শুক্রবার শেষ বিকেলে কুয়াকাটার রাখাইনরা জলকেলিতে মেতেছিলেন -সংবাদ
উপকূলের অলংকার খ্যাত আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম মাহা সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে জলকেলির মধ্য দিয়ে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) শেষ বিকেলে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। কেরানীপাড়া সাংগ্রাই উৎসব কমিটি জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাড়িতে বাড়িতে ফুল দিয়ে সাজানো, বিহারে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং প্রার্থনা করা, নতুন পোশাক পড়ে প্রতিবেশীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ সাংগ্রাইন উৎসবটি।
রাখাইনদের তথ্য মতে, রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষের উৎসবের নাম। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইনরা বিভিন্ন আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ করে নেয়। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা।
রাখাইন? সম্প্রদায়ের নেতা এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জনের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমিরসহ আরও অনেকে।
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়রা মেতে উঠে ঐতিহ্যের জলকেলি উৎসবে। অনুষ্ঠানে দেখা যায় নৌকায় রাখা পানি থেকে রাখাইন তরুণ তরুণীসহ সবাই মিলে একে অন্যর গায়ে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। ফুল দিয়ে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এ সময় রাখাইনদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ আর গানে মাতিয়ে রাখে পুরো অনুষ্ঠানটি। উৎসবটি দেখতে ভীড় জমিয়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা। সাংগ্রাইন উৎসবটি আগামী ২০ এপ্রিল শেষ হবে।
কেরানীপাড়ার তরুন রাখাইন ওয়োনাইচে বলেন, পূরানো দুঃখকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। একটি বছর অপেক্ষা করি এমন দিনের জন্য। আমরা অনেক আনন্দ করছি।
মাচান বলেন, নববর্ষের শুরুতে আমরা নানান রকমের খাবার তৈরি করেছি। পূরানো দুঃখ কষ্টকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। টানা তিন দিন চলবে এই উৎসব। থাকবে মন জুড়ানো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা গানে গানে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিবেন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইন পরিবারে তৈরি করা হয়েছে নানান পদের পিঠাপুলি। এটিকে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের বন্ধন বলে মনে করেন এখানকার রাখাইন সম্প্রদায়।
রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতা এমং তালুকদার বলেন, উৎসবকে ঘিরে সাজ সাজ রব রাখাইন পাড়ায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পাড়া থেকে যোগ দিয়েছে রাখাইনরা। পুরানো পাপ জলকেলির মাধ্যমে ধুয়ে মুছে নতুন বছরে ভালোভাবে শুরু করবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জলকেলি। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ অনুষ্ঠানটিতে রাখাইন সম্প্রদায়ের নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। অনুষ্ঠানটিতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা ও আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
শুক্রবার শেষ বিকেলে কুয়াকাটার রাখাইনরা জলকেলিতে মেতেছিলেন -সংবাদ
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
উপকূলের অলংকার খ্যাত আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম মাহা সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে জলকেলির মধ্য দিয়ে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) শেষ বিকেলে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। কেরানীপাড়া সাংগ্রাই উৎসব কমিটি জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাড়িতে বাড়িতে ফুল দিয়ে সাজানো, বিহারে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং প্রার্থনা করা, নতুন পোশাক পড়ে প্রতিবেশীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ সাংগ্রাইন উৎসবটি।
রাখাইনদের তথ্য মতে, রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষের উৎসবের নাম। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইনরা বিভিন্ন আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ করে নেয়। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা।
রাখাইন? সম্প্রদায়ের নেতা এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জনের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমিরসহ আরও অনেকে।
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়রা মেতে উঠে ঐতিহ্যের জলকেলি উৎসবে। অনুষ্ঠানে দেখা যায় নৌকায় রাখা পানি থেকে রাখাইন তরুণ তরুণীসহ সবাই মিলে একে অন্যর গায়ে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। ফুল দিয়ে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এ সময় রাখাইনদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ আর গানে মাতিয়ে রাখে পুরো অনুষ্ঠানটি। উৎসবটি দেখতে ভীড় জমিয়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা। সাংগ্রাইন উৎসবটি আগামী ২০ এপ্রিল শেষ হবে।
কেরানীপাড়ার তরুন রাখাইন ওয়োনাইচে বলেন, পূরানো দুঃখকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। একটি বছর অপেক্ষা করি এমন দিনের জন্য। আমরা অনেক আনন্দ করছি।
মাচান বলেন, নববর্ষের শুরুতে আমরা নানান রকমের খাবার তৈরি করেছি। পূরানো দুঃখ কষ্টকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। টানা তিন দিন চলবে এই উৎসব। থাকবে মন জুড়ানো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা গানে গানে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিবেন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইন পরিবারে তৈরি করা হয়েছে নানান পদের পিঠাপুলি। এটিকে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের বন্ধন বলে মনে করেন এখানকার রাখাইন সম্প্রদায়।
রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতা এমং তালুকদার বলেন, উৎসবকে ঘিরে সাজ সাজ রব রাখাইন পাড়ায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পাড়া থেকে যোগ দিয়েছে রাখাইনরা। পুরানো পাপ জলকেলির মাধ্যমে ধুয়ে মুছে নতুন বছরে ভালোভাবে শুরু করবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জলকেলি। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ অনুষ্ঠানটিতে রাখাইন সম্প্রদায়ের নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। অনুষ্ঠানটিতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা ও আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।