রাজধানীর পল্টন মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও উত্তরের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমানকে ৪ দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই আজিজুল হক সুমনের আবেদনে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আলম তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রোকনুজ্জামান বলেন, তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে পরে বিচারক আদেশ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেদিন সকাল ৭টার দিকে শুরু হওয়া মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট থেকে শুরু
হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনাও চলছিল।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনুসারীদের ওই মিছিল থেকে সরকার ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পরিকল্পনার অভিযোগে পুলিশ পল্টন মডেল থানায় মামলা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই মামলায় রাজধানীর উত্তরা থেকে শাহে আলম মুরাদ ও তেজগাঁও থেকে থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে রাজধানীতে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহের আলম মুরাদ (৬০), ঢাকা দক্ষিণের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত হোসেন (৫০), নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ.এফ. রহমান হল শাখার সহ-সভাপতি বাপ্পি রায়হান, ঢাকা মহানগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন (৫০), এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের ভাতিজা অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।
ডিএমপি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির অভিযানের বিবরণে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মো. শাহের আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি দল। ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাপ্পি রায়হানকে এবং অন্য অভিযানে মো. আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি দল খিলগাঁও এলাকা থেকে মো. শাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একইদিনে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি দল শান্তিনগর এলাকা থেকে মো. শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি, তেজগাঁও এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি আরও জানায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর পল্টন মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও উত্তরের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমানকে ৪ দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই আজিজুল হক সুমনের আবেদনে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আলম তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রোকনুজ্জামান বলেন, তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে পরে বিচারক আদেশ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেদিন সকাল ৭টার দিকে শুরু হওয়া মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট থেকে শুরু
হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনাও চলছিল।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনুসারীদের ওই মিছিল থেকে সরকার ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পরিকল্পনার অভিযোগে পুলিশ পল্টন মডেল থানায় মামলা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই মামলায় রাজধানীর উত্তরা থেকে শাহে আলম মুরাদ ও তেজগাঁও থেকে থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে রাজধানীতে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহের আলম মুরাদ (৬০), ঢাকা দক্ষিণের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত হোসেন (৫০), নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ.এফ. রহমান হল শাখার সহ-সভাপতি বাপ্পি রায়হান, ঢাকা মহানগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন (৫০), এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের ভাতিজা অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।
ডিএমপি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির অভিযানের বিবরণে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মো. শাহের আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি দল। ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাপ্পি রায়হানকে এবং অন্য অভিযানে মো. আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি দল খিলগাঁও এলাকা থেকে মো. শাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একইদিনে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি দল শান্তিনগর এলাকা থেকে মো. শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি, তেজগাঁও এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি আরও জানায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।