঝে নিয়োজিত আছে।’
এর আগে হাওর অঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলায় সপ্তাহ খানেক মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় পাকা ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সেই সঙ্গে হাওরের শতভাগ ধান কাটা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়।
বিরূপ আবহাওয়ার শঙ্কায় হাওরাঞ্চলের কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাসের কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের ২৬টি জেলায় বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নারসিংদী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ভোলা, বরগুনা ও নোয়াখালীতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে এবং তা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৪০-৫০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিরূপ আবহাওয়া থেকে বোরো ধান বাঁচাতে সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সামনের দিনগুলোতে ঘূর্ণিঝড়সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
এর আগে গতকাল বৃহম্পতিবার দেশের ৩৪টি জেলায় ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যোগাযোগ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম সংবাদকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সিলেট বিভাগের হাওর অঞ্চলে চার লাখ ৯৭ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ শতাংশ জমিতে ধান কাটা হয়েছে। যা নন হাওরে ৪ শতাংশ। হাওর ও নন হাওর মিলিয়ে মোট ১৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। অর্থাৎ এ যাবত মোট ৭২ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
আবহাওয়ার সর্তকবার্তায় তিনি বলেন, ‘এবার এ অঞ্চলে বন্যার সম্ভবনা নেই। তবে, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’
চাষিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বোরো চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি; ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে হবে। আমাদের কর্মকর্তারা ধান কাটা না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে প্রায় ২ হাজার হারভেষ্টর ধান কাটার কাঝে নিয়োজিত আছে।’
এর আগে হাওর অঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলায় সপ্তাহ খানেক মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় পাকা ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সেই সঙ্গে হাওরের শতভাগ ধান কাটা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়।